মুসলিমদের স্বার্থে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্ব অপরিহার্য
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারতে মুসলমানদের ওপর দমনপীড়ন সীমা ছাড়িয়েছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিনিয়ত তাদের বাড়িঘর, মসজিদ, খানকাহ, কবরস্থান গুঁড়িয়ে দিচ্ছে উগ্রবাদীরা। এ পরিস্থিতিতে উপমহাদেশের মুসলমানদের নিরাপত্তার স্বার্থেই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্ব অপরিহার্য।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্বের প্রয়োজনীয়তা ও দায়’ শীর্ষক সেমিনারে এ অভিমত দেন বক্তারা। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি এ সেমিনারের আয়োজক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আবু বকর রফিক বলেন, ‘ইসলামী ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করা ইমানি দায়িত্ব। বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্ব উপমহাদেশের মুসলমানদের নিরাপত্তার জন্যই অপরিহার্য।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে আয়োজক সংগঠনের সেক্রেটারি এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হলো ভারতবর্ষের প্রত্যেক মুসলমানদের রক্ত, ঘাম, শ্রম ও ত্যাগের ফসল। ভারতের যেসব অঞ্চলের মুসলমানরা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হলেও তাদের ভূখণ্ড দেশটির অঙ্গ হবে না জেনেই আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেওয়ায় সাম্প্রদায়িক হিন্দুরা ১৯৪৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভারতে থেকে যাওয়া মুসলমানদের ওপর চরম দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। উগ্র হিন্দুদের অত্যাচার থেকে তাদের উদ্ধারের দায় রয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মুসলমানের। এ জন্যই বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্ব এখন সময়ের দাবি।’
দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র সাংবাদিক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তৃতা করেন রাওয়া ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.
বক্তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা এবং নিপীড়িত মুসলমানদের মুক্তির জন্য চীনের সঙ্গে দেশ দুটিকে কৌশলগত মিত্রতা করার তাগিদ দেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল দ শ প ক স ত ন বন ধ ত ব র ম সলম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফের স্থগিত চলচ্চিত্র পরিচালকদের নির্বাচন!
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া আবারো অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে শুক্রবার (৯ মে) নির্ধারিত নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে দেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান সংগঠনটির নেতৃত্ব নির্বাচন ফের পিছিয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (৮ মে) একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত বছরের শেষের দিকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে ভোটগ্রহণ সম্ভব হয়নি। পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি, কিন্তু সেদিনও ভোটগ্রহণ হয়নি। এবার দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শেষ মুহূর্তে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় তা স্থগিত হলো।
চলচ্চিত্র পরিচালকদের এই নির্বাচন ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা চলছে। একাধিক পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, নির্বাচনের অনুমতি নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন, বিএফডিসি কেপিআইভুক্ত এলাকা হওয়ায় সেখানে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। আবার অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণেই নির্বাচন বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
জন্মদিনে নেই উৎসব, মায়ের শোকে বিষণ্ন ওমর সানী
সিদ্দিককে মারধর, পোশাক বিতর্ক নিয়ে যা বললেন মিম
নির্বাচন না হওয়ায় পরিচালকমহলে হতাশা দেখা দিয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি শক্তিশালী প্যানেল। মুশফিকুর রহমান গুলজার-সাফিউদ্দিন সাফি প্যানেলে সভাপতি ও মহাসচিব পদে তারা প্রার্থী হয়েছেন। এই প্যানেলে আরো আছেন— আবুল খায়ের বুলবুল (সহসভাপতি), সালাউদ্দিন (উপমহাসচিব), সাইমন তারিক (কোষাধ্যক্ষ), আবদুর রহিম বাবু (সাংগঠনিক), রফিক শিকদার (প্রচার ও প্রকাশনা), এস ডি রুবেল (তথ্যপ্রযুক্তি) এবং মুস্তাফিজুর রহমান মানিক (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া)।
কার্যকরী সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন শাহ আলম কিরণ, ইফতেখার জাহান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, বদিউল আলম খোকন, গাজী মাহাবুব, আনোয়ার সিরাজী, দেওয়ান নাজমুল, জয়নাল আবেদীন ও আতিকুর রহমান লাভলু।
অন্যদিকে, বর্তমান মহাসচিব শাহীন সুমন এবার সভাপতি পদে লড়ছেন, সঙ্গে রয়েছেন শাহীন কবির টুটুল। তাদের প্যানেলে রয়েছেন মনতাজুর রহমান আকবর (সহসভাপতি), কবিরুল ইসলাম রানা (উপমহাসচিব), সেলিম আজম (কোষাধ্যক্ষ), ওয়াজেদ আলী বাবুল (প্রচার ও প্রকাশনা), বন্ধন বিশ্বাস (তথ্যপ্রযুক্তি) এবং সাইফ চন্দন (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া)।
নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা চলচ্চিত্র জগতের সৃজনশীল অঙ্গনে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে— এ সংকটের শেষ কোথায়?
ঢাকা/রাহাত/শান্ত