আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েও হারাল কক্সবাজার বিমানবন্দর
Published: 24th, October 2025 GMT
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগেরটি বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন রোববার জারি হতে পারে।
এর আগে ১২ অক্টোবর কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন এসেছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে।
১১ দিনের মাথায় সেই প্রজ্ঞাপন স্থগিত করার সরকারি সিদ্ধান্তের কথা আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা মৌখিকভাবে প্রজ্ঞাপন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
২০২১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়ে এর রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ উদ্বোধন করেছিলেন। বিমানবন্দরটির রানওয়ে ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ফুট করার কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। তবে এর প্রায় ১১ হাজার বর্গফুট আয়তনের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত মার্চে কক্সবাজার বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছিলেন।
জানা গেছে, বিমানবন্দরটিকে ‘আন্তর্জাতিক’ স্বীকৃতি দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো দেশি বা বিদেশি এয়ারলাইন কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালানোর ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাজ্যগামী ফ্লাইট চালু থাকলেও কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনাকে লাভজনক মনে করছে না বিমান সংস্থাগুলো। তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস চলতি মাস থেকেই কক্সবাজার থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার আগেই বিমানবন্দরটির ‘আন্তর্জাতিক’ মর্যাদা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হলো।
আরও পড়ুনকক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা, কেমন সুফল মিলতে পারে১৩ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ল ইট
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মানতে চাপ দিতে হবে
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বন্ধে আরও কঠোরভাবে চাপ দিতে হবে। প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা বা অস্ত্র বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে এ পদক্ষেপ নিতে হবে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার সবচেয়ে তীব্র সমালোচক দেশের একটি হচ্ছে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক। শুরুতে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলেও এখন তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সরাসরি অংশ নিচ্ছে। গত মাসে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এরদোয়ানের বৈঠকের পর থেকে এই ভূমিকা আরও জোরদার হয়েছে।
এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। হামাস পক্ষ যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে, বরং তারা প্রকাশ্যেই তাদের অঙ্গীকার জানাচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে।
এরদোয়ান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলকে সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধবিরতি ও চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। ইসরায়েলকে তার প্রতিশ্রুতি রাখতে বাধ্য করতে হবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও অস্ত্র বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে।
তুরস্ক জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে নজরদারি করতে একটি টাস্কফোর্সে যোগ দেবে। প্রয়োজনে তুর্কি সেনারা সামরিক বা বেসামরিক উভয় ভূমিকায় কাজ করতে পারে। পাশাপাশি, গাজা পুনর্গঠনে তারা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দেন, গাজায় তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ভূমিকাকে তিনি সমর্থন করেন না।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এরদোয়ান বলেন, ‘গাজায় কাজ করবে যে টাস্কফোর্স, তার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এর কাঠামো এখনো স্পষ্ট নয়। এটি বহুমাত্রিক একটি ইস্যু, তাই ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আমরা গাজাকে যেকোনোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
তিনি উপসাগরীয় দেশগুলোকে গাজা পুনর্গঠনে অর্থায়নের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই বিশাল কাজটি কোনো একক দেশের পক্ষে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ও তুরস্কের দীর্ঘদিনের মিত্রতা নতুন নিম্নস্তরে নেমে এসেছে। আঙ্কারা অভিযোগ করেছে, নেতানিয়াহুর সরকার গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে—যা ইসরায়েল বারবার অস্বীকার করেছে।