Prothomalo:
2025-11-12@21:16:36 GMT

ধনী হওয়ার আসল পথ

Published: 23rd, September 2025 GMT

আজকের দিনে শুধু চাকরির ওপর নির্ভর করে জীবনে এগোনো ক্রমেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বেতন মানে হলো নিরাপদভাবে টিকে থাকার ব্যবস্থা, ধনী হওয়ার নিশ্চয়তা নয়। বরং সঠিকভাবে সময় ও দক্ষতা ব্যবহার করলে চাকরির পাশাপাশি এমন একটি ‘সিস্টেম’ তৈরি করা সম্ভব, যা নীরবে আপনার জন্য কাজ করবে। সপ্তাহে মাত্র কয়েক ঘণ্টা দিলেই বাড়তি আয়ের পথ খুলে যাবে, আর সেখান থেকেই ধীরে ধীরে তৈরি হবে আপনার আর্থিক স্বাধীনতা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি হয় ওষুধের ৮৫% কাঁচামাল

দেশে প্রয়োজনের ৯৫ শতাংশ ওষুধ দেশেই তৈরি হয়। ১৫০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। অথচ ওষুধের ৮৫ শতাংশ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। ওষুধনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল দেশেই তৈরি করতে হবে। এ জন্য সরকারের নীতি সহায়তা ও আর্থিক প্রণোদনা দরকার।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলা হয়। ‘এপিআই শিল্পের উন্নয়নে নীতি ও বাস্তবায়ন কৌশল’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক সংগঠন অ্যালায়েন্স ফর হেলথ রিফর্মস বাংলাদেশ (এএইচআরবি)। এতে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির (বাপি) নেতা, শিল্পমালিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, ওষুধবিজ্ঞানী, গবেষক অংশ নেন।

মূল উপস্থাপনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, ওষুধের ৮৫ শতাংশ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে চলে যায়। প্রয়োজনীয় কাঁচামাল দেশে তৈরি করা সম্ভব না হলে দেশের ওষুধনিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না। তিনি বলেন, ‘সরকার পোশাকশিল্পকে যে সুযোগ দিয়েছে, তা যদি এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট) শিল্পকে দেয়, তা হলে দৃশ্যপট পাল্টে যাবে।’

ইনসেপ্‌টা ফার্মাসিউটিক্যালের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আবদুল মুক্তাদির বলেন, সরকার হচ্ছে ওষুধ শিল্প সমিতির সবচেয়ে বড় বন্ধু। বাংলাদেশ ওষুধ বা তৈরি পোশাকশিল্পে যে সাফল্য দেখিয়েছে, ওষুধের কাঁচামালের ক্ষেত্রেও সেই সাফল্য দেখানোর সামর্থ্য রাখে। বাংলাদেশ এখন যেকোনো মলিকিউল তৈরি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাকশিল্পে বাংলাদেশের প্রতিযোগী ৩০ থেকে ৩৫টি দেশ। ওষুধ বা ওষুধের কাঁচামালের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিযোগী শুধু চীন–ভারতের মতো দু–তিনটি দেশ।

সমিতির মহাসচিব ও ডেল্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, সরকারের নীতি সহায়তা ছাড়া এপিআই শিল্প উঠে দাঁড়াতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে একাধিক শিল্পোদ্যোক্তা তাঁদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। কেউ বলেন, সরকার ওষুধের কাঁচামাল শিল্পের জন্য প্লট বরাদ্দ দিয়েছে কিন্তু গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ দেয়নি। কেউ বলেন, ছোট কাজের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। কেউ বলেন, সরকারের নীতি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তারা নানা গড়িমসি করেন। সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওষুধের কাঁচামালবিষয়ক একটি কমিটি করেছে। প্রতি মাসে কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা। কমিটির প্রথম বৈঠক হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। গতকাল পর্যন্ত আর কোনো বৈঠক হয়নি।

ওষুধ কোম্পানি হেলথকেয়ার ফার্মার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাপির কোষাধ্যক্ষ মো. হালিমুজ্জামান বলেন, সরকারের কাছ থেকে প্লট নিয়ে কাঁচামাল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। ব্যাংক থেকে ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। সরকার তার কারখানায় গ্যাস দিচ্ছে না। তিনি ব্যাংকে নিয়মিতভাবে ২০ লাখ টাকা করে সুদ গুনে যাচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে অনেকেই মতামত তুলে ধরেন। বাংলাদেশ এপিআই ও ইন্টারমিডিয়েটস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাইমা) সভাপতি এস এম সাইফুর রহমান বলেন, এপিআই শিল্পের জন্য ভারতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি আছে। দেশে একটি টাস্কফোর্স বা কমিশন গঠন করার প্রস্তাব করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের মেডিকেল সার্ভিসের পরিচালক আজহারুল ইসলাম, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক এ বি এম জামালউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সেলিম রেজা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ