৭৭ বছর আগে ফিলিস্তিনিদের ওপর যেভাবে নেমে এসেছিল মহাবিপর্যয়
Published: 14th, May 2025 GMT
কোনো রাখঢাক না করেই ঘোষণাটা দিয়েছেন ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ।
গত মাসের শেষ দিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে গিয়েছিলেন রিলিজিয়াস জায়নিজম পার্টির এই নেতা। সেখানে দেওয়া এক ভাষণে তিনি খোলাখুলিভাবে বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করবে শুধু তখনই, যখন ফিলিস্তিনিরা গাজা ছেড়ে চলে যাবেন।
ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে পুরোপুরি উৎখাত করে এই ভূখণ্ডের পুরোটা দখল করার জায়নবাদী প্রকল্প নতুন কিছু নয়। এই দখলদারি, অন্যায়, অপরাধ, জুলুমের প্রকল্পের ইতিবৃত্ত জানতে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে দূর অতীতে-শত বছরের বেশি সময় আগে।
আরও পড়ুননাকবা দিবস: আরও বড় মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি ফিলিস্তিনিরা১৫ মে ২০২৪কল্পকাহিনি
‘জায়নিজম’ বা জায়নবাদ শব্দটি প্রথম প্রবর্তন করেন অস্ট্রীয় লেখক নাথান বারনবুম। সে ১৮৯০ সালের কথা।
সাত বছর পর ১৮৯৭ সালের আগস্টে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জায়নবাদী সম্মেলন।
নাথান বারনবুম ও থিওডর হারজেল (ডানে).উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে আগেই অনুরোধ করেছিলাম: আহমেদ আযম খান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘‘যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। তাদের তো বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ থাকতে পারে না। আমরা ফেব্রেুয়ারি মাসের ১০ তারিখেই এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে লিখিতভাবে অনুরোধ করেছিলাম।’’
বুধবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় যোগদানের আগে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আহমেদ আযম খান বলেন, ‘‘নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের ধারাবাহিক যে বক্তব্য, আমাদের সুচিন্তিত যে বক্তব্য, সেটাই আমাদের কথা। মানুষের আকাঙ্খা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রথম পদ্ধতিই হলো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। স্বাধীন সংসদ এবং নির্বাচিত সরকার। গত ১৭ বছর আমরা যে রক্ত দিয়েছি। আমরা সাত লক্ষ বিএনপির নেতাকর্মী হামলা, মামলায় জর্জরিত হয়েছি। হাজার হাজার নেতাকর্মী আমাদের গুম হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন হয়েছে অবাধ ও নিরপক্ষে নির্বাচনের আন্দোলনের জন্য।’’
‘‘আমাগী ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় যে সংস্কারগুলো দরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সেই সংস্কারগুলো শেষ করে আশা করবো ডিসেম্বরের মধ্যেই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আমার অতি দ্রুত গণতন্ত্রে ফিরতে চাই।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। এটা কোনো ফ্যাসিবাদী বাংলাদেশ হবে না। কোনো স্বৈরতন্ত্রের বাংলাদেশ হবে না। আদালতের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা হোক।’’
‘‘এপ্রিল মাস থেকে যতবার উপদেষ্টামণ্ডলীর সাথে কথা হয়েছে আমাদের নেতৃবৃন্দ এই আলোচনাগুলো রেখেছেন। কাজেই আমরা মনে করি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোই রাজনীতি করবে।’’ বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
কাওছার//