রাজধানীর গুলিস্তানে অবস্থিত জেনারেল পোস্ট অফিস (জিপিও) ভবন ও ডাক বিভাগের সাবেক প্রধান কার্যালয়কে পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত উল্লেখ করে তা সচিবালয়ের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তার প্রতিবাদ করেছেন বিভাগের কর্মীরা। পাশাপাশি এই প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

সম্প্রতি বিসিএস পোস্টাল অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক ও ডাক বিভাগের (ডাক জীবন বীমা, পূর্বাঞ্চল, ঢাকা) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আতিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ‘জিপিও ভবন পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত’ দাবি করে তা সচিবালয়ের এক্সটেনশন হিসেবে সচিবালয়ের মাস্টারপ্ল্যানে অন্তর্ভুক্তি ও হস্তান্তরের প্রস্তাব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এ প্রস্তাবে উল্লিখিত তথ্যকে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে সংস্থাটি জানিয়েছে, জিপিও কম্পাউন্ড সরকারঘোষিত একটি কেপিআইভুক্ত স্থাপনা। এখানে ডাক বিভাগের ১৪টি অপারেশনাল অফিস সক্রিয়ভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এখান থেকে ডাকসেবা গ্রহণ করছে। ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার এই কেন্দ্র কখনোই পরিত্যক্ত ছিল না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত ডাক ভবনে স্থানান্তরিত হলেও অন্যান্য অপারেশনাল অফিস আগের মতো জিপিও কম্পাউন্ডেই চলমান।

ডাক বিভাগের মতামত ছাড়াই এ ধরনের চিঠি দেওয়া এবং তা প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করায় নিন্দা জানিয়ে বিসিএস পোস্টাল অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, জিপিও ভবন শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি ডাক বিভাগের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রাণের জায়গা, তাদের গর্ব ও ঐতিহ্যের প্রতীক। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই ভবন কেড়ে নেওয়ার যেকোনো উদ্যোগকে তারা সরাসরি দেশের ডাকসেবার ওপর আঘাত হিসেবেই বিবেচনা করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

মাদ্রিদে বসে ব্রাজিল নিয়ে যা বললেন আনচেলত্তি

৩ ম্যাচ, ১১ দিন—এরপরই কার্লো আনচেলত্তি পুরোপুরি হয়ে যাবেন ব্রাজিলের।

দুদিন দিন আগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে কোচ করার ঘোষণা দেয়। এরপরই শুরু নানা আলোচনা—পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দায়িত্ব নেওয়ার কী কারণ, রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি মেয়াদ এক বছর বাকি থাকার পরও কেনই–বা ব্রাজিলকে ‘হ্যাঁ’ বলা।

গতকাল মাদ্রিদে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়গুলো নিয়েই একাধিক উত্তর দিতে হয়েছে আনচেলত্তিকে। ব্রাজিলের হবু কোচ অবশ্য মন খুলেই কথা বলেছেন। জানিয়েছেন রিয়ালের হয়ে শেষ তিনটা ম্যাচ জয়ে রাঙাতে চান।

আরও পড়ুনযে তিন কারণে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারেন আনচেলত্তি৮ ঘণ্টা আগে

লা লিগায় আজ রাতে মায়োর্কার বিপক্ষে খেলবে রিয়াল। এরপর ১৮ মে সেভিয়া আর ২৫ মে রিয়াল সোসিয়েদাদ ম্যাচ দিয়ে মাদ্রিদ অধ্যায়ের ইতি টানবেন আনচেলত্তি। তার আগে শেষটা সুন্দর হোক, সেটাই চাওয়া তাঁর, ‘শেষ ম্যাচগুলো সব সময় কঠিনই হয়। দলে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড় নেই। তারপরও চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু করে তিনটা ম্যাচ জয়ের।’

২৬ মে থেকে আনচেলত্তি কাগজে–কলমে ব্রাজিলের কোচ। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঘর সাজাতেই তো তাঁকে নেওয়া। কিন্তু এখনই দল গোছানোর কাজে মন দিতে চান না এই ইতালিয়ান কোচ, ‘২৬ মে থেকে আমি ব্রাজিলের কোচ। তখন তাদের জন্য অনুভূতিটাও কাজ করবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এখনো আমি রিয়াল মাদ্রিদের কোচ। এই দারুণ যাত্রাটা সুন্দরভাবে শেষ করতে চাই। আমি জানি, যেটা আমি করতে চাই, সেটা নিয়ে তারাও (ব্রাজিল) আগ্রহী হবে। আমি এসব নিয়ে সেদিন থেকে ভাবব, যেদিন এখান থেকে বিদায় নেব। কারণ, এই ক্লাব এবং ক্লাবের সমর্থকদের আমি সম্মান করি।’

রিয়ালও আনচেলত্তিকে রাজসিকভাবে বিদায় জানাতে প্রস্তুত। এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতেও সেই আভাস মিলেছে। আনচেলত্তির চলে যাওয়ার খবরটা ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে রিয়াল।

রিয়াল মাদ্রিদের সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ছেড়ে যাচ্ছেন আনচেলত্তি। এই দৃশ্য আর বেশি দিন দেখা যাবে না

সম্পর্কিত নিবন্ধ