আমার দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে চিনতে পারি না: অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
Published: 23rd, September 2025 GMT
হলিউডের অস্কারজয়ী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। গত রোববার স্পেনের সান সেবাস্তিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি ভালোবাসেন, কিন্তু এখন তিনি আর তাঁর নিজের দেশকে চিনতে পারেন না।
এক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সম্প্রতি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি তাদের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘জিমি কিমেল লাইভ!’ সম্প্রচার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। বিষয়টি ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এ পরিস্থিতিতে জোলি হতাশার কথা জানালেন।
সান সেবাস্তিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের অভিনীত নতুন সিনেমা কুত্যুর-এর প্রিমিয়ারে ছিলেন জোলি। তাঁকে পেয়ে সাংবাদিকেরা অনুমিতভাবেই প্রশ্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। জবাবে জোলিও অকপটে নিজের দেশ সম্পর্কে জানান হতাশার কথা।
কিমেলের অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন অনেক অভিনেতা ও শিল্পী। হলিউড তারকা মার্ক রাফালো সতর্ক করে বলেছেন, ‘এখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করছে, যা দেশটাকে স্বৈরশাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’অ্যাঞ্জেলিনা জোলির কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ‘একজন শিল্পী ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আপনার ভয় কী?’ জোলি একটু ভেবে উত্তর দেন, ‘এটা খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, কিন্তু বর্তমানে এ সময়ে এসে আমার দেশটাকে আর চিনতে পারি না।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাক্স্বাধীনতার ওপর হুমকির প্রসঙ্গ টেনে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আরও বলেন, ‘আমি সব সময় বিশ্বজনীনভাবে বসবাস করেছি। আমার পরিবার, আমার বন্ধুরা, আমার জীবন—সবই বিশ্বজনীন। আমি পৃথিবীকে দেখি সমতার চোখে, ঐক্যের দৃষ্টিতে আর এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, যা সবার জন্য প্রযোজ্য। পৃথিবীর যেকোনো স্থানে যদি কারও ব্যক্তিগত মতপ্রকাশ বা ব্যক্তির স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করা হয়, সেটি খুবই বিপজ্জনক।’
যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্ককে ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। কার্ক ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক জিমি কিমেলের অনুষ্ঠানটি বন্ধ করেছে এবিসি।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ‘একজন শিল্পী ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আপনার ভয় কী?’ জোলি একটু ভেবে উত্তর দেন, ‘এটা খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, কিন্তু বর্তমানে এ সময়ে এসে আমার দেশটাকে আর চিনতে পারি না।’কিমেলের অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন অনেক অভিনেতা ও শিল্পী। হলিউড তারকা মার্ক রাফালো সতর্ক করে বলেছেন, ‘এখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করছে, যা দেশটাকে স্বৈরশাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’ অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জিমি কিমেলের পাশে দাঁড়িয়েছেন আরেক অভিনেতা পেদ্রো প্যাসকেল। তিনি লিখেছেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করো।’
এবিসি চ্যানেলটি ডিজনির মালিকানাধীন। অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার জেরে ডিজনির মালিকানাধীন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘ডিজনি+’ সাবস্ক্রিপশন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেত্রী তাতিয়ানা মাসলানি। চলচ্চিত্র পরিচালক ড্যামন লিন্ডেলফ ঘোষণা দিয়েছেন, জিম কিমেলকে না ফেরালে তিনি ডিজনির সঙ্গে কাজ করবেন না।
এটি প্রকাশ্য সেন্সরশিপ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি উদাহরণ।গায়িকা ও অভিনেত্রী অলিভিয়া রদ্রিগোএ ঘটনায় হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গায়িকা ও অভিনেত্রী অলিভিয়া রদ্রিগো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘এটি প্রকাশ্য সেন্সরশিপ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি উদাহরণ।’ ডিজনি+ সিরিজ অ্যান্ডর–এর লেখক ও এমি–জয়ী পরিচালক ড্যান গিলরয়ও লিখেছেন, সেই সিরিজে যে ‘ফ্যাসিস্ট দখলদারত্ব’-এর কাহিনি দেখানো হয়েছে, সেটি ট্রাম্পের বর্তমান আমেরিকার বাস্তবতার সঙ্গেও মিলে যাচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র আম র দ শ অন ষ ঠ ন দ শট ক
এছাড়াও পড়ুন:
উৎপাদন বন্ধ থাকা ৩০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করল ডিএসই
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি কোম্পানির উৎপাদন বর্তমানে বন্ধ আছে। এসব কোম্পানিকে নিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হয়। এর ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হন এবং শেয়ারের দাম কারসাজির শিকার হন। কারসাজি ও গুজব ঠেকাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) উৎপাদন বন্ধ রাখা কোম্পানিগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট থেকে এ তালিকা পাওয়া গেছে।
আরো পড়ুন:
হামিদ ফেব্রিক্সের উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা
বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিলে দেরি, ফারইস্ট ফাইন্যান্সকে সতর্কবার্তা
ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান রাইজিংবিডি ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিএসই প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, উৎপাদন বন্ধ রাখা কোম্পানিগুলো হলো—অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, অ্যারামিট সিমেন্ট, আজিজ পাইপস, বারাকা পাওয়ার, দুলামিয়া কটন, এমারেল্ড অয়েল, ফ্যামিলি টেক্স (বিডি), জিবিবি পাওয়ার, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, খুলনা পাওয়ার, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মেট্রো স্পিনিং মিলস, মিথুন নিটিং, নিউ লাইন ক্লোথিংস, নর্দার্ন জুট, নুরানি ডায়িং, প্রাইম টেক্সটাইল, আরএসআরএম, রিজেন্ট টেক্সটাইল, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, তুং হাই নিটিং, ইয়াকিন পলিমার, জাহিন স্পিনিং মিলস, শ্যামপুর সুগার মিলস, উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি, রহিমা ফুড কর্পোরেশন ও হামিদ ফ্যাব্রিক্স।
এর মধ্যে শ্যামপুর সুগার মিলস ও উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এ কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজার থেকে তহবিল সংগ্রহ করলেও দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।
এই তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে হামিদ ফ্যাব্রিক্স। কোম্পানিটি ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে গত ১২ আগস্ট রহিমা ফুড কর্পোরেশন উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করে।
ঢাকা/এনটি/রফিক