চলচ্চিত্রকর্মী খোরশেদ আলমের শেষ ইচ্ছে পূরণে জায়েদ-ববি
Published: 23rd, September 2025 GMT
প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে এফডিসির ইট-কাঠের সঙ্গে মিশে ছিলেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। তার নির্দেশনায় প্রাণ পেয়েছে অসংখ্য সিনেমা, ঝলমলে আলোয় ফুটে উঠেছে তারকাদের সোনালি মুহূর্ত। এবার এই অভিজ্ঞ চলচ্চিত্রকর্মী বিদায় জানাচ্ছেন প্রিয় কর্মস্থলকে, ফিরছেন আপন ভিটায়।
দীর্ঘ ৪৭ বছর এফডিসিতে শিল্প নির্দেশকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন খোরশেদ আলম। বর্তমানে শারীরিকভাবে তিনি ভালো নেই। জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে এখন একটাই ইচ্ছা—জন্মস্থানে ফিরে গিয়ে সংসার টেনে নেওয়া। সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এসেছেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও শিল্পীরা।
চলচ্চিত্র সাংবাদিক মাজহার বাবু, আহমেদ তেপান্তর, রাহাত সাইফুল, রঞ্জু সরকার, এ এইচ মুরাদ, আসিফ আলম, রুহুল আমিন ভূঁইয়া এবং নির্মাতা গাজী মাহবুব এই উদ্যোগ নেন। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান, চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি, চিত্রনায়ক মুন্না খানসহ আরও কয়েকজন প্রযোজক ও নির্মাতা।
জায়েদ খান বলেন, “খোরশেদ আলম ভাইকে আমি অসংখ্য সিনেমায় কাজ করতে দেখেছি। লম্বা সময় ধরে এফডিসির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমার সেট তৈরি হয়েছে তার হাতে। এখন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে যদি আমরা তার হাতে কিছু অর্থ তুলে দিতে পারি, সেটি আমাদের দায়িত্ব। সাংবাদিকরা যারা এ উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”
চিত্রনায়িকা ববি বলেন, “তিনি আমাদের অসংখ্য সিনেমার নেপথ্যে ছিলেন। সারাজীবন এফডিসির জন্য দিয়েছেন। বিদায়ের প্রহরে তার পাশে দাঁড়াতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। আশা করি, চলচ্চিত্রের অন্যরাও এগিয়ে আসবেন।”
আগামী বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হবে খোরশেদ আলমকে। সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকর্মীদের উপস্থিতিতে হবে এই সম্মাননা অনুষ্ঠান।
এবারই প্রথম নয়, এর আগে এফডিসির ঝালমুড়ি বিক্রেতা প্রয়াত আব্দুল মান্নান মোল্লাকে বিদায় দেন উক্ত সাংবাদিকরা। ১৯৭২ সাল থেকে তিনি চলচ্চিত্রপাড়ায় ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তিনদিনব্যাপী মুড়ি উৎসবের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ সহায়তা করে তাকে বিদায় দেওয়া হয়।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চ ত রন য় এফড স র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যালন ডি’অর: মেসির অভিনন্দনবার্তা, নেইমারের হতাশা
বারবার চোটে পড়া তো ছিলই, সমালোচিত ছিলেন মাঠের বাইরে কর্মকাণ্ড নিয়েও। একসময় হুমকিতে পড়েছিল ক্যারিয়ারও। বার্সেলোনায় ব্যর্থ হয়ে হতাশা নিয়ে শেষ পর্যন্ত পাড়ি জমান পিএসজিতে। আর নিজ দেশে ফিরতেই যেন বদলে গেল উসমান দেম্বেলের ভাগ্য। ২০২৪-২৫ মৌসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করে এখন তিনি জিতে নিলেন ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের সর্বোচ্চ ট্রফি ব্যালন ডি’অরও।
গত মৌসুম শেষ হওয়ার পর দেম্বেলের ব্যালন ডি’অর জয় একরকম অনুমেয়ই ছিল। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়সহ পিএসজির ট্রেবল জয়ে এমবাপ্পের ব্যাপক ভূমিকা ছিল। গোল করায়, করানোয় এবং দলকে উজ্জীবিত রাখায় সমান ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
যার ফলস্বরূপ মিলেছে বর্ষসেরার এই পুরস্কার। পুরস্কার পাওয়ার পর দেম্বেলেকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সবাই। ব্যালন ডি’অরের রাজা ও দেম্বেলের সাবেক সতীর্থ লিওনেল মেসিও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনকান্নায় ব্যালন ডি’অর বরণ দেম্বেলের, বোনমাতির তিনে তিন১৩ ঘণ্টা আগেগতকাল রাতে ব্যালন ডি’অর জয়ের পর নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সেই ছবি পোস্ট করে দেম্বেলে লিখেছেন, ‘অনেক আনন্দ, গর্ব আর আবেগে মন ভরে আছে। একটি স্বপ্ন সত্যি হলো। এই যাত্রাপথে যারা সব সময় আমাকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’ দেম্বেলের এই পোস্টের মন্তব্যে মেসি লিখেছেন, ‘দারুণ! অভিনন্দন, আমি তোমার জন্য খুব খুশি। তুমি এটা পাওয়ার যোগ্য।’
দেম্বেলের পোস্টে মেসির মন্তব্য