আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার
Published: 24th, October 2025 GMT
কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জিয়াউর রহমান সরকারের স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী (১৯৭৮-১৯৮২) ডা. ফজলুর করিমের ছেলে সদ্য সাবেক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ আইনজীবী ফোরাম তাকে বহিষ্কার করে। ফয়জুল করিম মুবিন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। পদবীর পাশাপাশি এ সংগঠনের প্রাথমিক সমস্য পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ববির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চবি ছাত্রদলের ৪ নেতা বহিষ্কার
গত বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকালে ‘অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন’ নামে ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে ফয়জুল করিম মুবিন বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। আমি রাজনীতি করেছি দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। তাই এখন মনে করছি, দেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার প্রয়োজন।’’
লাইভ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরটি প্রচারিত হয়।
ওই লাইভে মুবিন আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশের রাজনীতি এখন নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তিনি এই দেশের স্থিতিশীলতার প্রতীক। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এখন ঐক্যের সময়।’’
গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মুবিন ওই ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে বলেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আমি অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন, কিশোরগঞ্জ থেকে ইংরেজি ২১ অক্টোবর অসাংবিধানিক সরকার কর্তৃক জুলাই সনদের তীব্র বিরোধিতা করি।’’
অ্যাডভোকেট ফয়জুল কবীর মুবিন দীর্ঘদিন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি জেলা বিএনপির উপ-দপ্তর সম্পাদক, পৌর বিএনপির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটির কাজ শুরু হয়।
গত ৫ অক্টোবর মুবিন ফেসবুকে পোস্ট করে বিএনপির সকল পদ ত্যাগ করেন।
আওয়ামী লীগের এই বৈরি সময়ে কেন এই দলে যোগ দিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মুবিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চলছে। তাকে প্রতিহত করার জন্যই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।’’
তবে কী পদ্ধতিতে কার মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন— এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিএনপিতে এখন মুবিনের কোনো পদ নেই। এছাড়া তার মাথাও ঠিক নেই। কাজেই তার আওয়ামী লীগে যোগদানেরও কোনো গুরুত্ব নেই।’’
ঢাকা/রুমন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স ক শ রগঞ জ আইনজ ব ক র কর আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পী আবুল সরকারের জামিন আবারও নামঞ্জুর
মানিকগঞ্জে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়াসহ ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাউলশিল্পী আবুল সরকারের জামিন দ্বিতীয়বারের মতো নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির অনুপস্থিতিতে জামিন শুনানিতে অংশ নেন তাঁর আইনজীবী।
আসামি আবুল সরকারের আইনজীবী জিন্নত আলী জানান, গত ২৩ নভেম্বর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম জামিন শুনানি হয়। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর আজ ফৌজদারি বিধিমোতাবেক জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। এতে আসামিপক্ষের তিনিসহ (জিন্নত আলী) কয়েকজন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেন সরকারি কৌসুঁলি (পিপি) নূরতাজ আলম বাহার। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে জেলা ও দায়রা জজ এস কে এম তোফায়েল হাসান আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন।
পিপি নূরতাজ আলম বাহার বলেন, আবুল সরকার যে কটূক্তি করেছেন, তাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগায় সারা দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে ধারায় (২৯৫ এর ‘ক’ ধারা) আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তা জামিন অযোগ্য অপরাধ।
মামলার এজাহার এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জাবরা এলাকায় খালা পাগলীর মেলায় পালাগানের আসরে বাউলশিল্পী আবুল সরকার ধর্ম অবমাননা করে মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁর মন্তব্যের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়। এরপর ১৯ নভেম্বর রাতে মাদারীপুরে একটি গানের আসর থেকে আবুল সরকারকে আটক করে মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের একটি দল। পরদিন সকালে তাঁকে মানিকগঞ্জ জেলা ডিবির কার্যালয়ে আনা হয়। পরে ওই দিন দুপুরে ঘিওর উপজেলার মুফতি মো. আবদুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে আবুল সরকারকে আসামি করে ঘিওর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।