সংস্কার ছাড়া নির্বাচন আরেকটা ফ্যাসিবাদের জন্ম দেবে: মিয়া গোলাম পরওয়ার
Published: 21st, June 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার দেশবাসীকে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে গেলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। জাতীয় মুক্তি হবে না। সেই নির্বাচন আরেকটা ফ্যাসিবাদের জন্ম দেবে।’
শনিবার সকালে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জামায়াত আয়োজিত রুকন শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘দেশের স্বার্থে জাতীর স্বার্থে স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও রাষ্ট্রীয় কাঠামো গঠন করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘মীমাংসিত ইস্যুকে সামনে এনে জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করার জন্য আগামী নির্বাচনে ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান। বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আবু জাফর, সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস, বেলাল হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার রুকনরা শিক্ষা শিবিরে অংশ নেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ম য় গ ল ম পরওয় র যশ র
এছাড়াও পড়ুন:
পোষ্য কোটা ফেরানোর প্রতিবাদে কাফনের কাপড় জড়িয়ে আমরণ অনশনে এক শিক্ষার্থী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এক শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেছেন। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি মাথা ও শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন।
ওই শিক্ষার্থীর নাম আসাদুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অনশনের সময় তাঁর পেছনে রাখা ব্যানারে লেখা ছিল—‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা নামক বিষফোঁড়া পুনর্বহাল রাখার প্রতিবাদে আমরণ অনশন ধর্মঘট’।
আসাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পোষ্য কোটা নামক বিষফোঁড়া মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এটাকে নির্মূল করার জন্যই আমার এ কর্মসূচি। জুলাই আন্দোলনে যে কোটার বিরুদ্ধে এত রক্তপাত, এত মৃত্যু, স্বৈরশাসকের পতন হলো, সেই কোটা আবার ফিরেছে। আমি কোটার পক্ষে নই। যদি কোটা দেওয়া হয়, সেটা কৃষক-শ্রমিক-মজুরের সন্তানদের দেওয়া হোক। এই কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমার অনশন চলবে। আমি কোনো খাবার-পানি খাব না। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ আসেনি। রাতে এখানেই অবস্থান করব।’
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১০টি শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনের সভাপতিত্বে সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই প্রতিবাদ শুরু করেন। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পরও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা একটি মীমাংসিত ইস্যু। এটি অন্যায্য ও অযৌক্তিক একটি কোটা। তাঁরা প্রয়োজনে রক্ত দেবেন, তবু ক্যাম্পাসে এ কোটা ফিরতে দেবেন না। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন ঘিরে যখন ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তখন এ সিদ্ধান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না বলে তাঁরা জানান।
কোটা পুনর্বহালের বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত ২১ সেপ্টেম্বরের রাকসু নির্বাচনে শাটডাউন কর্মসূচির প্রভাব পড়ার শঙ্কা ছিল। এ জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের ভর্তি উপকমিটি এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা যা চান, সেটাই হবে। কারণ, তাঁরা শান্তিপূর্ণ একটি বিশ্ববিদ্যালয় চান।