করোনা মহামারির কারণে ঝরে পড়া প্রায় ২৫ হাজার শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার মূলধারায় ফিরিয়ে এনেছে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির ‘রিটার্নিং টু লার্নিং’ (আরটিএল) প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৫টি এক-কক্ষবিশিষ্ট বিদ্যালয়ে ‘এক্সিলারেটেড কোর্স’-এর মাধ্যমে মহামারির সময় শিশুদের শিখন ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে এই কোর্স সম্পন্নকারী প্রায় শতভাগ ঝরে পড়া শিক্ষার্থী।

কুড়িগ্রাম, রংপুর ও লালমনিরহাটের প্রান্তিক পর্যায়ে ঝরে পড়া শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষায় পুনরায় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে হেম্পেল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়। প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে গত সোমবার ব্র্যাক সেন্টারে একটি শেয়ারিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রকল্পটির মূল তথ্য, অভিজ্ঞতা ও সুপারিশমালা তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মিরাজুল ইসলাম উকিল। ব্র্যাকের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং অভিবাসন কর্মসূচির পরিচালক সাফি রহমান খান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল হক শিকদার এবং ব্র্যাক ইউরোপের ফাউন্ডেশনস কর্মকর্তা রোজি উইলিয়ামস।

মাসুদ আকতার খান বলেন, ‘এত দিন আমরা মূলত মেয়েশিশুদের শিক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়েছি। এখন সময় এসেছে ছেলেশিশুদের শিক্ষার দিকেও সমানভাবে নজর দেওয়ার। তবে সামনে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ গুণগত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করা।’

মিরাজুল ইসলাম উকিল বলেন, ‘সরকার এখন তিনটি নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে। সেগুলো হলো– সবার জন্য স্কুল ফিডিং চালু, প্রাথমিক স্তরে আবারও বৃত্তি চালু এবং দুই শিফটের সব বিদ্যালয়কে এক শিফটে রূপান্তর। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হলে স্কুল থেকে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হার অনেকাংশে কমে যাবে।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

২৫০ ক্রিকেটারকে দেখতে মাত্র দুই নির্বাচক

শুধু জাতীয় দল, ‘এ’ দল আর হাই পারফরম্যান্স দল মিলেই ক্রিকেটারের সংখ্যাটা ৬০–এর কিছু কমবেশি। সঙ্গে এই মুহূর্তের ব্যস্ততা জাতীয় লিগের আটটি বিভাগীয় দলের ৩০ জন করে ক্রিকেটার থেকে দলগুলোকে ১৫ জনে নামিয়ে আনা। কখনো কখনো ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার খুঁজতে বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ক্রিকেটও দেখতে হয় নিজেদের তাগিদে। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, ছয় মাস ধরে দুই–আড়াই শ ক্রিকেটারের ওপর চোখ রাখার কাজটা করছেন মাত্র দুজন নির্বাচক!

গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়ে কোচিং পেশায় মনোনিবেশ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার হান্নান সরকার। এর পর থেকেই বিসিবি জাতীয় নির্বাচক প্যানেল কার্যত চলছে দুই সদস্য দিয়ে। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনের সঙ্গে দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে আছেন জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। এই ছয় মাসে বেশ কয়েকবারই শোনা গেছে নির্বাচক কমিটির তৃতীয় সদস্য নেওয়ার কথা। মাঝে একবার মোটামুটি খবরই হয়ে গেল যে নারী দলের নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ আবারও ফিরছেন জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে। কিন্তু হান্নান দায়িত্ব ছাড়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও নির্বাচক কমিটি চলছে দুই সদস্য দিয়েই।

অথচ এই ছয় মাসে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। শুধু জাতীয় দলই খেলেছে পাঁচটি আন্তর্জাতিক সিরিজ। হান্নান সরে যাওয়ার পর এপ্রিলে হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানে পিঠাপিঠি দুটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ। শ্রীলঙ্কায় তিন সংস্করণের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ হয়েছে জুন-জুলাইয়ে। আর দেশে ফিরে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ