জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় অধস্তন আদালতের দেওয়া ৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। বুধবার সকালে বিচারপতি খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। সেই সঙ্গে ডা. জোবাইদা রহমানের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করা হয়।

ডা.

জোবাইদার আইনজীবী এস এম শাহজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ মামলার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিনে থাকবেন ড. জোবাইদা রহমান। এছাড়া মঙ্গলবার হাইকোর্ট ডা. জোবাইদা যে ৫৮৭ দিন পর আপিল করেছিলেন, তার বিলম্ব মার্জনা মঞ্জুর করেন।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর পরের বছর (২০০৮) তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। পরবর্তীতে এ মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত মো. আছাদুজ্জামান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।

তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২ অক্টোবর তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সবশেষ মঙ্গলবার ৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের জন্য জোবাইদা রহমানকে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট। ডা. জোবাইদার আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার তার বিলম্ব মার্জনা মঞ্জুর করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন রহম ন র বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

মানববন্ধনে যাওয়া দোকান কর্মচারীকে পিটুনি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আলোচিত শান্ত সরকার হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে এক দোকান কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হিরনাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আসামিরা হত্যা মামলাটি তুলে নিতে বাদী সালাউদ্দিন সরকারকে হুমকি দেয়।

গতকাল রোববার এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সালাউদ্দিন সরকার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ভাতিজা শান্ত সরকারকে গত ১১ এপ্রিল বিকেলে দাউদপুরের জিন্দা এলাকায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তিনি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকির (৪০), তাঁর ভাই নাঈম ফকির (৩৭), রানা ফকির (৩৫), রোকনউদ্দিনসহ (৪০) ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ২২ এপ্রিল এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়। এতে অংশ নেন সালাউদ্দিন সরকারের দোকানের কর্মচারী আনোয়ার হোসেন। এতে আসামিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শনিবার বিকেলে আনোয়ার হোসেন দোকান থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। হিরনাল মাজারের সামনে পৌঁছালে তাঁর ওপর হামলা হয়। এতে শান্ত হত্যা মামলার আসামি নাঈম ফকির, রানা ফকির, ফরহাদ, অনিক ফকিরসহ তাদের সহযোগীরা ছিলেন। তারা আনোয়ারের কাছ থেকে দোকানের পণ্য কেনার নগদ ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মারধরের শিকার হয়ে তিনি চিৎকার করলে সালাউদ্দিন সরকারসহ আশপাশের লোকজন আসেন। এ সময় হামলাকারীরা মামলা তুলে নিতে তাঁকে হুমকি দেয়। পরে আনোয়ারকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকিরের ভাষ্য, ‘একটি সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি হয়েছিল। তখন আমার ছোট ভাই নাঈম ও তাঁর লোকজন আনোয়ারকে মারধর করেছে।’ তিনি আনোয়ারের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেও দাবি করেন।

রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তারা লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ