শাপলা প্রতীক না পেয়ে সারজিস বললেন, নির্বাচন কীভাবে হয় দেখে নেবেন
Published: 23rd, September 2025 GMT
নিজেদের পছন্দের প্রতীক না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
পোস্টে সারজিস আলম লেখেন ‘যেহেতু কোনো আইনগত বাধা নেই, তাই এনসিপির মার্কা শাপলাই হতে হবে। অন্য কোনো অপশন নাই। না হলে নির্বাচন কীভাবে হয়, আর কে কীভাবে ক্ষমতায় গিয়ে মধু খাওয়ার স্বপ্ন দেখে, সেটা আমরাও দেখে নেব।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে এ ক্ষোভ জানান সারজিস আলম। এর আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা প্রতীক পাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ হিসেবে ইসি সচিব উল্লেখ করেন, প্রতীকের জন্য ১১৫টার যে শিডিউলটা করা হয়েছে, সেখানে শাপলা প্রতীক নেই। নিয়ম হচ্ছে প্রতীক যেটা আছে, তার ভেতর থেকে একটা নিতে হবে।
এনসিপি নেতা সারজিস আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে আরও লেখেন, ইলেকশন কমিশন সচিব বলেছেন, মার্কার তালিকায় শাপলা নেই, তাই এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না। তার মানে কোনো আইনগত বাধা নয় বরং তালিকায় না থাকার কারণে তাঁরা এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে পারছেন না। যেদিন এনসিপি প্রথম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে, সেদিনই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল এনসিপি শাপলা মার্কা চায়। তাহলে ওই তালিকায় শাপলা মার্কা যুক্ত করা কাদের কাজ ছিল। এত দিন কী তারা নির্বাচন কমিশনে বসে বসে নাটক দেখেছে? নাকি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে বসে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান, দল বা এজেন্সির কথামতো ওঠবস করেছে?
সব ধরনের ‘ভণ্ডামিকে’ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে বলেও ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন সারজিস আলম।
আরও পড়ুনশাপলা প্রতীক পাচ্ছে না এনসিপি: ইসি সচিব৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গলা কেটে বিড়াল হত্যা, থানায় জিডি
বগুড়া আদমদীঘিতে গলা কেটে বিড়াল হত্যার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আদমদিঘী থানায় জিডিটি করেন বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য এমরান হোসেন।
আরো পড়ুন:
স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ
ভোররাতে মাছ ধরতে ডাকাডাকি, বের হতেই হত্যা
গত সোমবার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর উনিয়নের দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছ গ্রামে বিড়ালটিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নজরে আসে। ঘটনাটি বিস্তারিত জানার পর তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে জিডি করে।
জিডিতে বলা হয়, গত সোমবার দুপুর একটা থেকে ২টার মধ্যে দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছ গ্রামের মোছা. বুলবুলি (২৬) নামের এক নারী একটি সাদা-কালো পুরুষ বিড়ালকে বটি দিয়ে হত্যা করেন এবং বুক চিরে নারী-ভুঁড়ি বের করে বাড়ির পাশে একটি ধান ক্ষেতে ফেলে দেন। প্রতিবেশী এক নারী বিড়ালটিকে কুড়িয়ে এনে বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আদনান আজাদ জানান, যে কোনো প্রাণীকে হত্যা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে নিষ্ঠুরভাবে বিড়ালটিকে গলা কেটে হত্যা এবং পরে পেট কেটে নাড়ি -ভুঁড়ি বের করে নেওয়া হয়েছে সেটা দেখে মনে হচ্ছে অভিযুক্ত নারী একজন সাইকোপ্যাথ। তিনি যে কোনো সময় মানুষ হত্যা করতে পারবেন।
এই ঘটনার পরে বিড়াল হত্যায় অভিযুক্ত বুলবুলির একটি স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, তরকারি থেকে নিয়মিত মাছ-মাংস চুরি করে খাওয়ার কারণে ক্রোধের মাথায় মাঠ থেকে বিড়ালটিকে ধরে এনে হত্যা করে নাড়ি-ভুঁড়ি বের করে পুড়িয়ে ফেলেছেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিড়ালের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “জিডির বিষয়ে আদালত থেকে তদন্ত করার জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। অনুমতি পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ