বন্দরে ১৪ কেঁজি গাঁজাসহ সাথী মনি (২০) নামে এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উক্ত মাদক মামলায় তাকে আদালতে প্রেরন করেছে পুলিশ। 

এরআগে সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুরস্থ রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা গামী এমআর এন্টারপ্রাইজের ঢাকা মেট্রো ব ১২-১৫৪৭ নাম্বারে যাত্রিবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে উক্ত গাঁজাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী সাথী মনি সুদূর দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার শান্তিনগর এলাকার শহীদ মিয়ার মেয়ে ও  তাইজুল ইসলামের স্ত্রী। 

গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাব-১১ নায়েক সুবেদার  গিয়াস উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে ধৃত নারী মাদক কারবারি বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে।   
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

পারমিট ছাড়া হজ পালন না করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ

হজ পারমিট (হজের অনুম‌তি) ছাড়া হজ পালন না করতে বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ জা‌নি‌য়ে‌ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনা অমান‌্যকারী ও তা‌কে সহায়তাকারী‌কে ক‌ঠোর শা‌স্তির মু‌খোমু‌খি হ‌তে হ‌বে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

জিলকদ মাসের ১ তারিখ (২৯ এপ্রিল) থেকে জিলহজ মাসের ১৪ তারিখ (১০ জুন) পর্যন্ত এ বিধান কার্যকর থাকবে। এ সময়ের মধ্যে হজের অনুমতি ছাড়া পবিত্র মক্কা নগরী বা আশপাশের পবিত্র স্থানগুলোতে কেউ প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবেন না।

সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীদের কল্যাণ এবং বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখ‌তে শুক্রবার (২ মে) ধর্ম মন্ত্রণাল‌য়ের জরু‌রি বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ অনু‌রোধ জানা‌নো হয়েছে।

আসন্ন হজ মৌসুমে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বি‌ধিমালা জা‌রি ক‌রে‌ছে। এতে বলা হ‌য়ে‌ছে, সৌ‌দি সরকা‌রের হজ পারমিট থাকলেই কেবল মক্কায় প্রবেশ করা যাবে। হজ পারমিট ছাড়া কেউ হজ পালনের চেষ্টা করলেই তাকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা গুনতে হবে। এ কাজে সহায়তা করলে ১ লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। ১০ বছ‌রের জন‌্য ব‌হিষ্কারও কর‌তে পা‌রে সৌ‌দি সরকার।

সৌ‌দি স‌রকারের নতুন এই বিধিমালার কার‌ণে বাংলাদে‌শের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থে‌কে চলতি হজ মৌসুমে ভিজিট ভিসায় মক্কা কিংবা সে দেশের পবিত্র স্থানগুলোতে অবস্থান না করতে বাংলা‌দে‌শিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হজ বিধিমালা অমান্যকারী ভিজিট ভিসাধারীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া, পরিবহন করা, সংরক্ষিত হজ এলাকায় প্রবেশে সহায়তা করা ও তাদেরকে হোটেল কিংবা বাড়িতে আবাসনের ব্যবস্থা করা থেকে বিরত থাকতেও বাংলাদেশিদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় আইন-কানুনের কঠোর প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলে‌ছেন, হজের সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সৌদি সরকার ঘোষিত আইন-কানুন ও বিধিনিষেধ অনুসরণ করা আবশ্যক। সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় জড়িত আছে। প্রায় ৩৫ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবে কর্মরত। সে দেশ থেকেই আসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, এরকম কাজ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে সুষ্ঠু ও  সাবলীল হজ ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক বলেছেন, হজ দ্বিরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা এবং টিম ওয়ার্ক। সৌদি আরব এবং মুসলিম দেশগুলোর তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় হজ পরিচালিত হয়। তবে, হজ-সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণী বিষয়ে সৌদি আরব মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। সুপরিকল্পিত কর্মসূচি, আইন-কানুনের যথাযথ প্রয়োগ ও অংশীজনের সহযোগিতা ছাড়া সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। 

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে হজযাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সৌদি সরকারের প্রচলিত আইন কানুন ও বিধি বিধান অনুসরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ধর্ম সচিব বলেছেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সৌদি সরকারের সকল পদক্ষেপকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বাগত জানায়। হজের পবিত্রতা রক্ষা এবং সকল হজযাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম স্পিরিট নিয়ে কাজ করতে হবে। 

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিকরা অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর হজযাত্রীদের মক্কায় প্রবেশ সুগম করা, অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে নতুন বিধিমালা জারি করেছে সৌদি সরকার।

এ বিধিমালা অনুসারে সে দেশের পবিত্র স্থানগুলোতে কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বৈধ অনুমতিপত্র, মক্কায় নিবন্ধিত বসবাসের প্রমাণপত্র (ইকামা) ও সরকারিভাবে ইস্যু করা হজ পারমিট থাকলেই কেবল মক্কায় প্রবেশ করা যাবে।

সৌদি সরকার জানিয়েছে, যদি কোনো বিদেশি নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় অবস্থান করে কিংবা বৈধ অনুমতি ছাড়াই হজ পালনের চেষ্টা করে, তাহলে তাকে সৌদি আরব থেকে বহিষ্কার করা হবে। যারা ভিজিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন, তাদের ওপর নজরদারি থাকবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ