‘তুমি যদি মনে করো আর কখনো ভারতের হয়ে খেলবে না, তাহলে আমাদের ক্লাবের হয়ে সব সংস্করণে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে খেলতে আগ্রহী হবে?

২০২৩ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের তৎকালীন প্রধান কোচ জন স্যাডলার এই প্রশ্ন করেছিলেন করুণ নায়ারকে। ভারতীয় ক্রিকেটারের জবাব ছিল, ‘আমি ভারতের হয়ে খেলতে চাই, আর আমি টেস্ট দলে ফেরার জন্য যা কিছু করা দরকার, সব করব।’ সেই নায়ার টেস্ট দলে ফিরেছেন। আজ হেডিংলিতে হয়তো ব্যাটিংয়েও নামবেন।

টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে এসে তিনি শুধু স্বপ্নপূরণই করেননি, গড়েছেন এক ব্যতিক্রমী রেকর্ডও। এর আগে ভারতের হয়ে ২০১৭ সালের মার্চে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন নায়ার। এরপর কেটে গেছে ৮ বছরেরও বেশি সময়। এই দীর্ঘ সময়ে নায়ার টানা ৪০২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিস করেছেন—যা সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিস করে ফেরার রেকর্ড।

সবচেয়ে বেশি ম্যাচ মিস করে দলে ফেরার রেকর্ড এত দিন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের রায়াদ এমরিটের। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মিস করেছিলেন ৩৯৬টি ম্যাচ। এরপর রয়েছেন ইংল্যান্ডের জো ডেনলি (৩৮৪), ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্লয়েড রেইফার (৩৮০), এবং শ্রীলঙ্কার মাহেলা উদাওয়াট্টে (৩৭৪)।

আরও পড়ুনবিগ ব্যাশে রিশাদ কেন আবার দল পেলেন২ ঘণ্টা আগে

২০১৬ সালে মাত্র তৃতীয় টেস্টেই ৩০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ইতিহাস গড়েছিলেন নায়ার। সেই ইনিংস তাঁকে রাতারাতি তারকাখ্যাতি এনে দেয়। তবে এরপর আর মাত্র তিনটি টেস্ট খেলে হারিয়ে যান ভারতীয় দল থেকে। সময়ের সঙ্গে যেন তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্বপ্নও মিইয়ে যাচ্ছিল।

২০২২ সালে নিজ রাজ্য কর্ণাটকের রঞ্জি ট্রফি দল থেকেও বাদ পড়েছিলেন—যা ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হতাশাজনক মুহূর্ত। অমন ঘোর অন্ধকার সময়েই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফুটে উঠেছিল নায়ারের আর্তি—‘প্রিয় ক্রিকেট, আমাকে আর একটা সুযোগ দাও।’

ক্রিকেট তাঁকে সেই সুযোগ দিয়েছে।

আরও পড়ুনআইসিসির নিয়ম ভাঙায় গিল কি শাস্তি পাবেন১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড ম স কর সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

মিস মেক্সিকোকে কটাক্ষ, বেরিয়ে গেলেন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীরা

আগামী ২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডে বসতে যাচ্ছে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর। তার আগে বিতর্কে জড়িয়েছে প্রতিযোগিতাটি। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ব্যাংককে আয়োজিত প্রি-পেজেন্ট অনুষ্ঠানে এক প্রতিযোগীকে ‘ডামি’ বলে মন্তব্য করেন থাই বিচারক নাওয়াত ইতসারাগ্রিসিল। এরপর মেক্সিকোর ওই প্রতিনিধি ফাতিমা বোসসহ কয়েকজন প্রতিযোগী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। 

প্রি-পেজেন্ট অনুষ্ঠানটি ফেসবুকে লাইভ চলছিল। এ ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরী প্রতিযোগীরা নাওয়াত ইতসারাগ্রিসিলের সামনে সারিবদ্ধভাবে বসে আছেন। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে তিনি বলেন, “সব প্রতিযোগীকে আয়োজক দেশের প্রচার করতে হবে।” 

আরো পড়ুন:

হাসপাতালে জিতু কমল

‘ফ্যামিলি ফিউড বাংলাদেশ’ নিয়ে ফিরছেন তাহসান

সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করে নাওয়াত বলেন, “সাবধান থাকবেন, আপনারা এখন থাইল্যান্ডে আছেন। আপনারা একটি খেলার মধ্যে আছেন।” এরপর মিস মেক্সিকো ফাতিমা বোসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তার ভাষ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের উদ্দেশ্যে আয়োজিত একটি ফটোশুটে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ফাতিমা। মেক্সিকোর পেজেন্ট পরিচালক তাকে কোনো কিছু পোস্ট না করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

মেক্সিকোর প্রতিযোগী ফাতিমা দাঁড়িয়ে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু নাওয়াত তাকে বাধা দিয়ে বলেন, “সে (ফাতিমা) যেন মৌখিকভাবে নিশ্চিত করেন যে, থাইল্যান্ড সম্পর্কে পোস্ট দিতে রাজি।”  

এরপর অন্য এক প্রতিযোগী প্রশ্নটি আবার বলার অনুরোধ করেন। কিন্তু তা বলতে অস্বীকৃতি জানান। নাওয়াত বলেন, “আমি শুধু মিস মেক্সিকোকেই প্রশ্নটি করেছি। কারণ তার কর্মকাণ্ড নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি।” ফাতিমা এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও নাওয়াত আবারো একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “ফাতিমা তার দেশের পেজেন্ট পরিচালকের নির্দেশে কাজ করছেন এবং সে একজন ‘ডামি’ (পুতুল)।” 

নাওয়াত যখন এভাবে কথা বলে যাচ্ছেন তখনো দাঁড়িয়ে ফাতিমা। ফলে নাওয়াত জানতে চান সে কেন এখনো দাঁড়িয়ে আছেন। জবাবে ফাতিমা বলেন, “কারণ আমারও একটি কণ্ঠ আছে। আপনি আমাকে একজন নারী হিসেবে সম্মান দিচ্ছেন না।” 

এরপর নাওয়াত নিরাপত্তা কর্মীদের ডেকে পাঠান। এসময় অন্যান্য প্রতিযোগীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ফাতিমা অডিটোরিয়াম ত্যাগ করার সময়ে বলেন, “নারী হিসেবে আমাদের প্রতি আপনাদের সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। আমি একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, এটি আমার দোষ নয়। আপনারা আমার সংগঠনের সঙ্গে সমস্যা করছেন।” তারপর অন্য প্রতিযোগীরাও ফাতিমার সঙ্গে উঠে দাঁড়ান। তখন নাওয়াত বলেন, “যারা প্রতিযোগিতা চালিয়ে যেতে চান, তারা বসেন।” এতে মেয়েরা বিভ্রান্ত হয়ে পরস্পরের দিকে তাকাতে থাকেন। 

এ বিষয়ে কথা বলতে ফাতিমা ও আয়োজক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম পিপল। কিন্তু তারা কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি। ঘটনার পরের দিন আয়োজক কর্তৃপক্ষ ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছে, “আমরা সমস্ত অংশগ্রহণকারী, কর্মী এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান, নিরাপত্তা ও সততা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এমজিআই) এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মি. মারিও বুকারোর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন। এই আয়োজনের লক্ষ্য, সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো, সকল প্রতিনিধির জন্য নিরাপদ ও পেশাদার পরিবেশ নিশ্চিত করা।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে সিরিজ সমতায় দ. আফ্রিকা
  • পাকিস্তানের টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত গোপালগঞ্জের রতন
  • গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি
  • পাঁচ ব্যাংকের প্রশাসক কার্যালয়ে আসা শুরু করেছেন, গ্রাহকের চাপ নেই
  • ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ‘৮টি বিমান’ ভূপাতিত করা হয়েছে: ট্রাম্পের নতুন দাবি
  • মিস মেক্সিকোকে কটাক্ষ, বেরিয়ে গেলেন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীরা
  • অপ্রত্যাশিত আতিথেয়তা
  • অধস্তন আদালতের প্রায় এক হাজার বিচারককে পদোন্নতির প্যানেলভুক্তির সিদ্ধান্ত
  • বগুড়ায় ধানক্ষেত থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
  • রোবটদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের গল্প