বগুড়ায় বাসে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ঢাকায় যাওয়ার পথে চালক আটক
Published: 13th, October 2025 GMT
বগুড়ায় দূরপাল্লার বাসে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে বাসচালককে আটক করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তথ্যের ভিত্তিতে আজ সোমবার রাতে ঢাকায় যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে ওই চালককে আটক করে হাইওয়ে পুলিশ। পরে রাত ১১টার দিকে তাকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সোয়াইব হাসান ওরফে সাকিব (২৮) নামের ওই চালক বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জয়ন্তীবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। তাকে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া আনা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানীর গাবতলী থেকে বগুড়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ‘আর কে ট্রাভেলস’ পরিবহনের একটি বাস। পথে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকা থেকে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী এবং তার এক বন্ধু বগুড়ায় ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই বাসে ওঠে। বেলা আড়াইটার দিকে বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় বাসটি পৌঁছালে সব যাত্রী নেমে যান। তখন চালক রাকিব হাসান, বাসের সুপারভাইজার ও চালকের সহকারী ওই ছাত্রীর বন্ধুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নামিয়ে দেন। এরপর চালক বাসে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীকে ঠনঠনিয়া বাস টার্মিনালে নিয়ে আসেন। সেখানে আর কে ট্রাভেলসের কাউন্টারের লোকজন মেয়েটিকে ঢাকাগামী একটি বাসে সিরাজগঞ্জে পাঠিয়ে দেন।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা প্রথম আলোকে বলেন, দূরপাল্লার বাসে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়ায় আসা একজন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ডিবির একটি দল চালককে ধরতে অভিযানে নামে। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে চালক রাকিব হাসানকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আর কে ট্রাভেলসের অন্য কর্মচারীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা গ্রহণের পর মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে আইওএমের ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু
নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘সিনেমা আঙিনা’ নামের এ প্রদর্শনী দেখানো হবে।
সোমবার আইওএমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইতালির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ১৩ অক্টোবর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। মাদারীপুর, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার ১৩টি পৌরসভা ও প্রায় ৪৮০টি গ্রামে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হবে। এতে নাটক, সংগীতানুষ্ঠান, কর্মশালা ও সম্প্রদায়ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি), জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করবে।
আইওএম জানিয়েছে, এই ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য তরুণ প্রজন্ম ও স্থানীয় জনগণকে অনিরাপদ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করা। পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও নিরাপদ অভিবাসনের সুযোগে উৎসাহিত করা।
আইওএম বাংলাদেশের মিশনপ্রধান ল্যান্স বোনো বলেন, যখন অভিবাসন নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে হয়, তখন তা উন্নয়নের একটি শক্তিশালী চালিকা শক্তি হয়ে ওঠে। ‘সিনেমা আঙিনা’ এমন একটি সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম, যা সরাসরি জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেয় এবং মানুষকে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
আইওএমের ভূমধ্যসাগরীয় সমন্বয় অফিসের পরিচালক সালভাতোরে সর্তিনো বলেন, ‘সিনেমা আঙিনা’ বাংলাদেশে এক নতুন অভিজ্ঞতা। আফ্রিকার তুলনায় এখানে প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তবে সম্ভাবনা অনেক। এই উদ্যোগ ইতিবাচক বার্তা প্রচার ও অভিবাসন বিষয়ে পারস্পরিক শেখার সুযোগ তৈরি করবে।
২০০২ সালে ইতালির সহযোগিতা ও উদ্যোগে শুরু হয় ‘সিনেমা আঙিনা’। শুরুতে এটি সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা প্রচারণা হিসেবে কাজ করলেও ২০১৮ সাল থেকে আইওএমের অংশীদারত্বে অনিরাপদ অভিবাসনের ঝুঁকি ও সচেতন সিদ্ধান্ত গ্রহণে উৎসাহিত করার আন্তর্জাতিক প্রচারে রূপ নেয়। আফ্রিকার ছয়টি দেশে ৬৭০টির বেশি প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছেছে এই উদ্যোগ।