ছোটপর্দা, ওটিটি কিংবা রূপালি পর্দা। তিন প্লাটফর্মে অভিনয় নিয়ে সারাবছর ব্যস্ত থাকেন তিনি। কখনো ইতিবাচক, কখনো নেতিবাচক আবার কখনো বৃদ্ধ বাবা- সব ধরণের চরিত্র নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলেন অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম। গেল ঈদের মুক্তি পাওয়া ছয়টি সিনেমার মধ্যে তিনটিই তার। কিন্তু তবুও খুশি নন তিনি।
তার মতে, এক ঈদে একজন অভিনেতার যদি তিনটি সিনেমার মুক্তি পায় সেটা একটু বেশি বেশি হয় যায়। দুইটি সিনেমা হলে ঠিক ছিল।
শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন “এক ঈদে তিনটি সিনেমা মুক্তি পাওয়া মানে নিজের সঙ্গে নিজের প্রতিযোগিতা করা। যদি আমার একটি কিংবা দুটি সিনেমা আসতো তাহলে দর্শক আমার চরিত্রটি নিয়ে ভাবতেন। যেমন, ‘জংলি’ সিনেমা ও ‘বরবাদ’ সিনেমায় আমার দুই চরিত্র কিছু এক। এক সিনেমায় আমি ব্যরিস্টার আরেক সিনেমায় আমার চরিত্রটা উকিলের। এটা নিয়ে অনেকেই বলছেন যে দুটো সিনেমায় একই চরিত্রে ওই কেন অভিনয় করলেন? কিন্তু তারা তো জানে না, ‘জংলি’ সিনেমা মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল গত বছর। সুতরাং ‘জংলি’ ও ‘বরবাদ’ সিনেমা একসঙ্গে মুক্তি পাওয়াতে আমার একটু সমস্যাই হয়েছে।”
এই তিনটি সিনেমার মধ্যে ‘দাগি’ সিনেমাটির চরিত্র তার কাছে খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। কখনো ভাবেননি এই চরিত্রটা দর্শক ভালোভাবে নেবেন। সেই চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে পেরেছেন বলে জানালেন শহীদুজ্জামান সেলিম।
তার ভাষ্য, “শিহাব শাহীনের পরিচালনায় ‘দাগি’ সিনেমা সফল বলা যায়। একমাস পরও সিনেমাটি আগের চাহিদাতেই চলছে। এই সিনেমার চরিত্রটা দিয়ে আমি এতোটা সফল হবো সেটা আমি বুঝতে পারিনি। কারণ, বাংলা, উর্দু ও হিন্দি মিলিয়ে আমাকে কথা বলতে হয়েছে, যা ছিল একজন অভিনেতার জন্য খুব কঠিন। আমার ধারণা ছিল এটা চরিত্রটা পুরোপুরি ব্যর্থ হবে। কিন্তু দেখলাম এই চরিত্রটাই দর্শক বেশি পছন্দ করেছে। এটা একটা বড় পাওয়া।”
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিগ ব্যাশে রিশাদ কেন আবার দল পেলেন
প্রথমবারের ড্রাফটেই দল পেয়েছিলেন। বিগ ব্যাশে গত মৌসুমের ড্রাফটে তাঁকে দলে নিয়েছিল হোবার্ট হ্যারিকেনস। বিসিবির অনাপত্তিপত্ত (এনওসি) না পাওয়ায় খেলা হয়নি। এবারের ড্রাফটে দল পেলেন এবারও। সেই হোবার্টই তাঁকে আবার দলে নিয়েছে। বিগ ব্যাশে রিশাদের এই চাহিদার কারণ কী?
হোবার্ট অধিনায়ক নাথান এলিসের কথায় কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। রিশাদকে দলে নেওয়ার পর এলিস স্পষ্ট করেই বলেছেন, মাঝের ওভারে বেশি উইকেট চান। সে কারণেই তো ইংল্যান্ডের রেহান আহমেদকেও কিনেছে দলটি।
এলিস কী বলেছেন শুনুন তাঁর মুখেই, ‘রিশাদ ও রেহানকে নিয়েছি, কারণ মাঝের ওভারে আমাদের উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য বাড়াতে চেয়েছি। আমরা রিশাদকে গত বছর নিতে চেয়েছিলাম, এবারও নিতে পেরেছি। ওকে দলে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ও ইতিমধ্যে সম্ভাবনাময় এক লেগ স্পিনার হিসেবে ঝলক দেখিয়েছে।’
রশিদ খানের কথা যদি ধরি, জোরের ওপর স্টাম্পে বোলিং করে। রিশাদ ভিন্ন। ও বল হাওয়ায় ভাসাবে, দারুণ গুগলি আছে, গতির ব্যবহার করে।অ্যারন ফিঞ্চবিগ ব্যাশের পডকাস্টে দলগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়ানরা যে রিশাদকে কতটা ভালো মানের বোলার বিবেচনা করে, তা বোঝা যাবে তাঁর কথাতেই। সেখানে রিশাদের বোলিং নিয়ে ফিঞ্চ বলেছেন এভাবে, ‘রিশাদ দারুণ একজন বাংলাদেশি লেগ স্পিনার। আধুনিক লেগ স্পিনারদের চেয়ে সে একটু অন্য রকম। সে হাওয়ায় ভাসিয়ে বোলিং করতে পছন্দ করে। চাপে থাকলে বলের গতি কমায়।’
আরও পড়ুনদুই হাতে ‘ক্র্যাম্প’ নিয়েও জয়সোয়ালের ইতিহাস২ ঘণ্টা আগেফিঞ্চ রিশাদের বোলিংকে নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধির সঙ্গে তুলনা করেছেন, ‘আমি যাদের বোলিং করতে দেখেছি, তাদের কারও সঙ্গে যদি রিশাদের বোলিং তুলনা করতে চাই তাহলে ওকে নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধির সঙ্গে তুলনা করব। রশিদ খানের কথা যদি ধরি, জোরের ওপর স্টাম্পে বোলিং করে। রিশাদ ভিন্ন। ও বল হাওয়ায় ভাসাবে, দারুণ গুগলি আছে, গতির ব্যবহার করে। দারুণ একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কাটিয়েছে রিশাদ। অসাধারণ একজন বোলার। রিকি পন্টিংও রিশাদ সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলেন।’
রিশাদ হোসেন এবার কি বিগ ব্যাশে খেলবেন?