“রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি করিনি বা কাউকে চুরি করতে সহায়তা করিনি। আমার কোনো অপরাধ নেই। তাহলে আমি কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হব?”

সোমবার (১৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ স‌ম্মেল‌নে এক প্রশ্নের জবা‌বে এসব কথা বলেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

উপদেষ্টারা সেফ এক্সিট খুঁজছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা নাহিদ ইসলামের এ মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “আমি যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি, আমার কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। আমি এ দেশের নাগরিক, আমি এ দেশেই থাকব।” 

তিনি প্রশ্ন রা‌খেন, আমরা দেশ থেকে কোথায় পালাব? আমার ঢাকা শহরে কোনো বাড়ি নেই। চট্টগ্রাম শহরেও কোনো বাড়ি নেই। আমি সেফ এক্সিট নিয়ে কি বাইরে রাস্তায় গিয়ে শুয়ে থাকব? এই দেশটা আমার। আমরা যদি একটা নির্বাচিত সরকারকে দায়িত্বটা বুঝিয়ে দিতে পারি, সেটা আমাদের বড় সফলতা। এটা আমাদের জন্য কৃতিত্ব৷ সেফ এক্সিটের কোনো প্রয়োজনই নেই। আমরা কোনো অপরাধ করিনি, কোনো টাকা লুট করিনি যে আমাদের লুকিয়ে থাকতে হবে।

যারা জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিল, তাদের সঙ্গে কি সরকারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমার তো মনে হয় না, দূরত্ব তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে অনেকেই অনেক কথা বলেন। সবকিছু তো আর শতভাগ মাপা যায় না। আমাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক ভালো। প্রত্যেকের সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছি।”

যাদের আন্দোলনের ফলে আপনারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তারা কেন বলছেন? তারা কেন আপনাদের অবিশ্বাস করছেন? এ অবস্থাটা কেন তৈরি হয়েছে? জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটা নাহিদই ভালো বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে আমার পক্ষে বলা কঠিন।

“আমরা আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সব সিস্টেমকে একটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি। আগামীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন, তাদের জন্য আমরা পথ মসৃণ করে রেখেছি,” ব‌লেন‌ অন্তর্বর্তী সরকা‌রের এই উপদেষ্টা।

সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মু.

আ. আউয়াল হাওলাদার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আয়াতুল ইসলাম, প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমতিয়াজ হোসেন, যুগ্ম সচিব (হজ) ড. মো. মঞ্জুরুল হক, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ফ এক স ট র উপদ ষ ট আম দ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

লালনের আখড়ায় মাদক সেবন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কুষ্টিয়ায় বাউল ফকির লালন শাহের আখড়া বাড়িতে মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাদ আছর বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরির সামনে মানববন্ধন করা হয়। এতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়। 

আরো পড়ুন:

ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করানোর অভিযোগ

জাবিতে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের বিচার দাবি

বক্তারা বলেন, ‘‘মাদক সমাজ ধ্বংসের নীরব ঘাতক। এটি পরিবারে অশান্তি আনে, তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নভঙ্গ করে। অপরাধ, ধর্ষণ, হত্যা ও আত্মহত্যার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাদক মানুষকে আল্লাহর সন্তুষ্টি থেকে দূরে সরিয়ে নরকের পথে ঠেলে দেয়। বিগত কয়েক বছর ধরে লালন আখড়ায় মেলার সময় প্রশাসনের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে মাদক সেবনের মহোৎসব চলে আসছে। এতে যুবসমাজ বিপথগামী হচ্ছে এবং চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি এমনকি খুনের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’’ 

বক্তারা আরো বলেন, ‘‘আগামী ১৭, ১৮ ও ১৯ অক্টোবর লালন তিরোধান দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের সময় যদি লালন আখড়ায় প্রকাশ্যে মাদক সেবন হয়, তবে আমরা নীরব থাকব না। তখন কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের জনগণ মাদকের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে।’’ 

মানববন্ধনে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা শারাফাত হুসাইনের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন আল-খিদমাহ অর্গানাইজেশন কুষ্টিয়ার সভাপতি হৃদয় হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আবরার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আরিফুজ্জামান এবং জেলা সভাপতি আবদুল লতিফ খান প্রমুখ।
 

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ