বন্ধ হলো হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সরকারি তহবিল
Published: 7th, May 2025 GMT
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে ভবিষ্যতে আর কোনো ফেডারেল অনুদান দেওয়া হবে না। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি সরকার ঘোষিত কয়েকটি শর্ত না মানা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষাকে অবজ্ঞা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আর কোনো অনুদান দেওয়া হবে না। চিঠিতে লেখা হয়, আর কোনো ফেডারেল অনুদানের জন্য আবেদন করে লাভ হবে না। কারণ আর কিছুই দেওয়া হবে না। হার্ভার্ড আর সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান থাকবে না। নিজেদের তহবিল এবং সম্পদশালী সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ব্যক্তিগত অর্থায়নে চলবে এটি।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন। শিক্ষা, গবেষণা বা চিকিৎসা খাতে বরাদ্দকৃত বিলিয়ন ডলারের সরকারি অর্থ ফেরত নেওয়ার কৌশল আগে কখনও এমনভাবে প্রয়োগ করা হয়নি।
রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। এ বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত উচ্চশিক্ষার জন্য ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনবে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ‘অপ্রত্যাশিত ও অনুচিত হস্তক্ষেপ’। একে প্রতিশোধ বলেও আখ্যা দিচ্ছেন অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, হার্ভার্ড ২১ এপ্রিল যে মামলা করেছিল, ট্রাম্প প্রশাসন তারই প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে। চিঠিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য অর্থায়ন বন্ধের যে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তা অবৈধ। হার্ভার্ড অবশ্যই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে, দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মান প্রচার করবে এবং ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়বে। পাশাপাশি, হার্ভার্ড মার্কিন তথা পুরো বিশ্বের মানুষের নিরাপদ ও সুরক্ষিত জীবনের জন্য যে গবেষণা ও উদ্ভাবন অত্যন্ত জরুরি, সেই গবেষণা ও উদ্ভাবন বন্ধে সরকারের অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধেও লড়াই অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের হস্তক্ষেপের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে গত মাস থেকেই প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধ চলছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের। ট্রাম্প প্রশাসনের রোষের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে গাজা যুদ্ধ নিয়ে হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে হওয়া ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ। এসব বিক্ষোভে ইহুদিবিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ এনেছে প্রশাসন, যদিও বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়াকে ভুলভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
সম্প্রতি হার্ভার্ডের ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি ফেডারেল অনুদানের পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছে হোয়াইট হাউস। শিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ডাইভার্সিটি, ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনক্লুশন নীতিমালা বন্ধ করতে বলেছে। নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে ফিলিস্তিনপন্থি গোষ্ঠী এবং প্রতিবাদে মুখোশ ব্যবহারের ওপরও। ট্রাম্প প্রশাসনের এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এরই জেরে এবার বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সব ধরনের আর্থিক সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য অন দ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে শিক্ষকের বাড়িতে চুরি, ১২ দিনেও উদ্ধার হয়নি লুন্ঠিত মালামাল
বন্দরের সর্বত্রই চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে আশংকাজনকহারে। এক শ্রেণীর পেশাদার চোর দীর্ঘ দিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে এসব চুরির ঘটনা ঘটিয়ে আসছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগসূত্রে জানা যায়।
অতি সম্প্রতি (২৭ অক্টোবর) বন্দরের বাবুপাড়া গৌপীনাথ বন্দর সংলগ্ন ৫তলার বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার সহকারি প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিয়ার ঘরের তালা ভেঙ্গে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ঘরের আলমিরাতে রক্ষিত নগদ ১লাখ ১০ হাজার টাকা ও ১০ লক্ষাধিক মূল্যেও ৪ভরি ওজনের স্বর্ণের অলংকার নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিক্ষক আলাউদ্দিন বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও অদ্যাবধি লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার কিংবা চোরের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শিক্ষক আলাউদ্দিন জানান,বিষয়টি নিয়ে ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং তাকে কিছু ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেয়া হয়েছে তিনি কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর কয়েক বছর আগেও একই এলাকার ডাঃ বিমল চন্দ্র ঘোষের ঘর থেকে একই কায়দায় ৬ভরি স্বর্ণের অলংকার ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোরেরা। সে সময় পুলিশের গফিলতির কারণে ওই ঘটনার কোন অগ্রগতি হয়নি।