ঢাকার কলাবাগান এলাকায় একটি বাসার ডিপ ফ্রিজ থেকে তাসলিমা আক্তার (৪২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন তার স্বামী নজরুল ইসলাম। 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মো. ফজলে আশিক রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের স্বামী নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে প্রকৃত কারণ জানা যেতে পারে।”

এ ঘটনায় তাসলিমা আক্তারের এক স্বজন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে সোমবার রাতে কলাবাগান ফার্স্ট লেনের একটি ভবন থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে তালা ভেঙে ডিপ ফ্রিজে মুখ বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে। 

পুলিশ আরো জানায়, মাথায় ভারী বা ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা করা হয়েছে। ফলে মাথার হাড় ভেঙে খুলি বের হয়ে গেছে। 

তাসলিমা আক্তারের মেয়ে বলেন, “বাবা আম্মুকে সন্দেহ করতেন। ভাবতেন তার অন্য কারো সাথে সম্পর্ক ছিল এবং খারাপ কাজ করে টাকা উপার্জন করতো। কিন্তু আমার মা তেমন বাইরেই যেতেন না। আমার বাবা নেশা করতো। অধিকাংশ সময় বাইরে থেকে নেশা করে ঘরে ফিরত, কখনও কখনও বাসায় এসেও নেশা করতো। বাবাই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাকে হত্যা করেছে।”

মাকে হারিয়ে তার হত্যার বিচার চেয়ে তাসলিমার মেয়ে বলেন, “আমরা চাই, বাবার ফাঁসি হোক।”

নিহতের চাচাতো ভাই বলেন, “মাঝে মাঝেই আমার বোন দুলাইভায়ের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। বোনকে মারধর করত। প্রায় বাবার বাড়ি চলে যেত।”

ঢাকা/এমআর/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার 

ঢাকার কলাবাগান এলাকায় একটি বাসার ডিপ ফ্রিজ থেকে তাসলিমা আক্তার (৪২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন তার স্বামী নজরুল ইসলাম। 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মো. ফজলে আশিক রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের স্বামী নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে প্রকৃত কারণ জানা যেতে পারে।”

এ ঘটনায় তাসলিমা আক্তারের এক স্বজন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে সোমবার রাতে কলাবাগান ফার্স্ট লেনের একটি ভবন থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে তালা ভেঙে ডিপ ফ্রিজে মুখ বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে। 

পুলিশ আরো জানায়, মাথায় ভারী বা ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা করা হয়েছে। ফলে মাথার হাড় ভেঙে খুলি বের হয়ে গেছে। 

তাসলিমা আক্তারের মেয়ে বলেন, “বাবা আম্মুকে সন্দেহ করতেন। ভাবতেন তার অন্য কারো সাথে সম্পর্ক ছিল এবং খারাপ কাজ করে টাকা উপার্জন করতো। কিন্তু আমার মা তেমন বাইরেই যেতেন না। আমার বাবা নেশা করতো। অধিকাংশ সময় বাইরে থেকে নেশা করে ঘরে ফিরত, কখনও কখনও বাসায় এসেও নেশা করতো। বাবাই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাকে হত্যা করেছে।”

মাকে হারিয়ে তার হত্যার বিচার চেয়ে তাসলিমার মেয়ে বলেন, “আমরা চাই, বাবার ফাঁসি হোক।”

নিহতের চাচাতো ভাই বলেন, “মাঝে মাঝেই আমার বোন দুলাইভায়ের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। বোনকে মারধর করত। প্রায় বাবার বাড়ি চলে যেত।”

ঢাকা/এমআর/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ