আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইসকনকে ‘উগ্রবাদী জঙ্গি’ সংগঠন আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুম’আ ‘দেশপ্রেমী শিক্ষার্থীর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ড ফ্লোরে এসে সমাবেশ করে।

আরো পড়ুন:

রেজোয়ানের ভাসমান স্কুলের ইউনেস্কোর পুরস্কার অর্জন

ববির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

এ সময় তারা ‘ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী’, ‘ইসকনের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘‘ইসকন নামে সংগঠন বিভিন্ন ধরনের উস্কানি, হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণসহ সাম্প্রদায়িক ও গণবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থেকে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে।’’

ইনকিলাব মঞ্চ, ববি শাখার সদস্য সচিব ইফতেখার সায়েম বলেন, “৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত ইসকন তথা ভারত ও আওয়ামী লীগের বি-টিমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চলমান উস্কানি, হত্যা, ধর্ষণসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” 

ইফতেখার সায়েম আরো বলেন, “মাওলানা মহিবুল্লাহ মাদানি ইসকনের দ্বারা গুম, নির্যাতন ও হুমকির শিকার হয়েছেন, এ ঘটনাসহ চলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জবাবদিহিতা চাই।’’ 

ইফতেখার সায়েম বলেন, ‘‘আমাদের দাবি ইসকনকে এ দেশে নিষিদ্ধ করা হোক এবং তাদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হোক, যাতে আর কোনো সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের ঝনঝনিতে প্রাণ হারাতে না হয়।”

ছাত্ররা বলেন, ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ইসকনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ছাত্র নেতারা তাদের দাবি মানা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। 
 

ঢাকা/পলাশ/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে রূপগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

রূপগঞ্জে হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংগঠন ইস্কন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার(২৪ অক্টোবর)জুমার নামাজ শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কর্ণগোপ এলাকায় সর্বস্তরের তাওহীদী জনতার উদ্দোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হাফেজ মাওলানা মুফতি শিহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং হাফেজ মাওলানা মুফতি রাসেল আহমদ ফয়েজির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুফতি শহিদুল ইসলাম বাগিচা পুরী। 

বক্তারা ইস্কনকে একটি “উগ্র হিন্দুত্ববাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠন” আখ্যা দিয়ে সংগঠনটি দ্রুত নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বাগিচা পুরী বলেন,দেশে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ইস্কন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।এ উগ্র সংগঠনকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

তারা এ্যাডভোকেট আলিফকে হত্যা করেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও ইমাম-খতিবদের উপর হামলা চালিয়েছে, এমনকি গাজীপুরে গুমের ঘটনায়ও তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

সন্ত্রাসী ইসকনের সদস্য যখন ধর্ষণ করে তখন তার পক্ষেই পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যন্ত বিবৃতি দেয়া হয় এবং ধর্ষণের ঘটনাকে প্রেমের সম্পর্ক বলে অপরাধকে ছোট করে ধর্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ঘাপটি মেরে থাকা ইসকন সদস্য ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দালালদের বের করে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি সরকার যেন এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

 এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওমর আলী ভূঁইয়া, আবু দায়েন ভূঁইয়া,আবু তৈয়ব ভূঁইয়া, আবু সায়েম ভূঁইয়া, আল আমিন মিয়া, আমির হোসেন, মোবাশ্বির ভূঁইয়া, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে রূপগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
  • ইসকন সদস্যদের সন্ত্রাসবাদের প্রতিবাদে বুটেক্সে মানববন্ধন
  • টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে শিকলবাঁধা অবস্থায় উদ্ধার, বিক্ষোভ