কুমিল্লার নগরীর একটি বহুতল ভবনের নিরাপত্তার প্রহরীর কক্ষ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। তবে পিস্তলের মালিক সরকার মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে ওয়াফিকে গ্রেপ্তার করেতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও র‌্যাব অভিযান চালিয়ে পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করে। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, নগরীর থিরাপুকুরপাড় রোডের গোল্ডেন টাওয়ারের নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তারক্ষী হাফিজ আহমেদ স্বীকার করেছেন যে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রাজিউর রহমান রাজিবের ভাতিজা সরকার মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে ওয়াফি পিস্তলটি তার কক্ষে রেখে পালিয়ে যান। ওই সময় ওয়াফির সঙ্গে আরও দু’জন সহযোগীও ছিলেন। অস্ত্র উদ্ধারের পর থেকে ওয়াফিসহ তার সহযোগীদের খুঁজছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পলাতক সরকার মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে ওয়াফি (২৪) একই ভবনের বাসিন্দা। তার বাবার নাম এএসএম মোহসিন সরকার। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, ৫ আগস্টের আগে ওয়াফি আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি গোল্ডেন টাওয়ারে অবস্থান করছিলেন এবং ভবনের ছাদে মাদক সেবন করতেন নিয়মিত। তাকে আটক করতে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। 

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা রাজিউর রহমান মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র রহম ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সেন্ট্রাল রোডে নৃশংসতা, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব নাকি অন্য কিছু 

রাজধানীর নিউ মার্কেট থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ভূতের গলিতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। এক যুবককে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। বিষয়টিকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষ। 

গুরুতর জখম ওই যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম মুন্না (৩২)। তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) রাতে নিউ মার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ  মাহফুজুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি অপরাধীদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’

তবে ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। ভিডিওতে দেখা যায় রবিবার (১৮ মে) রাত ১১ টা ৩২ মিনিটে মুন্নাকে সাদা প্যান্ট ও নেভি ব্লু ফুলহাতা জামা পরা এক যুবক প্রথমে শূন্যে তুলে মাটিতে আছড়ে ফেলছে। এরপর তাকে লাথিমারাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। কিছু সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে দুজন তরুণকে আসতে দেখা যায়। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা তরুণটি নেমে এসে প্রথম তরুণের সঙ্গে যোগ দেয়। লাথির সঙ্গে চলতে থাকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপ। মুন্না মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও চলতে থাকে দুর্বৃত্তের তাণ্ডব। এবার নৃশংসতায় যোগ দেয় মোটরসাইকেলের চালক। কালো পাঞ্জাবি ও হেলমেট পরা ওই ব্যক্তি নিজের কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুন্নাকে পুনরায় কুপিয়ে বাকিদের মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। 

এখানেই নৃশংসতার শেষ নয়। যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল মুন্নার শরীরের ওপর দিয়ে চালিয়ে নিয়ে যায়। এরপর আশপাশের লোকজন মুন্নাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়া।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয় মুন্না। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন (পঙ্গু) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে, আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এবং ঘটনা পরিকল্পিত। এলাকার সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব নিয়ে ঘটনা কিনা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

এদিকে ঘটনার পরপরই পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়।  রাতেই নিউ মার্কেট থানা পুলিশ অপরাধীদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে। ইতোমধ্যে আসামিদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। 

ঢাকা/এম/আর

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচন, করিডোর, বন্দর ও মব নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান
  • ফুলছড়ির ৬ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
  • গাইবান্ধায় আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে ৬ ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক
  • ব্যবসায়ী সমাজ ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন
  • দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার
  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকায় গুলিবর্ষণের তথ্য দিয়েছেন মাত্র ৭ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
  • সেন্ট্রাল রোডে নৃশংসতা, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব নাকি অন্য কিছু 
  • হবিগঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি হয়েছেন দিলীপ কান্ত নাথ