বিজ্ঞাপনে ক্ষিপ্ত হয়ে কানাডার সাথে বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করলেন ট্রাম্প
Published: 24th, October 2025 GMT
কানাডার সাথে ‘সব বাণিজ্য আলোচনা’ অবিলম্বে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
কানাডায় শুল্কবিরোধী একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। কানাডার অন্টারিও প্রদেশের সরকারের অর্থায়ন করা এই বিজ্ঞাপনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের একটি বক্তব্য ব্যবহার করা হয়েছে। ১৯৮৭ সালের ওই বক্তৃতায় রিগ্যান বলেছিলেন, “বাণিজ্যিক বাধা প্রতিটি আমেরিকান কর্মীকে আঘাত করে।”
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, কানাডা ‘প্রতারণামূলকভাবে একটি বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেছে।”
এরপর তিনি লিখেছেন, “তাদের জঘন্য আচরণের ভিত্তিতে, কানাডার সাথে সব বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করা হয়েছে।”
ওয়াশিংটন চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে কাঠ, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং গাড়ি সহ কানাডিয়ান পণ্য আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় কানাডাও পাল্টা মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ করে। আগস্টে ট্রাম্প আবারো শুল্ক হার বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশে উন্নীত করেছিলেন।
ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে অন্টারিও বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড মার্কিন সীমান্ত করের অন্যতম সোচ্চার সমালোচক।
ফোর্ড অক্টোবরের শুরুতে রিগ্যানের মন্তব্য সমন্বিত প্রদেশের নতুন বিজ্ঞাপন প্রচারণা শুরু করেছিলেন। তিনি সেই সময় ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে বলেছিলেন, “আমাদের কাছে থাকা প্রতিটি হাতিয়ার ব্যবহার করে আমরা কানাডার উপর আমেরিকান শুল্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা বন্ধ করব না। সমৃদ্ধির পথ হল একসাথে কাজ করা।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মানতে চাপ দিতে হবে
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বন্ধে আরও কঠোরভাবে চাপ দিতে হবে। প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা বা অস্ত্র বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে এ পদক্ষেপ নিতে হবে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার সবচেয়ে তীব্র সমালোচক দেশের একটি হচ্ছে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক। শুরুতে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলেও এখন তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সরাসরি অংশ নিচ্ছে। গত মাসে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এরদোয়ানের বৈঠকের পর থেকে এই ভূমিকা আরও জোরদার হয়েছে।
এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। হামাস পক্ষ যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে, বরং তারা প্রকাশ্যেই তাদের অঙ্গীকার জানাচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে।
এরদোয়ান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলকে সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধবিরতি ও চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। ইসরায়েলকে তার প্রতিশ্রুতি রাখতে বাধ্য করতে হবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও অস্ত্র বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে।
তুরস্ক জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে নজরদারি করতে একটি টাস্কফোর্সে যোগ দেবে। প্রয়োজনে তুর্কি সেনারা সামরিক বা বেসামরিক উভয় ভূমিকায় কাজ করতে পারে। পাশাপাশি, গাজা পুনর্গঠনে তারা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দেন, গাজায় তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ভূমিকাকে তিনি সমর্থন করেন না।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এরদোয়ান বলেন, ‘গাজায় কাজ করবে যে টাস্কফোর্স, তার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এর কাঠামো এখনো স্পষ্ট নয়। এটি বহুমাত্রিক একটি ইস্যু, তাই ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আমরা গাজাকে যেকোনোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
তিনি উপসাগরীয় দেশগুলোকে গাজা পুনর্গঠনে অর্থায়নের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই বিশাল কাজটি কোনো একক দেশের পক্ষে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ও তুরস্কের দীর্ঘদিনের মিত্রতা নতুন নিম্নস্তরে নেমে এসেছে। আঙ্কারা অভিযোগ করেছে, নেতানিয়াহুর সরকার গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে—যা ইসরায়েল বারবার অস্বীকার করেছে।