রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর সাফল্য বর্ণনা করলেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর তিন প্রধান যথাক্রমে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠি ও এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং।

আজ বুধবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, সেনাবাহিনী রাষ্ট্রপতিকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানের সাফল্য বিস্তারিত বর্ণনা করেন।

রাষ্ট্রপতিকে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান বলেন, যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তিন বাহিনী সতর্ক। সীমান্তপারের যেকোনো ‘সন্ত্রাসী’ হামলার যোগ্য প্রত্যুত্তরের জন্য সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত।

আজ বুধবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই অভিযান সম্পর্কে বিশ্বের ৭০টি দেশের কূটনৈতিকদের সবকিছু জানানো হয়।

পিটিআই জানাচ্ছে, দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের মানেকশ সেন্টারে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনা অভিযানের প্রয়োজনীয়তা ও কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করেন ভারতের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক লে.

জেনারেল ডি এস রানা। বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে নিযুক্ত ডিফেন্স অ্যাটাশেরা ওই সভায় যোগ দিয়েছিলেন।

চীনা দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশেকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তুরস্ককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা জানায়, ডিফেন্স অ্যাটাশের বদলে কোনো তরুণ কর্তা অনুষ্ঠানে যেতে পারেন। ভারত তাতে সম্মত হয়নি। চীন ও তুরস্ক দুই দেশই পাকিস্তানের বড় রপ্তানিকারক।

ভারত–পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘অপারেশন সিঁদুর’ যে এখন থেকে নতুন স্বাভাবিকতা বা ‘নিউ নর্মাল’ হয়ে উঠেছে, জেনারেল রানা বিদেশি অতিথিদের তা জানান। তিনি দাবি করেন, ভারত যে ৯টি ঘাঁটিতে ৭ মের ভোরে আক্রমণ চালিয়েছে, সেগুলোর প্রতিটিই ছিল ‘সন্ত্রাসীদের’ ঘাঁটি। চিহ্নিত লক্ষ্যবস্তুর বাইরে ভারত কোথাও আক্রমণ চালায়নি।

এই সভায় ভারতের নিজের তৈরি ‘আকাশ’ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও ‘ব্রক্ষ্ম’ সুপারসোনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কতটা কার্যকর, সেনাকর্তারা বিদেশি অতিথিদের তা ব্যাখ্যা করেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মানববন্ধনে যাওয়া দোকান কর্মচারীকে পিটুনি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আলোচিত শান্ত সরকার হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে এক দোকান কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হিরনাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আসামিরা হত্যা মামলাটি তুলে নিতে বাদী সালাউদ্দিন সরকারকে হুমকি দেয়।

গতকাল রোববার এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সালাউদ্দিন সরকার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ভাতিজা শান্ত সরকারকে গত ১১ এপ্রিল বিকেলে দাউদপুরের জিন্দা এলাকায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তিনি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকির (৪০), তাঁর ভাই নাঈম ফকির (৩৭), রানা ফকির (৩৫), রোকনউদ্দিনসহ (৪০) ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ২২ এপ্রিল এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়। এতে অংশ নেন সালাউদ্দিন সরকারের দোকানের কর্মচারী আনোয়ার হোসেন। এতে আসামিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শনিবার বিকেলে আনোয়ার হোসেন দোকান থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। হিরনাল মাজারের সামনে পৌঁছালে তাঁর ওপর হামলা হয়। এতে শান্ত হত্যা মামলার আসামি নাঈম ফকির, রানা ফকির, ফরহাদ, অনিক ফকিরসহ তাদের সহযোগীরা ছিলেন। তারা আনোয়ারের কাছ থেকে দোকানের পণ্য কেনার নগদ ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মারধরের শিকার হয়ে তিনি চিৎকার করলে সালাউদ্দিন সরকারসহ আশপাশের লোকজন আসেন। এ সময় হামলাকারীরা মামলা তুলে নিতে তাঁকে হুমকি দেয়। পরে আনোয়ারকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকিরের ভাষ্য, ‘একটি সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি হয়েছিল। তখন আমার ছোট ভাই নাঈম ও তাঁর লোকজন আনোয়ারকে মারধর করেছে।’ তিনি আনোয়ারের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেও দাবি করেন।

রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তারা লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ