আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ’–এর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ প্রিন্স ও সাধারণ সম্পাদক রাফিউর রহমান ফাত্তাহ। শুক্রবার সংগঠনটির দিনব্যাপী কাউন্সিলে ভোটাভুটির মাধ্যমে এ কমিটি নির্বাচন করা হয় বলে এবি পার্টির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের প্রধান তত্তাবধায়ক ও এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুল হক সানী, এবি পার্টির সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

সংগঠনটির নবনির্বাচিত সভাপতি মুহাম্মদ প্রিন্স বলেন, ‘আমরা সংগঠনের গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র ও মূল আদর্শকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকব। সাম্য ও অধিকারভিত্তিক নতুন প্রজন্মের ছাত্রসংগঠনের বার্তা সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেব। জুলাইকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে ছাত্রপক্ষ। আমদের সংগঠনের নেতৃত্ব হবে পরিশ্রমী, জবাবদিহিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক।’

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রাফিউর রহমান ফাত্তাহ বলেন, ‘সকল কাউন্সিলর, কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলছি—আমরা সকলের মতামত ও অংশগ্রহণকে সম্মান জানিয়ে আগামী দিনের সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করব। ছাত্রপক্ষ থাকবে গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে সক্রিয়।’

কাউন্সিলে বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের বিভিন্ন স্তরের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল দ শ ছ ত রপক ষ ক উন স ল স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

৫ জুলাইয়ের পর আর কোনো আলোচনা নয়, আপনি বিদায় নেন

পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে চলমান আন্দোলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট জেলা প্রশাসক শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদকে উদ্দেশে করে বলেছেন, ‘আপনি সরকারকে ভুল ম্যাসেজ দিচ্ছেন। কারো সঙ্গে আলোচনা না করে যা ইচ্ছা তাই করছেন। ক্রাশার মিল গুড়িয়ে দিচ্ছেন, অন্ধ কল্যাণ সমিতির স্থাপনা ভেঙে দিচ্ছেন। দু’এক নেতাকে বশ করে আপনি যদি মনে করেন, পার পেয়ে যাবেন তা হলে ভুল করবেন। ৫ জুলাইয়ের পর আপনার সঙ্গে আর কোনো আলোচনা নয়। আপনি বিদায় নেন।’

আজ বুধবার দুপুরে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় জেলা প্রশাসককে ‘সিলেট বিদ্বেষী’ বলে অ্যাখ্যা দেন আরিফুল হক।
  
পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আজ এ সমাবেশের আয়োজন করে। সংগঠনটি সিলেট জেলা পাথর ও পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে আগামী শনিবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সমাবেশে পরিবহন নেতারা জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবি করেন। যখন সমাবেশে জেলা প্রশাসকের যখন অপসারণ দাবি হচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপি-জামায়াত নেতাসহ অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন তিনি। বৈঠকে সিলেটের পাথর কোয়ারিসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন রাজনৈতিক নেতাসহ অংশীজনেরা। 

সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিক-মালিকদের দাবিগুলো ন্যায্য ও যৌক্তিক। সরকার যদি দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে সিলেটের অর্থনীতি থমকে যাবে। 

সম্প্রতি পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। গত কয়েক মাস ধরে বিচ্ছিন্নভাবে স্মারক লিপি ও মিছিল মিটিংয়ের পর গত সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি। গত শনিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা লোড-আনলোডের কর্মবিরতি ও গত রোববার থেকে সিলেট জেলা সকল পণ্য পরিবহনে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়। এ অবস্থায় আগামী শনিবার থেকে নতুন করে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। 

বুধবার সমাবেশে তারা ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করে। দাবিগুলো হচ্ছে- বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটকের অবসান, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ, প্রাইভেট কোম্পানিকে গাড়ির ফিটনেস না দেওয়া ও ডাম্পিং আইন স্থগিত রাখা। 

সমাবেশে আরিফুল হক ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, পরিবহন শ্রমিক নেতা মইনুল ইসলাম প্রমুখ। 

অপর দিকে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজউল হাসান লোদী কয়েস, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জামায়াতের জেলা আমির হাবিবুর রহমান, মহানগর আমির ফখরুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন। 

সভায় উপস্থিত থাকা নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারি চালু, ক্রাশার মিলে অভিযান বন্ধ ও অন্ধ কল্যাণ সমিতির জায়গা থেকে উচ্ছেদ বন্ধের দাবি করেছি। জেলা প্রশাসক পজিটিভ। তিনি পাথর কোয়ারি ইজারা বন্ধের বিষয়টি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ক্রাশার মিলে যাদের বৈধতা আছে তাদের সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান।’ 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রয়েছে। উনি (আরিফুল হক) কি জন্য আমাকে নিয়ে এত কথা বলেছেন তা তিনি ভালো বলতে পারবেন। পাথর কোয়ারিসহ বিভিন্ন দাবির ক্ষেত্রে সবার কথা শোনা হচ্ছে। দাবিগুলো ভেবে দেখা হচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুন আপদের নাম ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ
  • গাজায় কার্যকর যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চায় হামাস
  • ৫ জুলাইয়ের পর আর কোনো আলোচনা নয়, আপনি বিদায় নেন