কয়েকজন মেয়ে ভুল মনোভাব নিয়ে এসেছিল: হারের পর তোপ দাগলেন বাটলার
Published: 24th, October 2025 GMT
থাইল্যান্ডের কাছে প্রীতি ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। হারতেই পারে। কারণ, খেলাটা হয়েছে থাইল্যান্ডের থনবুরি বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে। থাইল্যান্ড বাংলাদেশের চেয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে। ফলে এই হারে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। বরং আগামী মার্চে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বের জন্য ভালো শিক্ষা হতে পারে।
কিন্তু ম্যাচ শেষে বেজায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। প্রথমত, তিনি একটা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে এমন ম্যাচ আয়োজন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমি জানি না এটা টায়ার ওয়ান প্রীতি ম্যাচ হিসেবে ধরা যাবে কি না, কারণ আমরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে খেলেছি, যেখানে (ম্যাচ খেলার মতো) যথেষ্ট আলো ছিল না।’
এরপরই তিনি ক্ষোভ উগরে দেন দলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের ওপর, ‘আমার মতে, এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক বিষয় নিয়েছি। কিন্তু আমি মনে করি কয়েকজন মেয়ে ভুল মনোভাব নিয়ে এসেছিল। আমি এই ঢিলেঢালা মনোভাব সহ্য করব না। কেউ যদি আমার জন্য খেলতে চায়, দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চায়, তারা এমন মনোভাব নিয়ে আসতে পারবে না, যা জাতীয় দলের জন্য অনুপযুক্ত।’
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলায় সন্তুষ্ট নন কোচ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মন ভ ব
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মানতে চাপ দিতে হবে
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বন্ধে আরও কঠোরভাবে চাপ দিতে হবে। প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা বা অস্ত্র বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে এ পদক্ষেপ নিতে হবে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার সবচেয়ে তীব্র সমালোচক দেশের একটি হচ্ছে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক। শুরুতে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলেও এখন তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সরাসরি অংশ নিচ্ছে। গত মাসে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এরদোয়ানের বৈঠকের পর থেকে এই ভূমিকা আরও জোরদার হয়েছে।
এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। হামাস পক্ষ যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে, বরং তারা প্রকাশ্যেই তাদের অঙ্গীকার জানাচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে।
এরদোয়ান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলকে সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধবিরতি ও চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। ইসরায়েলকে তার প্রতিশ্রুতি রাখতে বাধ্য করতে হবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও অস্ত্র বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে।
তুরস্ক জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে নজরদারি করতে একটি টাস্কফোর্সে যোগ দেবে। প্রয়োজনে তুর্কি সেনারা সামরিক বা বেসামরিক উভয় ভূমিকায় কাজ করতে পারে। পাশাপাশি, গাজা পুনর্গঠনে তারা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দেন, গাজায় তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ভূমিকাকে তিনি সমর্থন করেন না।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এরদোয়ান বলেন, ‘গাজায় কাজ করবে যে টাস্কফোর্স, তার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এর কাঠামো এখনো স্পষ্ট নয়। এটি বহুমাত্রিক একটি ইস্যু, তাই ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আমরা গাজাকে যেকোনোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
তিনি উপসাগরীয় দেশগুলোকে গাজা পুনর্গঠনে অর্থায়নের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই বিশাল কাজটি কোনো একক দেশের পক্ষে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ও তুরস্কের দীর্ঘদিনের মিত্রতা নতুন নিম্নস্তরে নেমে এসেছে। আঙ্কারা অভিযোগ করেছে, নেতানিয়াহুর সরকার গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে—যা ইসরায়েল বারবার অস্বীকার করেছে।