সবচেয়ে বেশি ম্যাচ বাইরে থেকে ফেরার রেকর্ড নায়ারের
Published: 21st, June 2025 GMT
‘তুমি যদি মনে করো আর কখনো ভারতের হয়ে খেলবে না, তাহলে আমাদের ক্লাবের হয়ে সব সংস্করণে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে খেলতে আগ্রহী হবে?
২০২৩ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের তৎকালীন প্রধান কোচ জন স্যাডলার এই প্রশ্ন করেছিলেন করুণ নায়ারকে। ভারতীয় ক্রিকেটারের জবাব ছিল, ‘আমি ভারতের হয়ে খেলতে চাই, আর আমি টেস্ট দলে ফেরার জন্য যা কিছু করা দরকার, সব করব।’ সেই নায়ার টেস্ট দলে ফিরেছেন। আজ হেডিংলিতে হয়তো ব্যাটিংয়েও নামবেন।
টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে এসে তিনি শুধু স্বপ্নপূরণই করেননি, গড়েছেন এক ব্যতিক্রমী রেকর্ডও। এর আগে ভারতের হয়ে ২০১৭ সালের মার্চে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন নায়ার। এরপর কেটে গেছে ৮ বছরেরও বেশি সময়। এই দীর্ঘ সময়ে নায়ার টানা ৪০২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিস করেছেন—যা সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিস করে ফেরার রেকর্ড।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ মিস করে দলে ফেরার রেকর্ড এত দিন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের রায়াদ এমরিটের। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মিস করেছিলেন ৩৯৬টি ম্যাচ। এরপর রয়েছেন ইংল্যান্ডের জো ডেনলি (৩৮৪), ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্লয়েড রেইফার (৩৮০), এবং শ্রীলঙ্কার মাহেলা উদাওয়াট্টে (৩৭৪)।
আরও পড়ুনবিগ ব্যাশে রিশাদ কেন আবার দল পেলেন২ ঘণ্টা আগে২০১৬ সালে মাত্র তৃতীয় টেস্টেই ৩০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ইতিহাস গড়েছিলেন নায়ার। সেই ইনিংস তাঁকে রাতারাতি তারকাখ্যাতি এনে দেয়। তবে এরপর আর মাত্র তিনটি টেস্ট খেলে হারিয়ে যান ভারতীয় দল থেকে। সময়ের সঙ্গে যেন তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্বপ্নও মিইয়ে যাচ্ছিল।
২০২২ সালে নিজ রাজ্য কর্ণাটকের রঞ্জি ট্রফি দল থেকেও বাদ পড়েছিলেন—যা ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হতাশাজনক মুহূর্ত। অমন ঘোর অন্ধকার সময়েই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফুটে উঠেছিল নায়ারের আর্তি—‘প্রিয় ক্রিকেট, আমাকে আর একটা সুযোগ দাও।’
ক্রিকেট তাঁকে সেই সুযোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুনআইসিসির নিয়ম ভাঙায় গিল কি শাস্তি পাবেন১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড ম স কর সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
লোকসানে বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’ বন্ধ
বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’ লোকসানের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে সিনেপ্লেক্সটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনেপ্লেক্সটির স্বত্বাধিকারী রোকনুজ্জামান ইউনূস রুবেল সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং বন্ধের কারণ জানান।
আরো পড়ুন:
কাজাখস্তানে আফরান নিশোর ‘দম’
আশির দশকের বাংলা সিনেমা ও সিনেমাকেন্দ্রিক সমাজ
রোকনুজ্জামান ইউনূস বলেন, ‘‘সিনেপ্লেক্স চালাতে গিয়ে সব মিলিয়ে মাসে প্রায় তিন লাখ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। কিন্তু সেটা তুলতে পারছি না দর্শকদের টানতে পারবে এমন সিনেমার অভাবে। 'তাণ্ডব’ সিনেমার পর আর কোনো ব্যবসা সফল সিনেমা আসেনি। অনেক ছবি মুক্তি পেলেও দর্শকের সাড়া মেলেনি। আমাদের দেশের সিনেমা ঈদ ছাড়া দর্শক টানতে পারছে না।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘বিদেশি সিনেমা চালাতে পারলে দর্শক আসত। প্রতিযোগিতায় আমাদের সিনেমাও ভালো চলত। কিন্তু বাইরের সিনেমা আমদানি একেবারে বন্ধ। তাই টানা লোকসান আর সম্ভব নয়। মূল কথা হচ্ছে, আমাদের ব্যবসা আমাদের মতো করে চালাতে দিতে হবে।’’
রোকনুজ্জামান ইউনূস বলেন, ‘‘সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আমরা আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমাদের কথা আপনারা শোনেন। আমাদের কথা যদি পছন্দ হয়, ভালো লাগে; তাহলে সেটা গ্রহণ করেন। আমাদের কথা যদি অগ্রহণযোগ্য হয়, আমাদের বলে দেন; এটা হবে না। তাহলে আমরা আমাদের হল একেবারে বন্ধ করে দেব। আর যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, তাহলে এটি আমরা আরো সুন্দরভাবে করব এবং আমরা কথা দেব, মধুবনের মতো আরো ২০০ সিনেপ্লেক্স আমরা বাংলাদেশে তৈরি করব।’’
‘মধুবন সিনেপ্লেক্সের’ স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘‘২০১৫ সালে শাকিব খানের ‘লাভ ম্যারেজ’ মুক্তির সময় ভাঙা চেয়ার, ছারপোকার কামড়, গরমের মধ্যেও হলভর্তি দর্শক হয়। এরপর ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ প্রদর্শনের সময় শিক্ষিত শ্রেণির দর্শকের ঢল নামে। এমন পরিবেশেও দর্শকদের আগ্রহ দেখে সিনেপ্লেক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সময় দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা হয়। এরপর ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২০২১ সালে বগুড়ার প্রথম সিনেপ্লেক্স হিসেবে যাত্রা শুরু করে মধুবন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘মধুবন সিনেপ্লেক্সের জন্য বেলজিয়াম থেকে ‘প্রজেকশন মেশিন’ আনা হয়। আমেরিকা থেকে ‘সাউন্ড সিস্টেম’ এবং মুম্বাই থেকে ‘গ্যালালাইট মেটাল কোডেড পর্দা’ আনা হয়। সেই সিনেপ্লেক্স আজ বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।’’
ঢাকা/এনাম/বকুল