পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত
Published: 13th, October 2025 GMT
রাজধানীর শ্যামপুরের জুরাইনে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন মো. সজীব হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। পরিবারের দাবি, পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তিনি গাড়ির ইঞ্জিন মিস্ত্রি ছিলেন।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তুলার বাগিচা বাজারে কাজলের পলিথিনের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সজীবের ভাগনে জাকির হোসেন জানান, আড়াই মাস আগে মো.
জাকিরের ভাষ্য, পরে শাহীন সজীবকে নিচে বাজারে কাজলের দোকানে গিয়ে বসতে বলেন। সজীব সেখানে গিয়ে বসেন। কিছুক্ষণ পর শাহীন দোকানে এসে আবারও তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তিনি সজীবের পেটের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সজীবকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সজীবের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি শ্যামপুর থানাকে জানানো হয়েছে।
নিহত সজীব মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিক্রমপুর গ্রামের মো. ইয়াদ আলীর ছেলে। তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে শ্যামপুরের জুরাইন পোস্তগোলার কুলির বাগিচা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ অপ্রত্যাশিত: ঢাবি সাদা দল
তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের অমানবিক আক্রমণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান তারা।
আরো পড়ুন:
শিক্ষকদের সাদা-নীল দলে বিভাজন বন্ধ করতে হবে: সাদিক কায়েম
সারা দেশে সরকারি কলেজে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা মঙ্গলবার
বিবৃতিতে সাদা দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, ন্যায্য ও মৌলিক অধিকার আদায়ের দাবিতে সভা-সমাবেশ করা নাগরিক অধিকার। এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন তার ব্যতিক্রম বলে আমরা মনে করি না। কিন্তু রবিবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছোঁড়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য সর্বপোরি অপ্রত্যাশিত।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা ও উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবি পুরোটাই শিক্ষকদের মৌলিক অধিকার এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। তাদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে দমন করার একটি অশুভ প্রচেষ্টা। এটি গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
সংগঠনের নেতারা বলেন, সরকারকে দ্রুত শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ওপর হামলায় জড়িত সকল পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেইসঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে জাতীয়করণের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আমরা এই ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, সরকার শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি ও অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের দাবি মেনে নেবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী