মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ‘রাসেল-ফয়সাল বাহিনী’ নামে একটি চক্রের পিস্তল দিয়ে গুলি চালানোর প্রশিক্ষণের ভিডিও সোমবার (১৩ অক্টোবর) ভাইরাল হয়েছে। ১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, চার জন যুবক জনশূন্য স্থানে দুটি পিস্তল নিয়ে গুলি করছেন এবং অন্যদের অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলার বাঘরা এলাকার রাসেল, কামারখোলা এলাকার ফয়সাল, মথুরা পাড়ার আহির ও মথুরাপাড়া অর্পণের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ। তবে, ভিডিও দেখে সুনির্দিষ্ট স্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ ধারণা করছে, ঘটনাস্থল শ্রীনগর উপজেলার বাগড়া গ্রাম।

ভিডিওতে বাহিনীর প্রধান হিসেবে পরিচিত রাসেলের মুখ না দেখা গেলেও, তার কণ্ঠ স্পষ্টভাবে শোনা যাচ্ছে। সেখানে ফয়সাল নামে আরেক যুবককে দেখা যায় আহির নামের এক যুবককে গুলি ছোঁড়ার প্রশিক্ষণ দিতে।

এ বিষয়ে জানতে রাসলের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো.

আনিসুর রহমান বলেন, “ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।”

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ র নগর

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে ২৫ লাখ টাকা ছিনতাই: ৯ জন গ্রেপ্তার, ৫ লাখ টাকা উদ্ধার

ঢাকার সাভারে নগদ ২৫ লাখ টাকা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার ৭টি পে-অর্ডার ছিনতাইয়ে মামলায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহিদুল ইসলাম খান এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার ডাকাতদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ৫ লাখ টাকা, একটি নোয়া মাইক্রোবাস, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত খেলনা পিস্তলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে মা-মেয়েকে মারধর, থানায় অভিযোগ

শ্রীনগরে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের ভিডিও ভাইরাল

গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ডেলিকেট গার্মেন্টসের তিন কর্মকর্তাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে গাড়িতে তুলে নিয়ে মারধর করে তাদের কাছে থাকা ২৫ লাখ টাকা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার ৭টি পে-অর্ডার ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, পাবনার চাটমোহর থানার শহিদুল ইসলাম (৪২), শেরপুরের শ্রীবরদী থানাধীন ধাতুয়া গ্রামের সুমন মিয়া (৬৫), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার গাবুয়া গ্রামের ইদ্রিস (৪৮), মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার করতল এলাকার উজ্জ্বল (৪২), ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানাধীন ভাটপাড়া গ্রামের মামুন আহম্মেদ মিন্টু (৫২), মাগুরার সদর থানার বাটাজোর গ্রামের ইউনুস বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসান (২৭), সাতক্ষীরার দেবহাটা থানাধীন গুরুগ্রাম এলাকার মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে শামীম আহম্মেদ সবুজ (৩২), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার দক্ষিণ বড় মাচুয়া গ্রামের শাহাদাত (৬০) এবং শরীয়তপুরের সখিপুর থানার কানুন গো সাহেবের কান্দি গ্রামের মৃত নুরুল হক প্রধানের ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন (৩৭)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে সাভারের ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে নোয়া মাইক্রোবাসসহ প্রথমে ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

ডাকাতির মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সাভারের ফুলবাড়িয়ার ডেলিকেট গার্মেন্টস লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলে তেজগাঁও রেজিস্ট্রি অফিসে যাওয়ার পথে তাদের প্রাইভেটকারটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। পরে ডাকাতরা তাদের নোয়া মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে মারধর করার পাশাপাশি সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও পে-অর্ডারগুলো ছিনিয়ে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে নামিয়ে দেয়। 

২৬ সেপ্টেম্বর কারখানার একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। 
 

ঢাকা/সাব্বির/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ