সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমা সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছের ডালে ঝুলে থাকা জাকারিয়া আহমদ (২৩) নামের বাংলাদেশির লাশ ২৫ ঘণ্টা পর হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমন্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ শুক্রবার দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করা হয়। জাকারিয়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লামাগ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে। 

স্থানীয় বনপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার আতাউর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হয়। দুপুর ১টার দিকে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। তিনি জানান, কয়েক দিন আগে বিয়ে করেন জাকারিয়া। তাদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য ছিলো না। এলাকার কারও সঙ্গে কোনো প্রকার দূরত্ব বা দ্বন্দ্ব ছিল না তার। তার মৃত্যু রহস্যজনক।

গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সীমান্ত পিলার ১২৫৭/২০-এর পাশের একটি গাছের ডালের সঙ্গে জাকারিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। লাশটি ভারতে অভ্যন্তরে থাকায় গতকাল রাত পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। রাতে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওইদিন বিজিবি পতাকা বৈঠকের আহ্বান করলেও সাড়া দেয়নি বিএসএফ। ফলে লাশটি ১০-১২ ঘণ্টা গাছের ডালে ঝুলে থাকে। আজ শুক্রবার পতাকা বৈঠকের পর ফেরত দেয় বিএসএফ। 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ জানিয়েছেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যারে বিষয়টি জানা গেছে। তবে ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে মরদেহ প্রেরণ করা হয়েছে। 

৪৮ বিজিবি অধিনায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক জানিয়েছেন, বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে লাশ গ্রহণ করার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম ন ত হত য ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সাতজনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ, দু’জনকে হস্তান্তর

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চাপসার সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার ভোরে সাতজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে তাদের আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

এর আগে বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট সীমান্তে দুই নাগরিককে হস্তান্তর করেছে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীরা। এ নিয়ে গত ৪ মে থেকে ১ হাজার ৫২৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ।

ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির হাতে আটকদের মধ্যে চারজন নারী এবং এক শিশু রয়েছে। ৪২ বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, তারা ২০-২৫ বছর আগে কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে ভারতের মুম্বাই গিয়েছিলেন। ৬-৭ দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে এবং গত বুধবার সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে। আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সঠিক হওয়ায় তাদের হরিপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে।

এদিকে লালমনিরহাট সীমান্তে আমিনুল ইসলাম নামে এক ভারতীয় নাগরিককে স্থানীয়রা আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেয়। তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকেছিলেন। তাঁর আটকের খবরে সীমান্তের ভারতীয় নাগরিকরা সিরাজুল হক নামে এক বাংলাদেশি যুবককে তুলে নিয়ে বিএসএফের কাছে সোপর্দ করে। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের নাগরিককে হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মোগলহাট সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম সমকালকে বলেন, বাংলাদেশে প্রবেশ করে কাউকে তুলে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। তবে তারা দু’জনই সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর পর উভয় দেশের নাগরিকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের হস্তান্তর করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতজনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ, দু’জনকে হস্তান্তর
  • সিলেট সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে গাছে ৯ ঘণ্টা ধরে ঝুলছে যুবকের লাশ
  • খাগড়াছড়ি ও ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরও ২৪ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • খাগড়াছড়িতে নারী-শিশুসহ ১৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • তাইন্দংয়ে আবারও ১৩ জনকে ঠেলে দিলো ভারত
  • বাংলাদেশি কিশোরকে ফেরত দিল বিএসএফ
  • বৃষ্টির মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ২০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • বৃষ্টির মধ্যেই মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে আরও ২০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ