এনসিপি ১৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রতীক বাছাই না করলে সিদ্ধান্ত দেবে ইসি
Published: 14th, October 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ১৯ অক্টোবরের মধ্যে বিধিমালায় নির্ধারিত প্রতীকের তালিকা থেকে বিকল্প বাছাই করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানাতে হবে। তা না হলে ইসি নিজ বিবেচনায় দলটির প্রতীকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ইসি সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, এনসিপিকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করেছে এনসিপি। দলটি তাদের প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় এই প্রতীক অন্তর্ভুক্ত না থাকায় শাপলা এনসিপিকে বরাদ্দ করা হচ্ছে না।
ইসি এনসিপিকে বিধিমালায় নির্ধারিত তালিকা থেকে একটি প্রতীক পছন্দ করতে চিঠি দিয়েছিল। ৭ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে এনসিপিকে জানাতে বলেছিল ইসি। তবে এনসিপি তাদের প্রতীক হিসেবে আবার শাপলা দাবি করেছে।
ইসির সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এনসিপি শাপলা দাবি করলেও প্রতীকের তালিকায় না থাকায় তা বরাদ্দ দেওয়া যায়নি। ইসির সিদ্ধান্ত একই। কমিশন মনে করে, তালিকায় শাপলা অন্তর্ভুক্ত করার দরকার নেই।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এনস প ক
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মাহাফুজ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোগল চন্দ্র পাল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯ (১৯৮৯ সালের ২০ নং আইন) এর ধারা ১২ (১) (গ) অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (দায়িত্ব থেকে বিরত) জিরুনা ত্রিপুরাকে তাঁর পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হলো।’
এর আগে চলতি বছরের ৭ জুলাই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে সাময়িকভাবে সব ধরনের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, জেলা পরিষদের ১৪ জন সদস্য জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে পরিষদের সদস্যদের অবমূল্যায়ন, হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষক বদলি-বাণিজ্য এবং ঠিকাদারদের বিল আটকে রেখে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চালায় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় জিরুনা ত্রিপুরাকে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন।
আরও পড়ুনখাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার নির্দেশ০৭ জুলাই ২০২৫