ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাংলাদেশ সফরে আসতে চান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট
Published: 14th, October 2025 GMT
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাংলাদেশ সফরে আসতে চান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করবে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট লুলা এই ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সামাজিক ব্যবসা, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং দারিদ্র্য বিমোচনের কৌশলসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় অধ্যাপক ইউনূস প্রেসিডেন্ট লুলাকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। প্রেসিডেন্ট লুলা আমন্ত্রণ গ্রহণ করে জানান, তিনি আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাংলাদেশ সফর করতে চান।
তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশে যাব।”
প্রেসিডেন্ট লুলা জানান, ব্রাজিল তার নাগরিকদের জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে এবং বাংলাদেশের সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার আগ্রহী। জবাবে অধ্যাপক ইউনুস বলেন, “দারুণ হবে সেটি।”
দুই নেতা গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণ, ওষুধ ও ভ্যাকসিনের পেটেন্ট-মুক্ত উৎপাদন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা ও সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস স্মরণ করেন ২০০৮ সালে ব্রাজিল সফরে তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে দেশটির বিভিন্ন শহরে তার সফরের অভিজ্ঞতা।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০ এর আয়োজন করবে ব্রাজিল। সেখানে অংশগ্রহণের জন্য প্রেসিডেন্ট লুলা অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান।
অধ্যাপক ইউনূস আমন্ত্রণের জন্য প্রেসিডেন্ট লুলাকে ধন্যবাদ জানিয়ে জানান, তিনি হয়তো ওই সম্মেলনে অংশ নিতে পারবেন না, কারণ ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে তিনি ব্যস্ত থাকবেন।
তিনি বলেন, “আসন্ন নির্বাচন হবে ‘ঐতিহাসিক’। কারণ এটি গত ১৬ বছরের মধ্যে প্রথম অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এর আগে স্বৈরাচারী শাসনামলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সেগুলো ছিল ভুয়া ও প্রহসনের নির্বাচন।”
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা আরো জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।
আলোচনার এক পর্যায়ে দুই নেতা ফুটবলকে বৈশ্বিক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে প্রশংসা করেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের প্রত্যেক গ্রামে মানুষ ব্রাজিল দলকে সমর্থন করে।”
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দ শ সফর র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবল খেলা ঘিরে সংঘর্ষে জড়ান তিন বিভাগের শিক্ষার্থী, বহিষ্কৃত ৮
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলা ঘিরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এই সংঘর্ষে শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি বৈঠকে আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শওকাত আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জিরো টলারেন্স নীতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনার অধিকতর তদন্ত ও দোষীদের চিহ্নিত করতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ইলিয়াছ প্রামানিককে আহ্বায়ক ও প্রক্টর ফেরদৌস রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেন-জি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে মার্কেটিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার অপুর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে মীমাংসা হলেও সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন চকবাজার এলাকায় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। এর জেরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাত সাড়ে নয়টার পর দফায় দফায় স্লোগান দিতে দেখা যায় পরিসংখ্যান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের। একপর্যায়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ঢুকে পড়লে সেখানে ভাঙচুর চালান পরিসংখ্যান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এতে আহত হন অন্তত চার শিক্ষার্থী।
শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের তথ্য জানান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শওকত আলী। গতকাল সোমবার রাতে