Risingbd:
2025-10-03@04:08:04 GMT

ইন্টার পরীক্ষায় ফেল বার্সা

Published: 7th, May 2025 GMT

ইন্টার পরীক্ষায় ফেল বার্সা

দুই লেগ মিলিয়ে রোমাঞ্চকর ২১০ মিনিটের খেলা হলো; সঙ্গে ১৩টি গোল। তবে শেষ হাসিটা ইন্টার মিলানের। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে বার্সালোনাকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়েছে সিমিওনে ইনজাগির দল। দুই লেগেই বার্সার অবিশ্বাস্য দুটা প্রত্যাবর্তন স্বত্তেও ৭-৬ গোলের অ্যাগ্রিগেটে তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পৌঁছাল নেরাজ্জুরিরা।

অতিরিক্ত সময়ে দাভিদে ফ্রাত্তেসির জয়সূচক গোল ৪-৩ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে ইন্টার। ঠিক সেই মুহুর্তে তাদের ঘরের মাঠ সান সিরোতে আনন্দের বৃষ্টি নামতে শুরু করে, গোটা স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে। ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের যে গল্পে, তার খুব ক্ষুদ্র অংশ এই মুহুর্ত। তার আগে হইয়েছে রীতিমতো একটা থ্রিলার।

বার্সা প্রথম লেগে ২-০ এবং ৩-২ ব্যবধান থেকে ফিরে এসে ৩-৩ সমতায় ম্যাচ শেষ করে। মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় লেগেও আরেকটি দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ২০১৫ সালের পর প্রথম ফাইনালের উঠেই গিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।

আরো পড়ুন:

ইন্টার-বার্সা সেমিফাইনালে ফিরে আসছে ২০১০ সালের স্মৃতি

স্টেগেনের ফেরার ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও জিতল ‘কামব্যাক কিং’ বার্সা

প্রথমার্ধে লাওতারো মার্তিনেজ ও হাকান চালহানোয়লুর গোলে ২–০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে এসেছিল বার্সা। বিরতির পর খেলার নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে এরিক গার্সিয়া ও দানি ওলমো গোলে ম্যাচে সমতা আনে অতিথী দলটি। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে ৩–২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফ্লিকের দল। মনে হচ্ছিল ২০১৬-১৭ সালের পর আরেকটি ঘুরে দাঁড়ানোর অদম্য গল্প লিখে ফেলেছে বার্সা।

কিন্তু যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ডেনজেল ডামফ্রিসের ক্রস থেকে গোল করে বার্সাকে স্তব্ধ করে দেন সেন্টারব্যাক ফ্রান্সেসকো আচেরবি। ৩–৩!

অতিরিক্ত সময়ে, ৯৯ মিনিটে ফ্রাত্তেসি ইন্টারকে আবার এগিয়ে নেন। এরপর বাকি দায়িত্ব পালন করেন সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। ইয়ামালের দুটি দুর্দান্ত প্রচেষ্টা রুখে দেন তিনি এবং শেষ পর্যন্ত ইন্টার বার্সেলোনার সমস্ত চেষ্টাকে ব্যর্থ করে ফাইনালে উঠে যায়।

তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্টার এখন ৩১ মে মিউনিখে পিএসজি বা আর্সেনালের বিপক্ষে ফাইনালে খেলবে, যেখানে তারা ২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হারের স্মৃতি ভুলে নতুন ইতিহাস গড়ার সুযোগ পাবে।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ ইন ট র ম ল ন ম ফ ইন ল ব যবধ ন ইন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ