১০ হাজার ইয়াবাসহ রেলওয়ে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
Published: 13th, October 2025 GMT
যশোরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কর্মকর্তাদের অভিযানে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এই ইয়াবা বহনকারী রেলওয়ে পুলিশের সদস্য মহিবুর রহমান রিমনকে (৩১) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার ইছালি ইউনিয়নের মনোহরপুর এলাকায় যশোর-মাগুরা মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে রিমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
জাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বন্ধুর ফোন চুরি করে ইয়াবা সেবনের অভিযোগ
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার
রিমন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের মাছিজিদ্দা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। তিনি চিটাগং রেলওয়ে পুলিশে কর্মরত।
চিটাগং রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) সাকিলা সুলতানা জানান, মহিবুর রহমান রিমন চিটাগং রেলওয়ে পুলিশে কর্মরত।
যশোরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসলাম হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্বাস ফিলিং স্টেশনের পাশে দাঁড়ানো সোহাগ পরিবহনের যাত্রী রিমনের ব্যাগ তল্লাশি করে ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। তাকে কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যশোর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খাতিনি বাদী হয়ে রিমনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাদাগাস্কারে বিক্ষোভের মুখে গোপনে দেশ ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট
মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়েছেন। ফ্রান্সের সম্প্রচারমাধ্যম রেডিও আরএফআই আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে এক গোপন চুক্তি করেন রাজোয়েলিনা। এরপর একটি ফরাসি সামরিক বিমানে করে তাঁকে দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট দেশত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন মাদাগাস্কারের পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা সিতেনি রান্দ্রিয়ানাসোলোনিয়াইকোও। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর রোববার প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়েছেন। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিদ্যুৎ ও পানির সংকটকে কেন্দ্র করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে মাদাগাস্কারে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছিল। এর মধ্যেই রোববার বিদ্রোহী একটি সেনা ইউনিটের পক্ষ থেকে মাদাগাস্কারের পুরো সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পর থেকে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা মূলত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের মধ্যে রাজোয়েলিনার জন্য আরও একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছিল দেশটির বিরোধী দল। সোমবার বিরোধীদলীয় নেতা সিতেনি র্যানদ্রিয়ানাসোলোনিয়াইকে রয়টার্সকে জানান, মাদাগাস্কারের জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় সদস্যরা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনপ্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছেন।
অভ্যুত্থানের বিষয়ে সতর্ক করেন রাজোয়েলিনা
রাজোয়েলিনা রোববার ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চলছে। মাদাগাস্কারের যে বিদ্রোহী সেনা ইউনিট সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, সেটি ক্যাপস্যাট নামে পরিচিত। সেনাবাহিনীর অভিজাত এই ইউনিটটি ২০০৯ সালের অভ্যুত্থানে তাঁকে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করেছিল।
এদিকে সোমবার প্রেসিডেন্টের পালানোর খবর পাওয়ার আগে মাদাগাস্কারের রাজধানী আন্তানানারিভোর একটি চত্বরে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। তাঁরা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানান। হোটেল কর্মী এড্রিয়ানারিভনি ফানোমেগানৎসো (২২) বলেন, তাঁর মাসিক বেতনের পুরোটাই খাবারের খরচের পেছনে ব্যয় হয়। এ কারণেই তিনি বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ১৬ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সরকার নিজেদের উন্নতি ছাড়া আর কিছু করেনি। মানুষজন গরিবই থেকে গেছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী তরুণ প্রজন্ম, জেন-জিরা।