কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৬ মিনিটে। পুরো ম্যাচে বল করা সম্ভব হয় মাত্র ২৬টি। আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শনের পর সিদ্ধান্ত নেন, ভেজা আউটফিল্ডে সময়মতো খেলা শুরু করা সম্ভব নয়। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

এই পয়েন্ট ভাগাভাগিতে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ওপরে অবস্থান নিশ্চিত করে ফেলেছে, বাকি ম্যাচগুলোর ফল যাই হোক না কেন। অন্যদিকে, টুর্নামেন্টে একটিও জয় না পেয়েই বিদায় নিতে হলো পাকিস্তানকে। সাত ম্যাচের মধ্যে তিনটিই বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রশিদ-জাম্পাকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের রিশাদ

ইনিংস ব্যবধানে হারের পর জরিমানাও গুনলো আফগানিস্তান

সারাদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল, তাই শুরুতেই দেরি হয় টসে। নির্ধারিত সময়ের ঠিক আগে নেমে আসে ভারি বৃষ্টি। ফলে টস বিলম্বিত হয় দুই ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। অবশেষে খেলা শুরু হলে ম্যাচটি কমিয়ে আনা হয় ৩৪ ওভারে। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ৪.

২ ওভার বল করা সম্ভব হয়। তারপরই ফের নামে বৃষ্টি। যা থামেনি আর। শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণায়।

খেলার সংক্ষিপ্ত অংশে পাকিস্তান টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল। সতর্ক সূচনা করে মাত্র ১৮ রান তোলে এবং একটি বাউন্ডারি মারে। শ্রীলঙ্কার মালকি মাদারা শুরু থেকেই দারুণ সুইং পেয়ে পাকিস্তান ব্যাটারদের চাপে রাখেন। অন্যদিকে, সগান্দিকা দাসনায়েকে ক্রমেই ভেজা বল হাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।

দলীয় পরিবর্তনেও কিছু চমক ছিল। শ্রীলঙ্কা এক পরিবর্তনে স্পিন অলরাউন্ডার দেউমি ভিহাঙ্গাকে দলে নেয়, বাদ পড়ে পেসার উদেশিকা প্রাবোধানি। পাকিস্তানের দলে দুটি পরিবর্তন; সিদরা নওয়াজ ও ডায়ানা বেগের জায়গায় সুযোগ পান আইমান ফাতিমা ও সাইদা আরুব শাহ।

ফলাফলটি দুই দলের জন্যই হতাশার। টুর্নামেন্টজুড়ে সব মিলে পাঁচটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত সুযোগের যে আকাঙ্ক্ষা তা আরও তীব্র হয়ে উঠল এই বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজ শেষে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মানতে চাপ দিতে হবে

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বন্ধে আরও কঠোরভাবে চাপ দিতে হবে। প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা বা অস্ত্র বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে এ পদক্ষেপ নিতে হবে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার সবচেয়ে তীব্র সমালোচক দেশের একটি হচ্ছে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক। শুরুতে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলেও এখন তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সরাসরি অংশ নিচ্ছে। গত মাসে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এরদোয়ানের বৈঠকের পর থেকে এই ভূমিকা আরও জোরদার হয়েছে।

এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। হামাস পক্ষ যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে, বরং তারা প্রকাশ্যেই তাদের অঙ্গীকার জানাচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে।

এরদোয়ান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলকে সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধবিরতি ও চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। ইসরায়েলকে তার প্রতিশ্রুতি রাখতে বাধ্য করতে হবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও অস্ত্র বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে।

তুরস্ক জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে নজরদারি করতে একটি টাস্কফোর্সে যোগ দেবে। প্রয়োজনে তুর্কি সেনারা সামরিক বা বেসামরিক উভয় ভূমিকায় কাজ করতে পারে। পাশাপাশি, গাজা পুনর্গঠনে তারা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।

বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দেন, গাজায় তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ভূমিকাকে তিনি সমর্থন করেন না।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এরদোয়ান বলেন, ‘গাজায় কাজ করবে যে টাস্কফোর্স, তার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এর কাঠামো এখনো স্পষ্ট নয়। এটি বহুমাত্রিক একটি ইস্যু, তাই ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আমরা গাজাকে যেকোনোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’

তিনি উপসাগরীয় দেশগুলোকে গাজা পুনর্গঠনে অর্থায়নের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই বিশাল কাজটি কোনো একক দেশের পক্ষে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।

গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ও তুরস্কের দীর্ঘদিনের মিত্রতা নতুন নিম্নস্তরে নেমে এসেছে। আঙ্কারা অভিযোগ করেছে, নেতানিয়াহুর সরকার গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে—যা ইসরায়েল বারবার অস্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ