বন্দরে জিয়া সৈনিক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
Published: 13th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জিয়া সৈনিক দলের তৃতীয়তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করেছেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
সোমবার ( ১৩ অক্টোবর) বিকালে মালিবাগ এলাকায় অবস্থিত ক্যাসল ফুড চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্দর উপজেলা নবগঠিত আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ কেক কেটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জিয়া সৈনিক দলের তৃতীয় তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা জিয়া সৈনিক দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মনা মেম্বার, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোতালেব সরকার, সদস্য সচিব নূরুজ্জামান মোল্লা, যুগ্ম আহবায়ক মাজেদা আক্তার মেম্বার, যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম, যুগ্ম আহবায়ক মঞ্জুর হোসেন, জিয়া সৈনিক দলের নেতা সাকিল, রাজু আহম্মেদ, আবদুর রাজ্জাক, সফুরউদ্দিন, আল আমিন, হান্নান, শরীফ, সিরাজ, রবিন, ইসমাইল ও ফারুক আহম্মেদ প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ন ক দল র
এছাড়াও পড়ুন:
মাদাগাস্কারে বিক্ষোভের মুখে গোপনে দেশ ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট
মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়েছেন। ফ্রান্সের সম্প্রচারমাধ্যম রেডিও আরএফআই আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে এক গোপন চুক্তি করেন রাজোয়েলিনা। এরপর একটি ফরাসি সামরিক বিমানে করে তাঁকে দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট দেশত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন মাদাগাস্কারের পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা সিতেনি রান্দ্রিয়ানাসোলোনিয়াইকোও। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর রোববার প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়েছেন। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিদ্যুৎ ও পানির সংকটকে কেন্দ্র করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে মাদাগাস্কারে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছিল। এর মধ্যেই রোববার বিদ্রোহী একটি সেনা ইউনিটের পক্ষ থেকে মাদাগাস্কারের পুরো সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পর থেকে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা মূলত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের মধ্যে রাজোয়েলিনার জন্য আরও একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছিল দেশটির বিরোধী দল। সোমবার বিরোধীদলীয় নেতা সিতেনি র্যানদ্রিয়ানাসোলোনিয়াইকে রয়টার্সকে জানান, মাদাগাস্কারের জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় সদস্যরা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনপ্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছেন।
অভ্যুত্থানের বিষয়ে সতর্ক করেন রাজোয়েলিনা
রাজোয়েলিনা রোববার ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চলছে। মাদাগাস্কারের যে বিদ্রোহী সেনা ইউনিট সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, সেটি ক্যাপস্যাট নামে পরিচিত। সেনাবাহিনীর অভিজাত এই ইউনিটটি ২০০৯ সালের অভ্যুত্থানে তাঁকে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করেছিল।
এদিকে সোমবার প্রেসিডেন্টের পালানোর খবর পাওয়ার আগে মাদাগাস্কারের রাজধানী আন্তানানারিভোর একটি চত্বরে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। তাঁরা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানান। হোটেল কর্মী এড্রিয়ানারিভনি ফানোমেগানৎসো (২২) বলেন, তাঁর মাসিক বেতনের পুরোটাই খাবারের খরচের পেছনে ব্যয় হয়। এ কারণেই তিনি বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ১৬ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সরকার নিজেদের উন্নতি ছাড়া আর কিছু করেনি। মানুষজন গরিবই থেকে গেছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী তরুণ প্রজন্ম, জেন-জিরা।