জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কাস্টমস সদস্যরা কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। 

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। বেলা ৩টার পর বিরতি শেষে আবারও কাজে ফিরেছেন রাজস্ব কর্মকর্তারা।

কাস্টমস ও ট্যাক্স বিভাগ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ডাকে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোনমসজিদ বন্দরের কাস্টমস সদস্যরা এ কর্মসূচি পালন করেন। আগামী শনিবার তিন দিনের কলম বিরতি শেষ হবে। 

এর আগে গত বুধবার কলম বিরতি শুরুর দিনে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কলম বিরতি চললেও বৃহস্পতিবার আরও দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে বেলা ৩টা পর্যন্ত করা হয়। ফলে দুই দিন ধরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্দরটির কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়ছে।

আমদানি-রপ্তানিকারকরা জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কাস্টমস সদস্যদের কলম বিরতির কারণে সকাল ৯টার দিকে তাদের কোনো কাজ করতে দেখা যায়নি। তারা আমদানি-রপ্তানির কোনো ফাইলে সই করেননি। এ সময় বন্দরের সব পণ্যের চালান মূল্যায়ন, পরীক্ষণ ও কার পাস বন্ধ ছিল। 

শুভ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘সোনামসজিদ স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তাদের কলম বিরতিতে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। পণ্যের চালান মূল্যায়ন, পরীক্ষণ ও কার পাস বন্ধ থাকায় আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।’’ 

একই বক্তব্য দিয়ে পাথর আমদানিকারক গোলাম মোস্তাফা বলেন, ‘‘বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তাদের বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত সমাধানে বাণিজ্যিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। না হলে আমাদের আরও ক্ষতি হবে।’’

সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘‘গত বুধ ও বৃহস্পতিবার মোট দুদিন স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তারা কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময়ের মধ্যে বন্দরের কিছু কাজে ব্যাঘাত ঘটলেও বাকি সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকেই বন্দরের ইয়ার্ডে ট্রাক ঢুকেছে। কোন সমস্যা হয়নি।’’

কলম বিরতির মধ্যে পণ্য খালাস প্রক্রিয়ায় বিষয়ে জানতে চাইলে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কাস্টম কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘কলম বিরিত শেষে আমরা আবারও কাজে ফিরেছি। বিরতির পর পণ্য খালাস প্রক্রিয়ায় আর কোন জটিলতা থাকে না। সব কিছুই স্বাভাবিক নিয়মে হয়।’’

ঢাকা/তারা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক স টমস আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মচারীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) সকালে সীমান্ত বন্দর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল শুরু হয়।

গত শুক্রবার ও শনিবার (২৯ জুন) এনবিআরের আওতাধীন কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একদফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। যার ফলে আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

আরো পড়ুন:

‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ বন্ধ আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম

হিলি স্থলবন্দরে সব কার্যক্রম বন্ধ

বন্দরে কোনো ব্যবসায়িক কাগজপত্রে স্বাক্ষর না হওয়ায় কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। তবে পূর্বনির্ধারিত ও আগাম স্বাক্ষরকৃত কাগজপত্রের ভিত্তিতে গত শুক্রবার কিছু পণ্য সীমিত পরিসরে রপ্তানি করা হয়েছিল।

আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেসার আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‍“শাট ডাউনের কারণে রবিবার বন্দরে কোনো মালামাল আসেনি। আজ থেকে কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে।”

বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “শাট ডাউন প্রত্যাহার হওয়ায় আমরা আজ সকাল থেকে যথারীতি কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে।”

এদিকে, কর্মবিরতি চলাকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচলে কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মো. আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, “ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলেছে। যাত্রী পারাপারে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।”

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনায় পেশাদারিত্ব
  • আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
  • দুই দিন পর সচল হলো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
  • রপ্তানিকারকদের দুশ্চিন্তা আমলে নিন
  • এনবিআরে শাটডাউন, সারা দেশের বন্দরে অচলাবস্থা
  • এনবিআরে শাটডাউন, সারাদেশের বন্দরে অচলাবস্থা
  • এনবিআর ‘শাটডাউনে’ আখাউড়া স্থলবন্দরে স্থবিরতা
  • ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ বন্ধ আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম
  • হিলি স্থলবন্দরে সব কার্যক্রম বন্ধ
  • ‌‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ