বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে এবার অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

একই দাবিতে ইউজিসির সামনে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এখন অনশন শুরু করলেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো কার্যকর প্রতিক্রিয়া বা অগ্রগতি পাওয়া যায়নি। তাই তাঁরা অনশন শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই অনশন কর্মসূচি চলবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি হলো, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তাঁদের প্রস্তাবিত চারটি নামের মধ্য থেকে একটি চূড়ান্ত করতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে এই নামের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, এই অনশন কোনো বিদ্রোহ নয়। এটি তাঁদের পরিচয় ও মর্যাদার দাবিতে সর্বশেষ প্রতিবাদ।

জানা গেছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি নাম প্রস্তাব করেছেন। এগুলো হলো—বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্সড টেকনোলজি এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি। এর মধ্য থেকে যেকোনো একটি নাম নির্ধারণ করার দাবি তাঁদের।

আরও পড়ুননাম বদলের দাবিতে এবার ইউজিসির সামনে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা১৯ মে ২০২৫

এই দাবিতে ‘লংমার্চ টু ইউজিসি’ কর্মসূচির আওতায় গত সোমবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রওনা হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা ইউজিসির সামনে অবস্থান নেন। আজ সকাল থেকে তাঁরা অনশন শুরু করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন করছেন গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুনগাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে রেললাইন অবরোধ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনএবার ‘লংমার্চ টু ইউজিসি’ কর্মসূচি ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের১৮ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড জ ট ল ইউন ভ র স ট র শ ক ষ র থ ল দ শ ইউন ভ র স ট ইউজ স

এছাড়াও পড়ুন:

৪৩তম বিসিএস: অবশেষে গেজেটভুক্ত হলেন বাদ পড়া ১৬২ প্রার্থী

অবশেষে গেজেটভুক্ত হলেন ৪৩তম বিসিএসের গেজেট থেকে বাদ পড়া ১৬২ জন প্রার্থী। আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর ফলে বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা।

গেজেটভুক্ত করার দাবিতে গত জানুয়ারি মাস থেকে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও অনশন করে আসছেন এসব প্রার্থী। এ নিয়ে প্রথম আলোতে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল থেকে গেজেট থেকে বাদ পড়া কয়েকজন প্রার্থী গেজেটভুক্ত করা ও ভেরিফিকেশন নীতি প্রণয়নের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন।
দীর্ঘ পাঁচ বছরের নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষে ৪৩তম বিসিএসের সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা গেজেটভুক্ত হয়ে গত ১৫ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু গেজেট থেকে বাদ পড়ায় ২২৭ প্রার্থী চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি। এরপর গেজেটভুক্ত হওয়ার দাবিতে তাঁরা গত জানুয়ারি থেকে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। এদের মধ্যে থেকে ১৬২ জন নিয়োগে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।

৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ২ হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন। ভেরিফিকেশন শেষে ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে গত বছরের ১৫ অক্টোবর ২ হাজার ৬৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রথম গেজেট প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এরপর ৩০ ডিসেম্বর ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে প্রথম সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ১ হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়োগের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আন্দোলনের মুখে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর শুরু
  • ৪৩তম বিসিএস: অবশেষে গেজেটভুক্ত হলেন বাদ পড়া ১৬২ প্রার্থী