ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর চরমোনাই বলেছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন সর্বোত্তম। এ বিষয়ে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছেন। এ পদ্ধতি একদিকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অন্যদিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদ আয়োজিত জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ভাবনা বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, পিআর পদ্ধতিতে দলগুলো ভোটের অনুপাতে সংসদীয় আসন পায়। ফলে কোন দল এককভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারে না এবং সংসদে ছোট দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব ও নিশ্চিত হয়। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা আপোস এবং যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবেশ তৈরি হয়।

তিনি বলেন, মুসলমানদের অনৈক্যের কারণে বর্তমান মুসলিম বিশ্ব আজ দিশেহারা। বাংলাদেশের মুসলমান আজ একটি বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে বাস করছে। সমাজে রাষ্ট্রে সব জায়গায় ইসলাম ও ইসলামপ্রিয় জনগণকে কোনঠাসা করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।

জেলা সভাপতি মাওলানা রেদওয়ানুল হক চৌধুরী রাজুর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় নায়বে আমীর হাফিজ মাওলানা শায়খ মজদুদ্দীন আহমদ, শায়খ মাওলানা নুরুল ইসলাম, জাতীয় উলামা মাশায়েখ পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি রেজাউল করিম আবরার, জামেয়া গলমুকাপন মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস শায়খ মাওলানা রুহুল আমিন, পরিষদের বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতি মাঈনুদ্দীন খান তানভীর, জামেয়া কাজিরবাজার মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চরম ন ই প র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ

জালিয়াতির একটি মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিন; সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মাতারবাড়ীতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের ২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলা থেকে ডিসির নাম বাদ দিতে এ জালিয়াতি হয় বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে উঠে আসে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন।

দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এর আগে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে অভিযোগ গঠন থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। আগামী ৩ আগস্ট থেকে মামলার সাক্ষ্য শুরু হবে।

কাজী ছানোয়ার আহমদ আরও বলেন, কক্সবাজারের সাবেক ডিসি রুহুল আমিন ২০১৭ সালে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে যান। পরে তিনি জামিনে বের হন। এর আগে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম বর্তমানে অবসরে রয়েছেন। অন্য তিন আসামি হলেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ। আজ শুনানির সময় আদালতের কাঠগড়ায় পাঁচ আসামি উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে মাতারবাড়ীর বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী এই দুর্নীতির ঘটনায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন দুদককে। তবে মামলার পরপরই তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো কাগজপত্র থেকে ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে তা পাঠান। বিষয়টি জানাজানির পর বাদী কায়সারুল একই আদালতে রুহুল আমিন, সাদিকুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত শেষে দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপপরিচালক রিয়াজউদ্দিন গত বছরের ১ জুলাই পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী মামলার সব নথিপত্র আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফরিদ আহমদের কাছে দাখিল করেন। পরদিন (২০ নভেম্বর) সকালে আদালতের কর্মচারী সৈয়দ আকবর নথিপত্র কক্সবাজার ডাকঘরে জমা দেওয়ার জন্য রওনা দিলে তাঁকে আবার আদালতে ফিরিয়ে এনে খামটি স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদের মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজের কাছে পাঠানো হয়। পরে নানা কৌশলে আবেদন থেকে জেলা প্রশাসকের নাম বাদ দেওয়া হয়।

তদন্তে আরও উঠে আসে, ফৌজদারি দরখাস্ত রেজিস্ট্রারে ২৮ জন আসামির নাম থাকলেও পরে ৩টি পৃষ্ঠা পাল্টে ১ নম্বর আসামি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাফর আলমের নাম বসানো হয় এবং বাদীর স্বাক্ষর জাল করে ২৮ জনের জায়গায় ২৭ জনকে আসামি দেখিয়ে দুদকে নথি পাঠানো হয়। এই জাল স্বাক্ষরের বিষয়টি সিআইডির হস্তলিপি বিশারদের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

দুদক ও আদালত সূত্র জানায়, মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ক্ষতিপূরণ বাবদ বরাদ্দ ছিল ২৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে চিংড়িঘের বাবদ ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ওই অর্থের মধ্যে মনগড়া ২৫টি ঘের দেখিয়ে ১৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার বেশি তুলে আত্মসাৎ করা হয়। আরও বিভিন্ন উপায়ে আত্মসাৎ করা হয় টাকা। ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর প্রথম আলোতে ‘শুরুতে লুট ২২ কোটি টাকা’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরদিন মামলাটি দায়ের হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবুল মনসুর আহমদ স্মরণে বক্তৃতা প্রতিযোগিতা
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮৩ জন ছাত্রীকে প্রথমবারের মতো আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা
  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাবির ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত 
  • নথি জালিয়াতির দুর্নীতি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক জেলা জজ, ডিসিসহ ৫ জনের বিচার শুরু
  • কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ
  • সিলেটে করোনায় আক্রান্ত ৪
  • আহমদ ছফা: দেশ, জাতি ও সংস্কৃতি
  • রাজ্জাক-ছফার এক জীবন
  • যদি শতভাগ প্রস্তাবে একমত হতে বলেন, তাহলে আলোচনার জন্য ডাকা হলো কেন: সালাহউদ্দিন