সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল–শেখ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। সৌদির রয়েল কোর্ট এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

রিয়াদের ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ মসজিদে বাদ আসর শেখ আবদুল আজিজ আল–শেখের জানাজা হয়। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিসহ দেশটির সব মসজিদে তাঁর গায়েবানা জানাজা পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সৌদি বাদশাহ এবং যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান গ্র্যান্ড মুফতির পরিবার, সৌদি জনগণ ও ইসলামি বিশ্বের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

সৌদি আরবের রয়েল কোর্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শেখ আবদুল আজিজ আল–শেখের মৃত্যুতে সৌদি আরব ও মুসলিম বিশ্ব একজন বিশিষ্ট আলেমকে হারাল। তিনি ইসলাম ও মুসলিমদের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।’

শেখ আবদুল আজিজ আল–শেখ বিশ্বখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত ছিলেন। তিনি সৌদি আরবের জেনারেল প্রেসিডেন্সি অব স্কলারলি রিসার্চ অ্যান্ড ইফতা–এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন।

১৯৯৯ সালের জুন মাসে সৌদি আরবের সাবেক বাদশাহ ফাহাদ শেখ আবদুল আজিজ আল–শেখকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি নিযুক্ত করেন।

শেখ আবদুল আজিজ আল–শেখ ১৯৪৩ সালের ৩০ নভেম্বর পবিত্র মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অল্প বয়সেই পবিত্র কোরআনে হাফেজ হন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। ১৯৬১ সালে তিনি রিয়াদের ইমাম মুহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে আরবি ও ইসলামি শরিয়াহ বিষয়ে ১৯৬৫ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

উচ্চশিক্ষা শেষে ১৯৬৫ সালে রিয়াদের ইমাম আল-দাওয়া স্কলারলি ইনস্টিটিউটে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে আট বছর শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি ইমাম মুহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ও পরে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। পাশাপাশি রিয়াদের উচ্চতর বিচার বিভাগীয় ইনস্টিটিউটেও শিক্ষকতা করেন। তিনি সৌদি আরবের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।

শেখ আবদুল আজিজ আল–শেখ ১৯৮২ সালে আরাফাতের ঐতিহাসিক নামিরাহ মসজিদে ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা ৩৪ বছর নামিরাহ মসজিদে পবিত্র হজের সময় আরাফাতের খুতবা পাঠ করেন তিনি।

১৯৮৭ সালে সিনিয়র স্কলারস কাউন্সিলে নিযুক্ত হন শেখ আবদুল আজিজ আল–শেখ। ১৯৯১ সালে তিনি স্কলারলি রিসার্চ অ্যান্ড ইফতার স্থায়ী কমিটির পূর্ণকালীন সিনিয়র সদস্য হন। ১৯৯৫ সালে তিনি সৌদি আরবের ডেপুটি গ্র্যান্ড মুফতি নিযুক্ত হন।

১৯৯৯ সালে তৎকালীন গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ ইবনে বাজের মৃত্যুর পর তাঁকে গ্র্যান্ড মুফতি, সিনিয়র স্কলারদের কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং ইসলামিক রিসার্চ ও ইফতার সাধারণ সভাপতির পদে মন্ত্রী সমমানের মর্যাদায় নিয়োগ দেওয়া হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক উন স ল মসজ দ আরব র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসির নতুন মার্জিন রুলসের গেজেট প্রকাশ

নতুন মার্জিন রুলসের গেজেট প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মার্জিন রুলস, ১৯৯৯’ রহিত করে নতুন ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন রিপিল) রুলস, ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রকাশিত সরকারি গেজেট অনুযায়ী, নতুন এই বিধিমালা গত ৩০ অক্টোবর বিএসইসি কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

আরো পড়ুন:

টানা ৫ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের পতন

শেয়ার ফেরত না দিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের আলটিমেটাম

গেজেটে উল্লেখ করা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের XVII) এর ধারা ৩৩ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এতদ্বারা মার্জিন বিধি, ১৯৯৯ বাতিল করছে। নতুন বিধির নাম রাখা হয়েছে-‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন রিপিল) রুলস, ২০২৫’। এটি কার্যকর হবে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন) রুলস, ২০২৫’ কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে।

তবে গেজেটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর অধীনে ইতোমধ্যে গৃহীত বা সম্পন্নকৃত যেকোনো পদক্ষেপ, মামলা বা আইনি কার্যক্রম নতুন বিধিমালা কার্যকর হলেও বলবৎ থাকবে। এসব কার্যক্রম পূর্ববর্তী বিধির অধীনে সম্পন্ন হবে এবং বৈধ গণ্য হবে।

এছাড়া নতুন বিধি কার্যকর হওয়ার পূর্বে চলমান কোনো আইনি মামলা বা প্রসিকিউশন মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা যাবে এবং সেই বিধি কার্যকর বলেই গণ্য হবে যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন বিধিমালা সম্পূর্ণরূপে কার্যকর না হয়।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসইসির নতুন মার্জিন রুলসের গেজেট প্রকাশ