এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা! একে তো ম্যাচ হারের যন্ত্রণা, তার ওপর আবার পুরো দলের জরিমানা। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের গতকাল রাতটা আসলে খুবই বাজে কেটেছে। মন্থর ওভাররেটের কারণে পুরো মুম্বাই দলের জরিমানা করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি জরিমানা গুনতে হচ্ছে মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে। অন্যদিকে গুজরাট টাইটানসের প্রধান কোচ আশীষ নেহরাকেও ম্যাচ চলাকালে বাজে আচরণের জন্য আর্থিক জরিমানা ও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনপান্ডিয়ার রানআউট মিসে শেষ বলে জিতে সবার ওপরে গিলের গুজরাট১৩ ঘণ্টা আগে

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গতকাল বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে মুম্বাইকে ৩ উইকেটে হারায় গুজরাট। বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ায় ম্যাচটি শেষ হয় গভীর রাতে। তার মধ্যে আবার নির্ধারিত সময়ের ভেতরে নিজেদের বোলিং ইনিংস শেষ করতে পারেনি মুম্বাই। যার শাস্তি দেওয়া হয়েছে পুরো দলকে। আইপিএলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই মৌসুমে মুম্বাইয়ের এটি দ্বিতীয়বারের মতো মন্থর ওভাররেটের ঘটনা। তাই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে ২৪ লাখ ভারতীয় রুপি জরিমানা করা হয়েছে।’

এখানেই শেষ নয়, মুম্বাই দলের অন্যান্য খেলোয়াড়, যাঁদের মধ্যে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ ও ‘কনকাশন বদলি’ও রয়েছেন, প্রত্যেককেই ৬ লাখ টাকা অথবা ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ (যেটা কম) জরিমানা দিতে হবে।

আরও পড়ুনভারতের হামলা: পাকিস্তানে থাকা রিশাদ–নাহিদকে নিয়ে চিন্তায় বিসিবি১ ঘণ্টা আগে

গুজরাট কোচ আশীষ নেহরাকে ম্যাচ চলাকালে ক্ষুব্ধ অবস্থায় দেখা গেছে কয়েকবার। বৃষ্টিতে খেলা থেমে যাওয়ায় তিনি একাধিকবার মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে উত্তপ্ত আলোচনায় জড়িয়ে পড়েন। এটা আইপিএলের আচরণবিধির ২.

২০ ধারার লঙ্ঘন, যা খেলাধুলার চেতনার পরিপন্থী আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। আইপিএলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গুজরাট টাইটানসের প্রধান কোচ আশীষ নেহরাকে তাঁর ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে এবং একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।’

নেহরা ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ায় কোনো শুনানির দরকার হয়নি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাচসাসের ‘নিন্দা ও প্রতিবাদ’ নিয়ে চরকি ও ডোপ প্রোডাকশনসের বক্তব্য

‘উৎসব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে ‘চরকির অসৌজন্যমূলক আচরণে বাচসাস-এর নিন্দা ও প্রতিবাদ’। ২০ জুন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিষয়টি নিয়ে আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ডোপ প্রোডাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া “বাচসাস”–এর চিঠিতে লক্ষ করা যায়, “উৎসব” সিনেমার মূল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান “ডোপ প্রোডাকশনস”-এর নাম ব্যবহার করা হয়নি। শুধু সহপ্রযোজক “চরকি”র নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যা আপাতদৃষ্টে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করা ও দায় চাপানোর অভিপ্রায় বলে মনে হলেও “চরকি” ও “ডোপ” এটিকে মিস–কমিউনিকেশন বা কমিউনিকেশন গ্যাপ বলে বিশ্বাস করতে চায়। কারণ, “উৎসব” সিনেমার ঘোষণা থেকেই সাংবাদিক বন্ধুরা আন্তরিকভাবে সিনেমাটির প্রচারণায় সাহায্য করেছেন, সে জন্য আমরা অনুপ্রাণিত ও কৃতজ্ঞ। এ জন্য নানান সময় তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছি আমরা।’
চরকি ও ডোপ প্রোডাকশনস লিখেছে, ‘যেহেতু “বাচসাস” শুধু “চরকি”কেই প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে, তাই ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্মটি নিয়ে কিছু বলতেই হয়। “চরকি” তার জন্মলগ্ন থেকে বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে “চরকি” দেশের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সিনেমা প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যার অধিকাংশই দর্শকনন্দিত। তার চেয়ে বড় কথা, সেসব কাজে রয়েছে দেশীয় সিনেমা তথা বাংলাদেশি নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীদের মেধা বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী বাংলা চলচ্চিত্রের জয়ের প্রয়াস। এ প্রয়াসে শিল্পী–কলাকুশলী–সাংবাদিকেরা প্রথম থেকেই “চরকি”র সঙ্গে ছিলেন। আনুষ্ঠানিকতায় বা অনানুষ্ঠানিকতায় চরকিও তাঁদের সঙ্গে সৌহার্দ্য ও সম্মানের সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে।’
দুই প্রতিষ্ঠানের ভাষ্য, ‘“উৎসব” সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী ঘিরে “বাচসাস”–এর চিঠিতে যে “অসৌজন্যমূলক আচরণ”–এর কথা বলা হয়েছে, তা “চরকি” ও “ডোপ”–এর জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। তানিম নূর পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমা “উৎসব”বিষয়ক সব অনুষ্ঠানের আয়োজক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান “ডোপ” এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম “চরকি”। বৃহৎ পরিসরে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রচারণা একটি বড় কর্মযজ্ঞ, যা টিমওয়ার্কের মাধ্যমেই সম্ভব। এর সব সাফল্য ও ব্যর্থতার দায়ভার সব প্রতিষ্ঠানের। কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে যেকোনো ধরনের প্রচারণা অনভিপ্রেত। মূল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হোক বা সহপ্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার “ডোপ” বা “চরকি” এড়াতে পারে না এবং কোনো রকম ভুল–বোঝাবুঝির যেন অবকাশ না থাকে, তাই “ডোপ” ও “চরকি” ঘটনাটি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন বোধ করছে।’
ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘১৮ জুন (বুধবার) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় “উৎসব” সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী। আয়োজনের প্রস্তুতি ঠিক থাকলেও দর্শকপ্রিয়তা থাকায় সিনেমাটি নিয়ে অনেকের আগ্রহ ছিল। তাই অতিথি উপস্থিতিও ছিল বেশি এবং অতিথিদের সঙ্গে সহ-অতিথি হিসেবেও অনেক সম্মানিত ব্যক্তিরা এসেছিলেন আমাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য। প্রেক্ষাগৃহের ভেতরে যখন অতিথিরা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন আসনগুলো দ্রুতই পূর্ণ হয়ে যাচ্ছিল। সে সময় সাংবাদিক বন্ধুদের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছিলেন চলচ্চিত্রের মূল শিল্পীরাও। একপর্যায়ে অতিথিদের বক্তব্য শেষ না হতেই কিছু সাংবাদিক বন্ধু তাঁদের সহকর্মীদের (ভিডিও জার্নালিস্ট এবং অন্য সাংবাদিক) চলে আসতে বলেন। যদিও তখনো সবার জন্য আসন ব্যবস্থাপনার কাজ চলছিল। সিনেমা–সংশ্লিষ্টরা নিজেদের আসন ছেড়ে জায়গা করে দিচ্ছিলেন অতিথি এবং আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের। হলের বাইরে চলে আসা সাংবাদিক বন্ধুরা এবং আসন ছেড়ে দেওয়া সিনেমা–সংশ্লিষ্ট অতিথিরা যেন সিনেমাটি দেখতে পারেন, সে জন্য ডোপ ও চরকি কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আরও একটি প্রেক্ষাগৃহ বরাদ্দ করার চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহের অপ্রতুলতায় সেটা সম্ভব হয়নি। এ কারণে অনুষ্ঠানস্থলেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান “ডোপ প্রোডাকশনস” এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম “চরকি”র প্রতিনিধি সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন, অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার দায় স্বীকার করেন, এমনকি পরবর্তী সময়ে আমন্ত্রিত সাংবাদিক বন্ধুদের নিয়ে আরেকটি শো আয়োজনেরও প্রতিশ্রুতি দেন।’

আরও পড়ুনপরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ, কী আছে ‘উৎসব’–এ৩১ মে ২০২৫

চরকি ও ডোক প্রোডাকশনস লিখেছে, ‘১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) “ডোপ প্রোডাকশনস” ও “চরকি” দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সেদিনই বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে দুঃখ প্রকাশ করে বার্তা পাঠায় সাংবাদিক বন্ধুদের (আমন্ত্রণ যে প্রক্রিয়ার পাঠানো হয়েছিল সেভাবেই)। যেখানে জানানো হয়, আগামী সপ্তাহে (২২–২৭ জুন) বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করতে চাই আমরা। শিগগিরই সেই তারিখ, সময়, স্থান আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমে আপনাদের জানাতে পারব বলে আশা করছি। আপনাদের একান্ত সহযোগিতা কাম্য। চলচ্চিত্রের এই অগ্রগতিতে আপনাদের শুভকামনা আমাদের অনুপ্রেরণা।’

অনাকাঙ্ক্ষিত এই পরিস্থিতির কারণে “ডোপ প্রোডাকশনস” এবং “চরকি” থেকে দুবার দুঃখ প্রকাশ করার পরও চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন থেকে “চরকির অসৌজন্যমূলক আচরণে বাচসাস-এর নিন্দা ও প্রতিবাদ” শিরোনামের চিঠি অফিশিয়াল ঠিকানা বা ই–মেইলে প্রদান না করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ ছড়িয়ে দেন। সেখানে শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়, যার ফলে চরকির ব্যবসায়িক ও সুনামের ক্ষতি হলেও আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। আপনাদের সহযোগিতা ও অনুষ্ঠান আয়োজনে যেকোনো পরামর্শ আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। আশা করি, পারস্পরিক পেশাদার যোগাযোগের মাধ্যমে সেসব পরামর্শ আমাদের জানালে আমরা উপকৃত হব।’
বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা ও পেশাদার আচরণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে যেকোনো বিনোদনভিত্তিক সাংবাদিক সংগঠন চাইলেই “চরকি”র সঙ্গে (যেহেতু শুধু “চরকি”র নাম ব্যবহার করা হয়েছে) আলোচনার প্রস্তাব রাখতে পারেন। বিভিন্ন আয়োজনে সাংবাদিক বন্ধুদের নিয়ে “চরকি”রও রয়েছে বেশ কিছু অভিজ্ঞতা। সব বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর কর্মপরিবেশ তৈরিতে আমরা আগ্রহী।’ “বাচসাস” তাদের চিঠিতে “পারস্পরিক সহযোগিতামূলক আচরণ” প্রত্যাশা করেছে। “ডোপ” এবং “চরকি”ও সেটিই প্রত্যাশা করে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ব্লাস্টের
  • বিশ্বকে যুদ্ধক্ষেত্র বানাতে চান ট্রাম্প
  • ‘মব’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর দৃষ্টান্ত, সরকারের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই
  • আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিতের চিন্তা করছে ইরান  
  • জার্মানিতে ‘জলদানবের’ আতঙ্ক
  • সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের হেনস্তার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
  • বাচসাসের ‘নিন্দা ও প্রতিবাদ’ নিয়ে চরকি ও ডোপ প্রোডাকশনসের বক্তব্য
  • ‘আপনার কাছে করজোড়ে ক্ষমা ক্ষমা চাইছি’, মেজবাহর এই বক্তব্যের নেপথ্যে কী