বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে নায়েক আক্তার হোসেন নামের একজন বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টায় এই ঘটনা ঘটেছে। বিজিবি সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে সীমান্তের সাধারণ মানুষ মাইন বিস্ফোরণে আহত হলেও এই প্রথম কোনো বিজিবি সদস্য আক্রান্ত হলেন। চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত সাড়ে আট মাসে ১৫ জনের বেশি মানুষ মাইন বিস্ফোরণে আহত হন। আহতরা অধিকাংশ পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের বাইশফাঁড়ি এলাকার রেজু আমতলী সীমান্ত চৌকি (বিওপি) থেকে একটি টহলদল বের হয়। দলটি ৪০ নম্বর সীমান্ত পিলারের আনুমানিক ৫০০ গজের কাছাকাছি সীমান্ত সড়কের পাশে প্রস্তাবিত নতুন একটি বিওপির জায়গায় যায়। সেখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় একটি মাইন, তিনটি হাতবোমা, একটি মর্টারশেল পাহারা দেওয়ার জন্য বিজিবির টহল দলটি গিয়েছিল। ওই স্থানেই হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মাইনের স্প্লিন্টার ও বারুদের আগুনে বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেন দুই পায়ে গুরুতর আঘাত পান। তাঁকে সেখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করে রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী এলাকাটি কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির আওতায় হলেও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মধ্যে অবস্থিত। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক জানিয়েছেন, মাইন বিস্ফোরণের স্থানটি সীমান্তের কাছাকাছি হলেও বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে পড়েছে। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে বিজিবি সদস্য আক্তার হোসেন আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে শুরু হচ্ছে তিন দিনের চামড়া পণ্য প্রদর্শনী

চামড়াশিল্প, জুতা তৈরির যন্ত্রপাতি, জুতার বিভিন্ন উপকরণ, রাসায়নিক ও আনুষঙ্গিক পণ্য নিয়ে রাজধানী ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। ৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘লেদারটেক বাংলাদেশ ২০২৫’ নামে আয়োজিত এ প্রদর্শনী শুরু হবে। ১১তম বারের মতো আয়োজিত এ আসরে বিভিন্ন দেশের দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনস। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া জানান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।

আয়োজকেরা জানান, প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ মোট আটটি দেশ থেকে প্রায় ২০০টি কোম্পানি তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে বিনা মূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রদর্শনীতে কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টস ইন্ডিয়া (সিএলই), পাকিস্তান ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিটিএ), ইন্ডিয়া ফুটওয়্যার কম্পোনেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইফকোমা) ও চীনের গুয়াংডং সু–মেকিং মেশিনারি অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) আলাদা প্যাভিলিয়ন থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লেদারটেক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় ১১ বছর আগে। শুরুতে এটি ছিল একটি প্রযুক্তি প্রদর্শনী প্ল্যাটফর্ম। সময়ের সঙ্গে এ আয়োজনটি বাংলাদেশের চামড়া, জুতা ও সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্ভাবন ও বাজার সম্প্রসারণের অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের পরই বাংলাদেশের চামড়া ও জুতাশিল্পের অবস্থান। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের ৩ শতাংশ ও বৈশ্বিক চামড়ার মোট চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করে এই শিল্প। শিল্পনীতি ২০২২–এ রপ্তানি বহুমুখীকরণের অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চামড়াকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ