‘রিটার্নিং টু লার্নিং’ প্রকল্প প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ফিরেছে ঝরে পড়া ২৫ হাজার শিশু
Published: 14th, May 2025 GMT
করোনা মহামারির কারণে ঝরে পড়া প্রায় ২৫ হাজার শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার মূলধারায় ফিরিয়ে এনেছে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির ‘রিটার্নিং টু লার্নিং’ (আরটিএল) প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৫টি এক-কক্ষবিশিষ্ট বিদ্যালয়ে ‘এক্সিলারেটেড কোর্স’-এর মাধ্যমে মহামারির সময় শিশুদের শিখন ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে এই কোর্স সম্পন্নকারী প্রায় শতভাগ ঝরে পড়া শিক্ষার্থী।
কুড়িগ্রাম, রংপুর ও লালমনিরহাটের প্রান্তিক পর্যায়ে ঝরে পড়া শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষায় পুনরায় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে হেম্পেল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়। প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে গত সোমবার ব্র্যাক সেন্টারে একটি শেয়ারিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রকল্পটির মূল তথ্য, অভিজ্ঞতা ও সুপারিশমালা তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মিরাজুল ইসলাম উকিল। ব্র্যাকের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং অভিবাসন কর্মসূচির পরিচালক সাফি রহমান খান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল হক শিকদার এবং ব্র্যাক ইউরোপের ফাউন্ডেশনস কর্মকর্তা রোজি উইলিয়ামস।
মাসুদ আকতার খান বলেন, ‘এত দিন আমরা মূলত মেয়েশিশুদের শিক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়েছি। এখন সময় এসেছে ছেলেশিশুদের শিক্ষার দিকেও সমানভাবে নজর দেওয়ার। তবে সামনে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ গুণগত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করা।’
মিরাজুল ইসলাম উকিল বলেন, ‘সরকার এখন তিনটি নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে। সেগুলো হলো– সবার জন্য স্কুল ফিডিং চালু, প্রাথমিক স্তরে আবারও বৃত্তি চালু এবং দুই শিফটের সব বিদ্যালয়কে এক শিফটে রূপান্তর। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হলে স্কুল থেকে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হার অনেকাংশে কমে যাবে।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র অবগত আছে জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র টমি পিগট।
তিনি বলেন, “আমরা জানি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে, যতক্ষণ না দল এবং এর নেতাদের বিচার কার্যক্রম শেষ না হয়। আমরা বাংলাদেশের কোনো একক রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা একটি মুক্ত, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ন্যায়সংগত এবং আইনি আচরণে বিশ্বাস করি।”
আরো পড়ুন:
সৌদি আরব পৌঁছেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক প্রত্যাহারে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-চীন
টমি পিগট আরো বলেন, “আমরা বাংলাদেশসহ সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সব সংগঠনের স্বাধীনতাকে সম্মান করে।”
তিনি বলেন, “আমরা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে মূল্যবান বলে মনে করি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এদিকে, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “কোনো উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।”
তিনি আরো জানান, (বাংলাদেশে) গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর (পলিটিক্যাল স্পেস) সংকুচিত হয়ে আসছে তাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বভাবতই উদ্বিগ্ন বোধ করছে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
ঢাকা/ফিরোজ