শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আবারও গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রাঙ্গণে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগের কথা জানিয়েছে ইউজিসি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন ফখরুল হাসান ফয়সাল আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইউজিসির একজন সদস্য ও তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মাধ্যমে তাঁরা মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগের কথা জানতে পেরেছেন। তাঁরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের এখনকার দাবি হলো, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তাঁদের প্রস্তাবিত চারটি নামের মধ্য থেকে একটি চূড়ান্ত করতে হবে। তাঁদের দেওয়া চারটি নাম হলো-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্সড টেকনোলজি এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি। এর মধ্য থেকে যেকোনো একটি নাম নির্ধারণ করার দাবি তাঁদের।

একই দাবিতে ইউজিসির সামনে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আজ বুধবার ইউজিসির সামনে অনশন শুরু করেছেন। এর আগে এই দাবিতে ‘লংমার্চ টু ইউজিসি’ কর্মসূচির আওতায় গত সোমবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রওনা হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা ইউজিসির সামনে অবস্থান নেন। আজ সকাল থেকে তাঁরা অনশন শুরু করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আন্দোলন করছেন গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুননাম বদলের দাবিতে এবার অনশনে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা৭ ঘণ্টা আগে

২০১৬ সালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রতিষ্ঠিত বিশেষায়িত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নাম ছিল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গত ফেব্রুয়ারি মাসে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি করেছে। গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামকরণের পর থেকেই ক্ষুব্ধ হন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা প্রথমে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। দাবি আদায়ে স্মারকলিপি, মানববন্ধন, শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা, ‘রেল ব্লকেড’ ‘শাটডাউন’সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এর মধ্যে আশ্বাসের ভিত্তিতে কখনো কখনো কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও এখনো দাবি পূরণ হয়নি। তাঁরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য চারটি নাম প্রস্তাব করে যেকোনো একটি চূড়ান্ত করার দাবি করছেন।

আরও পড়ুনশিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা, নেই পরিকল্পিত সমাধান ১০ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ জ প র ড জ ট ল ইউন ভ র স ট র ল দ শ ইউন ভ র স ট ইউজ স র

এছাড়াও পড়ুন:

করোনায় একজনের মৃত্যু, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৯৪

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর করোনায় ২৪ জনের মৃত্যু হল। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন বরগুনা জেলায়। বরগুনা সদর হাসপাতালে ৬৬ জন রোগী এক দিনে ভর্তি হয়েছেন।

ডেঙ্গুতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৯৫৪ জনে, আর মারা গেছেন ৪৫ জন। সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগীর ৪৪ শতাংশই বরিশাল বিভাগে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত একদিনে সারা দেশে ২৩৯ জন সন্দেহজনক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ জনের। পাশাপাশি ওই সময় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন পুরুষ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ছিল ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। করোনায় এ বছর মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে নারী ১৩ জন, বাকি ১১ জন পুরুষ।

এ বছর করোনায় বেশি মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এই বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা বিভাগে মারা গেছে ৯ জন। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে ৩ জন ও সিলেট বিভাগে ২ জন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, জুলাইয়ের ৫ দিনে এক হাজার ৬৫৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মারা গেছেন তিন জন। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ২৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৫৭ জন, বাকি ৮৭৯ জন অন্যান্য বিভাগে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন এবং মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন ও জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে সাত জন, মে মাসে তিন জন ও জুন মাসে ১৯ জনের মৃত্যু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসিকে আটকে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগ
  • রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ ওসিকে আটকে চাঁদাবাজির’ অভিযোগ
  • রেস্ট হাউজে ‘ওসিসহ নারীকে আটকে চাঁদাবাজির’ অভিযোগ
  • কেন এমবাপ্পেকে রেখে চলে গেল রিয়াল মাদ্রিদের বাস
  • বন্ধু ভুলিনি তোমায়, ভুলতেও পারবো না: হানিফ সংকেত
  • মাতৃত্ব ও মানসিক সুস্থতার গল্প বললেন অ্যাড্রিয়েন বায়লন-হাউটন
  • পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য আলাদা বাজেট জরুরি
  • ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় গুম-হত্যা ছিল স্বাভাবিক ঘটনা
  • জুলাই আন্দোলনকারীদের দেশ ছাড়তে বলা শিক্ষকদের পদোন্নতি, ক্ষুব্ধ শ
  • করোনায় একজনের মৃত্যু, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৯৪