গভীর রাতে মোরগের ডাকে শুনে দরজা খোলেন, এরপর কুপিয়ে হত্যা
Published: 10th, August 2025 GMT
রাতের আহার সেরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ঘরের বাসিন্দারা। গভীর রাতে হঠাৎ ঘরের উঠানে মোরগের ডাক শোনেন। কেউ হয়তো মুরগি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন কিংবা মুরগির খোপে শিয়াল ঢুকেছে ভেবে খোলা হয় ঘরের দরজা। মুহূর্তেই ৭-৮ জন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েন ঘরে। এরপর ঘরের ভেতরেই কুপিয়ে হত্যা করেন এক ব্যক্তিকে। গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের পেকুয়ার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়ার সেগুনবাগিচা এলাকায়।
নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (৪৫)। তিনি উপজেলার মাঝেরঘোনা এলাকার নুর আহমদের ছেলে। তবে প্রায় এক যুগ ধরে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে সেগুনবাগিচা এলাকার পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে আসছেন।
এই হত্যার ঘটনাটিতে পুলিশ আজ রোববার সকালে দুজনকে আটক করেছে। তাঁরা হলেন—শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়ার সাপেরগাড়া এলাকার মনছুর আলম (৪৫) ও জকিরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘরে ঢুকে জসিম উদ্দিনের কানে, ঘাড়ে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। ঘটনার সময় ঘরে থাকা জসিম উদ্দিনের স্ত্রী দৌড়ে পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁর জ্ঞান ফেরার পর তিনি প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান। এরপর প্রতিবেশীরা গিয়ে ঘরের ভেতর জসিমের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহত জসিমের স্ত্রী সেলিনা আকতার বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা ধারালো অস্ত্রের সঙ্গে মোরগটি নিয়ে এসেছিলেন। মোরগ ডাকার শব্দে তিনি ভেবেছিলেন কেউ খোপ থেকে মুরগি নিয়ে যাচ্ছেন। তাই ঘরের দরজা খোলেন। তবে দরজা খুলতেই ঘরে ঢুকে ৭-৮ জন ব্যক্তি তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।
তিনি বলেন, তাঁর একমাত্র ছেলে মালয়েশিয়ায় থাকেন। ওই ছেলের সঙ্গে স্থানীয় এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে ওই তরুণী সম্প্রতি ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এরপর ওই তরুণীর পরিবার তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। একই ঘটনার জেরে তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
স্থানীয় শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আহমদ শফি বলেন, বসতঘরে ঢুকে জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের একটি দল। তারা লাশটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ঘেটুপুত্র কমলা’ এখন রড-সিমেন্টের কারবারি
হুমায়ূন আহমেদের ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ দিয়ে পরিচিতি পান অভিনেতা হাসান ফেরদৌস মামুন। ছবিটি তাঁকে এনে দেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর নাটক-বিজ্ঞাপনে মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও ধীরে ধীরে বিনোদন অঙ্গন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন মামুন। আর সাত বছর ধরে তো অভিনয়েই নেই। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নির্মাণসামগ্রীর ব্যবসায় ব্যস্ত এই অভিনেতা। যেখানে তাঁর ব্যস্ত থাকার কথা লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনে, সেখানে তাঁর সময় কাটে রড-সিমেন্টের হিসাব কষে।
অভিনয়ের হাতেখড়ি টোকাই নাট্যদলে
মামুনের অভিনয়ের হাতেখড়ি চার বছর বয়সে। বড় বোনের হাত ধরে ‘টোকাই’ নাট্যদলে তাঁর আসা–যাওয়া শুরু। শুরুতেই দলটির হয়ে বেশ কিছু প্রযোজনায় সুযোগ পান তিনি। ছোট পর্দায় প্রথম সুযোগ আসে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘হারমোনিয়াম’ নাটক দিয়ে। এরপর বিটিভির আরও কয়েকটি নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পান মামুন। নাটকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনেও ডাক পেতে থাকেন এই শিশুশিল্পী।
কি বাবা, বলছিলাম...
মামুনের প্রথম বিজ্ঞাপন, মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের ‘দিনবদলের পালা’। যা তাঁকে পরিচিতি এনে দেয়। বিজ্ঞাপনটিতে মামুনের সংলাপ ‘কি বাবা, বলছিলাম না আজকে অনেক মাছ উঠব, আমারে কিন্তু মেলায় নিয়া যাইতে হবে’ এখনো দর্শকদের নস্টালজিক করে।
বিজ্ঞাপনটির জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মামুন। এর পরপর আরও কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় দক্ষতা দেখান এ অভিনেতা। এর মাঝে বেবি জিঙ্ক ও প্রাণ জুসের বিজ্ঞাপন উল্লেখযোগ্য। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রাণ জুসের বিজ্ঞাপন মামুনের ক্যারিয়ারে গতিপথ বদলে দেয়, বিজ্ঞাপনে ‘তাইলে দশ টাকা দেন, ম্যাঙ্গো জুস খামু’ মামুনের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে। এরপর ছোট পর্দায় বাড়ে তাঁর ব্যস্ততা, ডাক পেতে থাকেন সিনেমায়।
ঘেটুপুত্র কমলা চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য