পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের পরদিন বাড়ির পাশের নদ থেকে সমিজা খাতুন (৩৭) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার শান্তিনগর এলাকাসংলগ্ন পাথরাজ নদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

সমিজা খাতুন দণ্ডপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি মৃগীরোগে আক্রান্ত ছিলেন। প্রায় বছর দশেক আগে বিয়ে হলেও বিয়ের কিছুদিন পর তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এর পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতে থাকতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

দেবীগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার দুপুরে বাড়ির কাছে পাথরাজ নদের পাড়ে ছাগল বাঁধতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি সমিজা। রাতে পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। আজ সকালে ওই নদের পানিতে এক নারীর লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে জানান স্থানীয় লোকজন। এ সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে সমিজার পরিবারের সদস্যরা লাশটি শনাক্ত করেন। নদের ধারে ছাগল বাঁধতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পানিতে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্বজনেরা।

দেবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, ওই নারীর লাশ প্রাথমিক সুরতহাল শেষে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘চরিত্ররা কেউ কথা বলে না, শুধু হাঁটে আর চিন্তা করে!’

বুদাপেস্টের এক বিষণ্ন বিকেল। শহরের বুকজুড়ে নীরবতা, বৃষ্টি পড়ছে অনবরত, আর এক তরুণ লেখক কাঁধে একটি ছেঁড়া ব্যাগ ঝুলিয়ে হাঁটছেন প্রকাশনা অফিসের দিকে। ব্যাগে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘সাতানট্যাঙ্গো’র পাণ্ডুলিপি। ১৯৮৩ সাল। হাঙ্গেরিতে তখন কঠোর সমাজতান্ত্রিক শাসন, সাহিত্যে কেবল উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিশানা দেখানো ছাড়া অন্য বয়ান সরকারের কাছে ‘অনুচিত’ মনে করা হয়।

লাসলো ক্রাসনাহোরকাই তখনো একেবারেই অজানা নাম। প্যারিস রিভিউকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাসলোর ভাষায়, ‘আমি কেবল চেয়েছিলাম মানুষকে তার নিজের ভয়টার সামনে দাঁড় করাতে। প্রকাশক পাণ্ডুলিপি দেখে দ্বিধায় পড়েছিলেন। তিনি বলেন, এই বইয়ে তো কেউ কথা বলে না, শুধু হাঁটে আর চিন্তা করে! পাঠক কি ঘুমাবে না?’

লাসলো শান্তভাবে জবাব দেন, ‘তারা ঘুমাবে না, তারা ভয় পাবে।’ সংলাপটি প্রথম উল্লেখ করেন লেখকের জীবনীকার জর্জ শির্তেশ (George Szirtes), যিনি ‘সাতানট্যাঙ্গো’র ইংরেজি অনুবাদকও।

সাতানট্যাঙ্গো বইয়ের প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ