কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি আমলা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যমে থাকা কর্মীদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন’। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সচিবালয়সহ মোট নয়টি সরকারি সংস্থায় যাঁরা আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাঁদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে থাকা প্রায় ৩০০ কর্মকর্তার তালিকা প্রকাশ করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন নামের এই সংগঠন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক মো.

নজরুল ইসলাম, সদস্যসচিব ফারহান সরকার ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তানভীর ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম সদস্যসচিব মো. আবিদ ইসলাম এবং জুলাই আন্দোলনে আহত সৌরভ। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে রাজপথের কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

লিখিত বক্তব্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সদস্যসচিব ফারহান সরকার চার দফা দাবি জানান। এর মধ্যে একটি দাবি হচ্ছে সরকারের সব সেক্টরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা করা এবং তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা।

ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করে গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনা; প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিবাদী আদর্শ প্রচারের সব পথ বন্ধ করা এবং একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষক রাজনৈতিক শক্তিকে চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রক শ সরক র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুতে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে প্রশাসন: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের বিধিমালা প্রণয়নে প্রশাসন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছে শাখা ছাত্রদল। 

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ অভিযোগ তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন:

ইডিএস মাস্টার্স ফেলোশিপ পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থী

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে  মাদকবিরোধী কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে: জবি উপাচার্য

লিখিত বক্তব্যে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রশাসন একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত জকসু নীতিমালা প্রণয়ন করবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি, প্রশাসন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে, যা হতাশাজনক।”

তিনি বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা চাই এটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হোক—যাতে জকসু শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধি নির্বাচনের মুক্ত মঞ্চে পরিণত হয়, কোনো দলীয় প্রভাবের শিকার না হয়।”

তিনি আরো বলেন, “জকসুর মেয়াদ ও দায়িত্বের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট ও বাস্তবসম্মত করা, সদস্যপদের যোগ্যতা সহজ করা এবং সংবিধানে শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক কার্যক্রমে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের ক্ষমতা শুধু সহ-সভাপতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সাধারণ সম্পাদক ও সহসাধারণ সম্পাদককেও যুক্ত করতে হবে।”

সংগঠনটি জকসুর কাঠামোতে নতুন ১০টি পদ সংযোজনের প্রস্তাব করেছে তারা। প্রস্তাবিত পদগুলো হলো— বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীবিষয়ক সম্পাদক, ছাত্রীকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক (শুধু নারীদের জন্য), দক্ষতা উন্নয়ন (ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট) সম্পাদক, ধর্ম ও সম্প্রীতি সম্পাদক, মিডিয়া ও যোগাযোগ সম্পাদক, দফতর সম্পাদক, বিতর্ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, পরিবেশ সম্পাদক, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পাদক এবং কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক।

এর আগে, ছাত্রদলের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং একটি সদস্য পদ জকসু বিধিমালায় সংযোজন করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীরা সবাই যোগ্য। তবে এখনো প্যানেল নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে অধিক গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের নিয়েই প্যানেল প্রকাশ করা হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছিলাম, কিন্তু তা রাখা হয়নি। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ থাকলেও জকসুতে তা নেই। এছাড়া বিগত ফ্যাসিস্টদের বিচার না হওয়াটা প্রশাসনের ব্যর্থতা।”

সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক, আহ্বায়ক সদস্যসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনসিপির জাতীয় ছাত্রশক্তির কমিটি ঘোষণা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে জাহিদ–বাকের
  • জকসুতে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে প্রশাসন: ছাত্রদল