ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ববিতে বিক্ষোভ
Published: 24th, October 2025 GMT
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইসকনকে ‘উগ্রবাদী জঙ্গি’ সংগঠন আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুম’আ ‘দেশপ্রেমী শিক্ষার্থীর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ড ফ্লোরে এসে সমাবেশ করে।
আরো পড়ুন:
রেজোয়ানের ভাসমান স্কুলের ইউনেস্কোর পুরস্কার অর্জন
ববির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
এ সময় তারা ‘ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী’, ‘ইসকনের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘‘ইসকন নামে সংগঠন বিভিন্ন ধরনের উস্কানি, হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণসহ সাম্প্রদায়িক ও গণবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থেকে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে।’’
ইনকিলাব মঞ্চ, ববি শাখার সদস্য সচিব ইফতেখার সায়েম বলেন, “৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত ইসকন তথা ভারত ও আওয়ামী লীগের বি-টিমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চলমান উস্কানি, হত্যা, ধর্ষণসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
ইফতেখার সায়েম আরো বলেন, “মাওলানা মহিবুল্লাহ মাদানি ইসকনের দ্বারা গুম, নির্যাতন ও হুমকির শিকার হয়েছেন, এ ঘটনাসহ চলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জবাবদিহিতা চাই।’’
ইফতেখার সায়েম বলেন, ‘‘আমাদের দাবি ইসকনকে এ দেশে নিষিদ্ধ করা হোক এবং তাদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হোক, যাতে আর কোনো সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের ঝনঝনিতে প্রাণ হারাতে না হয়।”
ছাত্ররা বলেন, ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ইসকনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ছাত্র নেতারা তাদের দাবি মানা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
ঢাকা/পলাশ/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজা যুদ্ধ বন্ধে শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে: নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে। তবে প্রধান প্রধান বিষয়গুলো এখনো সমাধান হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ইসরায়েলকে গাজা থেকে আরও সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বিনিময়ে হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে এবং সাংগঠনিক পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
সাংবাদিকদের নেতানিয়াহু বলেন, চলতি মাসের শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়নের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন তিনি। ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র সোমবার জানিয়েছেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর এ বৈঠক হবে।
জেরুজালেমে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসের সঙ্গে বৈঠক শেষে নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় হামাসের শাসনের অবসান ঘটতে হবে এবং তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। অন্য এক অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক বাহিনীর মাধ্যমে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলই শেষ পর্যন্ত হামাসের নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করবে।
হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা বাসেম নাইম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, তারা অস্ত্র সমর্থনের বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। যদিও এর আগে সংগঠনটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়তে রাজি ছিল না।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই মাস পরেও উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিন চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় ৩৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুনগাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস ও ইসরায়েল১৬ ঘণ্টা আগেএদিকে ইসরায়েলি বাহিনী এখনো গাজার অর্ধেকেরও বেশি অংশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। মানবিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বেড়েছে। তবে ইসরায়েলি বিধিনিষেধ ও নিরাপত্তাহীনতা এখনো বিদ্যমান। রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় খোলা নিয়েও মতবিরোধ চলছে।
আরও পড়ুন হামলার মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরুর পরিকল্পনা০৫ ডিসেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনগাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ, দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে সংশয় ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫