নগর ভবনে অবস্থান, ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবি
Published: 15th, May 2025 GMT
ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সামনে ও ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন অনেকে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে ঢাকাবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আজকের এই অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই ঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল থেকেই শুরু হয় এই কর্মসূচি।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল নয়টার দিকে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন অনেক বিক্ষোভকারী। মূল ফটকের ভেতর ও বাইরে অবস্থান নিয়ে তাঁরা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়াতে দেরি হওয়ার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
এ সময় তাঁরা ‘শপথ নিয়ে তালবাহানা চলবে না চলবে না’, ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনের শপথ চাই’, ‘জনতার মেয়র ইশরাক ভাই, অন্য কোনো মেয়র নাই’, ‘আমাদের মেয়র আমরাই বানাব’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে ঢাকাবাসীর ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্নীতির মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩–এর বিচারক আবু তাহের আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। রায়ের পর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট মামলা করে দুদক।
এর আগে গত ২৫ মে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় শামীমা নূর পাপিয়াকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার পাঁচ তারকা একটি হোটেলে বিলাসবহুল কক্ষ ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে পাপিয়ার বিরুদ্ধে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের বিষয়ে আঁচ পেয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর পাপিয়াকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে পাপিয়ার বুকিং দেওয়া বিলাসবহুল স্যুট ও ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে বিদেশি একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২০টি গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার নগদ টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, কিছু বিদেশি মুদ্রা ও এটিএম কার্ড জব্দ করেছিল র্যাব।
র্যাব জানায়, পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর মালিকানায় রাজধানীর ইন্দিরা রোডে ২টি ফ্ল্যাট, নরসিংদীতে ২টি ফ্ল্যাট, ২ কোটি টাকা দামের ২টি প্লট, তেজগাঁওয়ে এফডিসি ফটকের কাছে গাড়ির শোরুমে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগ, নরসিংদী জেলায় কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশন নামের প্রতিষ্ঠানে ৪০ লাখ টাকার বিনিয়োগ আছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করে র্যাব। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অবৈধ পাঁচ কোটি টাকার খোঁজ পেয়ে পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা করে।