হলিউডের অস্কারজয়ী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। গত রোববার স্পেনের সান সেবাস্তিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি ভালোবাসেন, কিন্তু এখন তিনি আর তাঁর নিজের দেশকে চিনতে পারেন না।

এক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সম্প্রতি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি তাদের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘জিমি কিমেল লাইভ!’ সম্প্রচার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। বিষয়টি ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এ পরিস্থিতিতে জোলি হতাশার কথা জানালেন।

সান সেবাস্তিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের অভিনীত নতুন সিনেমা কুত্যুর-এর প্রিমিয়ারে ছিলেন জোলি। তাঁকে পেয়ে সাংবাদিকেরা অনুমিতভাবেই প্রশ্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। জবাবে জোলিও অকপটে নিজের দেশ সম্পর্কে জানান হতাশার কথা।

কিমেলের অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন অনেক অভিনেতা ও শিল্পী। হলিউড তারকা মার্ক রাফালো সতর্ক করে বলেছেন, ‘এখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করছে, যা দেশটাকে স্বৈরশাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ‘একজন শিল্পী ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আপনার ভয় কী?’ জোলি একটু ভেবে উত্তর দেন, ‘এটা খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, কিন্তু বর্তমানে এ সময়ে এসে আমার দেশটাকে আর চিনতে পারি না।’

যুক্তরাষ্ট্রে বাক্‌স্বাধীনতার ওপর হুমকির প্রসঙ্গ টেনে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আরও বলেন, ‘আমি সব সময় বিশ্বজনীনভাবে বসবাস করেছি। আমার পরিবার, আমার বন্ধুরা, আমার জীবন—সবই বিশ্বজনীন। আমি পৃথিবীকে দেখি সমতার চোখে, ঐক্যের দৃষ্টিতে আর এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, যা সবার জন্য প্রযোজ্য। পৃথিবীর যেকোনো স্থানে যদি কারও ব্যক্তিগত মতপ্রকাশ বা ব্যক্তির স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করা হয়, সেটি খুবই বিপজ্জনক।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্ককে ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। কার্ক ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক জিমি কিমেলের অনুষ্ঠানটি বন্ধ করেছে এবিসি।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ‘একজন শিল্পী ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আপনার ভয় কী?’ জোলি একটু ভেবে উত্তর দেন, ‘এটা খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, কিন্তু বর্তমানে এ সময়ে এসে আমার দেশটাকে আর চিনতে পারি না।’

কিমেলের অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন অনেক অভিনেতা ও শিল্পী। হলিউড তারকা মার্ক রাফালো সতর্ক করে বলেছেন, ‘এখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করছে, যা দেশটাকে স্বৈরশাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’ অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জিমি কিমেলের পাশে দাঁড়িয়েছেন আরেক অভিনেতা পেদ্রো প্যাসকেল। তিনি লিখেছেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করো।’

এবিসি চ্যানেলটি ডিজনির মালিকানাধীন। অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার জেরে ডিজনি‍র মালিকানাধীন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘ডিজনি+’ সাবস্ক্রিপশন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেত্রী তাতিয়ানা মাসলানি। চলচ্চিত্র পরিচালক ড্যামন লিন্ডেলফ ঘোষণা দিয়েছেন, জিম কিমেলকে না ফেরালে তিনি ডিজনির সঙ্গে কাজ করবেন না।

এটি প্রকাশ্য সেন্সরশিপ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি উদাহরণ।গায়িকা ও অভিনেত্রী অলিভিয়া রদ্রিগো

এ ঘটনায় হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গায়িকা ও অভিনেত্রী অলিভিয়া রদ্রিগো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘এটি প্রকাশ্য সেন্সরশিপ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি উদাহরণ।’ ডিজনি+ সিরিজ অ্যান্ডর–এর লেখক ও এমি–জয়ী পরিচালক ড্যান গিলরয়ও লিখেছেন, সেই সিরিজে যে ‘ফ্যাসিস্ট দখলদারত্ব’-এর কাহিনি দেখানো হয়েছে, সেটি ট্রাম্পের বর্তমান আমেরিকার বাস্তবতার সঙ্গেও মিলে যাচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র আম র দ শ অন ষ ঠ ন দ শট ক

এছাড়াও পড়ুন:

এনটিএমসির নতুন ডিজি মেজর জেনারেল ওসমান সরোয়ার

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক (ডিজি) হয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ার।

রবিবার (৯ নভেম্বর) তাকে এই পদে প্রেষণে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক আরো জোরদারে আশাবাদী 

নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর

তিনি মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। মেজর জেনারেল আব্দুল কাইয়ুম মোল্লাকে এনটিএমসির মহাপরিচালক পদ থেকে প্রত্যাহার করে তার চাকরি সেনাবাহিনীতে ন্যস্ত করা হয়েছে।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ