পার্বত্য জেলা বান্দরবানের অন্যতম দর্শনীয় স্থান কেওক্রাডং ১ অক্টোবর থেকে পর্যটকদের জন্য খোলার কথা থাকলেও তা আপাতত হচ্ছে না। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুঠোফোনে রাইজিংবিডি বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, ‘‘আমাদের আরো পর্যবেক্ষণ করা দরকার। খুলে দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন রকমের তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ক্লিয়ারেন্স এখনো হাতে পাইনি।

তিনি আরো বলেন, ‘‘সবকিছু পজিটিভ হলে আমরা গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে জানিয়ে দিব। এটা ১ তারিখ হতে পারে বা তার আশেপাশে যেকোনো দিন হতে পারে।’’

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে (২৭ সেপ্টেম্বর) মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেছিলেন, ১ অক্টোবর থেকে কেওক্রাডং খুলে দেওয়া হবে। তবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত তা স্থগিত করা হয়েছে।

ঢাকা/চাইমং/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া পর্যটনকেন্দ্রে বাঘের দেখা

পূর্ব সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া ইকো পর্যটনকেন্দ্রের ফুট ট্রেইলে দেখা মিলেছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের। 

গতকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে পর্যটনকেন্দ্রের ফুট ট্রেইলে বিশালাকৃতির একটি বাঘকে বসে থাকতে দেখেন পর্যটকরা। 

এসময় তারা বাঘের বসে থাকার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। পরে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ২৯ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিশাল এক রয়েল বেঙ্গল টাইগার ফুট ট্রেইলের মাঝখানে শান্তভাবে বসে আছে। কিছু সময় বসে থাকার পর বাঘটি ফুট ট্রেইলে হাঁটা শুরু করে।

হারবাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম রমজান আলী কানন বলেন, “শনিবার পর্যটকরা যখন ফুট ট্রেইলে হাঁটছিলেন তখন তারা সেখানে একটি বাঘকে বসে থাকতে দেখেন। বাঘটি কিছু সময় বসেছিল। আমরা বাঘটিকে আবার বনে তাড়িয়ে দিই।”

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, হাড়বাড়িয়া ইকো পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। প্রতিদিনই সেখানে শত শত দেশি-বিদেশি পর্যটক ঘুরতে আসেন। এত কাছ থেকে বাঘ দেখা অত্যন্ত বিরল ঘটনা।

তিনি বলেন, “হাড়বাড়িয়া অঞ্চল সুন্দরবনের মূল বাঘের বিচরণক্ষেত্রের সন্নিকটে। তাই মাঝে মাঝে বাঘের উপস্থিতি দেখা যায়। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করেছি।”

২০১৮ সালের শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের বাঘ গণনায় সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫টিতে। অর্থাৎ গত ছয় বছরে বাঘ বেড়েছে ১১টি।

ঢাকা/শহিদুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মার্কিন পর্যটকদের ওপর ১০ হাজার ডলার ভিসা বন্ড আরোপ করল মালি
  • সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া পর্যটনকেন্দ্রে বাঘের দেখা