এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের পেছনে গাড়ির ধাক্কা, দুই বন্ধু নিহত
Published: 14th, October 2025 GMT
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের সীমানায় আবদুল্লাপুর টোল প্লাজা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন আহমেদ নোমান (২৮) ও মুজিবুল হক (২৮)। তাঁরা দুজন বন্ধু ছিলেন। তাঁদের দুজনের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায়। তাঁরা মোটরসাইকেলে করে ঢাকা থেকে মাওয়ার দিকে যাচ্ছিলেন।
শ্রীনগর হাসাড়া হাইওয়ে থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে মোটরসাইকেলে করে দুই বন্ধু নোমান ও মজিবুল মাওয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁদের মোটরসাইকেলটি রাত সোয়া ৯টার দিকে আবদুল্লাপুর টোল প্লাজা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলসহ রোমান ও মজিবুল সড়কে ছিটকে পড়ে নিহত হন।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ টি এম মাহমুদুল হক আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, রাতে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে গেছেন। ধাক্কা দেওয়া গাড়িটি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাপাসিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে কয়েকজন ব্যক্তি। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার আমরাইদ–গিয়ায়পুর সড়কের পাশে অবস্থিত মেসার্স জমজম ট্রেডার্স মিনি পেট্রোল পাম্পে ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম, গ্রেপ্তার ২
খিলগাঁওয়ে ছিনতাইকারীর গুলিতে যুবক আহত
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রব বলেন, “মোবাইল কোর্ট চলাকালে কিছু উত্তেজিত লোক ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলা চালায়। ঘটনায় জড়িত ফারুক মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়েছে এবং আরো কয়েকজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, জমজম ট্রেডার্স মিনি পেট্রোল পাম্পে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। সেখান থেকে প্রায় ৫০ লিটার ভেজাল পেট্রোল জব্দ করা হয় এবং পাম্পের মালিককে ১০ দিনের মধ্যে কাগজপত্র যাচাই করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযানের সময় উপস্থিত কিছু ব্যক্তি ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং ‘ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ইট নিক্ষেপ করে ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যবহৃত হায়েস মাইক্রোবাসে হামলা চালায়। এতে গাড়ির সামনের ও পাশের কাচ ভেঙে যায়। পরে কাপাসিয়া থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ফারক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। এ ঘটনায় বিপিসির একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পদ্মা অয়েল কোম্পানির ম্যানেজার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “অভিযান শেষে আমরা কাগজপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলাম। ঠিক তখনই কয়েকজন লোক আমাদের গাড়িতে হামলা করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিমল সরকারসহ আমাদের দলের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।”
এ বিষয়ে জানতে পাম্পের মালিক মো. মোতাহার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ