নাম বদলের দাবিতে এবার অনশনে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা
Published: 21st, May 2025 GMT
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে এবার অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
একই দাবিতে ইউজিসির সামনে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এখন অনশন শুরু করলেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো কার্যকর প্রতিক্রিয়া বা অগ্রগতি পাওয়া যায়নি। তাই তাঁরা অনশন শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই অনশন কর্মসূচি চলবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি হলো, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তাঁদের প্রস্তাবিত চারটি নামের মধ্য থেকে একটি চূড়ান্ত করতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে এই নামের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, এই অনশন কোনো বিদ্রোহ নয়। এটি তাঁদের পরিচয় ও মর্যাদার দাবিতে সর্বশেষ প্রতিবাদ।
জানা গেছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি নাম প্রস্তাব করেছেন। এগুলো হলো—বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্সড টেকনোলজি এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি। এর মধ্য থেকে যেকোনো একটি নাম নির্ধারণ করার দাবি তাঁদের।
আরও পড়ুননাম বদলের দাবিতে এবার ইউজিসির সামনে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা১৯ মে ২০২৫এই দাবিতে ‘লংমার্চ টু ইউজিসি’ কর্মসূচির আওতায় গত সোমবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রওনা হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা ইউজিসির সামনে অবস্থান নেন। আজ সকাল থেকে তাঁরা অনশন শুরু করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন করছেন গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুনগাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে রেললাইন অবরোধ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনএবার ‘লংমার্চ টু ইউজিসি’ কর্মসূচি ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের১৮ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড জ ট ল ইউন ভ র স ট র শ ক ষ র থ ল দ শ ইউন ভ র স ট ইউজ স
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হওয়া অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকালে শতাধিক শ্রমিক প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন। একে একে বক্তব্য দেন শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। তাঁরা দাবি করেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সক্ষমতায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজন নেই।
স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ভালোভাবে চলছে। বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করে এই প্রতিষ্ঠান। এমন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ফলে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।
কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়েও নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়া চর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই এটি সফল হতে দেবে না। বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা।
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কাউকে না জানিয়ে বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছিল। বর্তমান সরকারও সেটি পর্যালোচনা না করে বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিচ্ছে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্কপ। সমাবেশ শেষে বন্দর এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই কর্মসূচি থেকেই আজকের গণ–অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা।