Samakal:
2025-06-22@00:59:44 GMT

একটি সম্ভাবনাময় উদ্যোগ

Published: 21st, June 2025 GMT

একটি সম্ভাবনাময় উদ্যোগ

চট্টগ্রাম নগরীর অলিগলিতে প্রতিদিন জমে ওঠা প্লাস্টিক বর্জ্য আমাদের অজান্তেই হয়ে উঠছে ভবিষ্যতের সম্পদ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা উঠলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে দুর্গন্ধযুক্ত ডাস্টবিন বা বিশাল ল্যান্ডফিলের ছবি। অথচ সে চিত্রটাই বদলে দিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসার সমন্বিত উদ্যোগে গড়ে ওঠা একটি নতুন মডেল, যেখানে প্লাস্টিক বর্জ্য রূপ নিচ্ছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যে।
এই উদ্যোগের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো– ‘সার্কুলার ইকোনমি’র ধারণা প্রতিষ্ঠা, অর্থাৎ একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে অর্থনৈতিক চক্রে ফিরিয়ে আনা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন একটি ওয়ার্ডের বাসিন্দা হুসনেআরা একজন সক্রিয় রিসাইকলার। প্রতিদিন সেকেন্ডারি ডাম্পিং স্টেশন থেকে গড়ে ৭০-১৫০ কেজি প্লাস্টিক, পলিথিন ও ধাতব বর্জ্য সংগ্রহকারীদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে তিনি সরবরাহ করেন স্থানীয় ডিলারদের কাছে। এ কাজ থেকে মাসে আয় হয় প্রায় ১৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা। উদ্যোগের আওতায় কাজ করে হুসনেআরা শুধু নিজের জীবিকা নির্বাহই করছেন না, বরং অপচনশীল কঠিন বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায়ও ভূমিকা রাখছেন।
‘আগে লোকজন বলত, এসব কুড়িয়ে কী হবে? এখন বোঝে, আমি পরিবেশও বাঁচাই, ঘরও চালাই’– বলেন হুসনেআরা। সন্তানদের কথা জিজ্ঞেস করতে খানিকটা আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘আমি চাই না ওদের ওপর ভর করে চলি, যতদিন পারি নিজে কষ্ট করে খাই।’
হুসনেআরার এই নিষ্ঠা ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্প্রতি তাঁকে চট্টগ্রামের শ্রেষ্ঠ ভাঙারিওয়ালা হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে, যা তাঁর মতো আরও অনেককেই কঠোর পরিশ্রম ও পরিবেশ রক্ষায় উৎসাহ ও মর্যাদা দিয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে হুসনেআরার মতো প্রায় তিন হাজার বর্জ্য সংগ্রাহক প্রতিদিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছেন, যা এ উদ্যোগটিকে একটি সফল পরিবেশ-অর্থনীতি সম্মিলিত মডেলে রূপ দিয়েছে।
চট্টগ্রাম শহরে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। ২০২২ সাল থেকে চালু হওয়া ‘প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ উদ্যোগের আওতায় এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ২৪ হাজার টনের বেশি কঠিন বর্জ্য, যার মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ প্লাস্টিক এবং ৭০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক। 
আমাদের দেশের প্লাস্টিক পণ্যের বাজারের আকার বছরে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। প্রায় পাঁচ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করে থাকে। এ শিল্পে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২০ লাখ মানুষ নিয়োজিত। এটি দেশের ১২তম বৃহৎ রপ্তানি খাত, যেখান থেকে প্রতিবছর ১.

২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় হয়। তাছাড়া সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে এ খাত থেকে। 
একজন বর্জ্য সংগ্রাহক মাসে গড়ে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন, যা একদিকে তাদের জীবিকা নিশ্চিত করছে, অন্যদিকে শহরকে করে তুলছে পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য। 

শিক্ষার্থী
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
চট্টগ্রাম কলেজ

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন বর জ য পর ব শ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

বিগ ব্যাশে রিশাদ কেন আবার দল পেলেন

প্রথমবারের ড্রাফটেই দল পেয়েছিলেন। বিগ ব্যাশে গত মৌসুমের ড্রাফটে তাঁকে দলে নিয়েছিল হোবার্ট হ্যারিকেনস। বিসিবির অনাপত্তিপত্ত (এনওসি) না পাওয়ায় খেলা হয়নি। এবারের ড্রাফটে দল পেলেন এবারও। সেই হোবার্টই তাঁকে আবার দলে নিয়েছে। বিগ ব্যাশে রিশাদের এই চাহিদার কারণ কী?

হোবার্ট অধিনায়ক নাথান এলিসের কথায় কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। রিশাদকে দলে নেওয়ার পর এলিস স্পষ্ট করেই বলেছেন, মাঝের ওভারে বেশি উইকেট চান। সে কারণেই তো ইংল্যান্ডের রেহান আহমেদকেও কিনেছে দলটি।

এলিস কী বলেছেন শুনুন তাঁর মুখেই, ‘রিশাদ ও রেহানকে নিয়েছি, কারণ মাঝের ওভারে আমাদের উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য বাড়াতে চেয়েছি। আমরা রিশাদকে গত বছর নিতে চেয়েছিলাম, এবারও নিতে পেরেছি। ওকে দলে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ও ইতিমধ্যে সম্ভাবনাময় এক লেগ স্পিনার হিসেবে ঝলক দেখিয়েছে।’

রশিদ খানের কথা যদি ধরি, জোরের ওপর স্টাম্পে বোলিং করে। রিশাদ ভিন্ন। ও বল হাওয়ায় ভাসাবে, দারুণ গুগলি আছে, গতির ব্যবহার করে।অ্যারন ফিঞ্চ

বিগ ব্যাশের পডকাস্টে দলগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়ানরা যে রিশাদকে কতটা ভালো মানের বোলার বিবেচনা করে, তা বোঝা যাবে তাঁর কথাতেই। সেখানে রিশাদের বোলিং নিয়ে ফিঞ্চ বলেছেন এভাবে, ‘রিশাদ দারুণ একজন বাংলাদেশি লেগ স্পিনার। আধুনিক লেগ স্পিনারদের চেয়ে সে একটু অন্য রকম। সে হাওয়ায় ভাসিয়ে বোলিং করতে পছন্দ করে। চাপে থাকলে বলের গতি কমায়।’

আরও পড়ুনদুই হাতে ‘ক্র্যাম্প’ নিয়েও জয়সোয়ালের ইতিহাস২ ঘণ্টা আগে

ফিঞ্চ রিশাদের বোলিংকে নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধির সঙ্গে তুলনা করেছেন, ‘আমি যাদের বোলিং করতে দেখেছি, তাদের কারও সঙ্গে যদি রিশাদের বোলিং তুলনা করতে চাই তাহলে ওকে নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধির সঙ্গে তুলনা করব।  রশিদ খানের কথা যদি ধরি, জোরের ওপর স্টাম্পে বোলিং করে। রিশাদ ভিন্ন। ও বল হাওয়ায় ভাসাবে, দারুণ গুগলি আছে, গতির ব্যবহার করে। দারুণ একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কাটিয়েছে রিশাদ। অসাধারণ একজন বোলার। রিকি পন্টিংও রিশাদ সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলেন।’

রিশাদ হোসেন এবার কি বিগ ব্যাশে খেলবেন?

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বড় হওয়ার ক্ষেত্রে পরিবারকেও ভূমিকা রাখতে হয়
  • করোনায় আরো ২ জনের মৃত্যু
  • বেরোবি শিক্ষকের মুক্তি চায় রাবির সাংবাদিকতা বিভাগ
  • চট্টগ্রামে করোনায় একজনের মৃত্যু, মোট আক্রান্ত ৬২ 
  • ডেঙ্গুতে এক দিনে ৩৫২ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ১
  • একদিনে রেকর্ড ৩৫২ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে, মৃত্যু একজনের
  • মাহামুদুল হকের মুক্তি দাবি রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের
  • নারী সহপাঠীকে হলের কক্ষে নিয়ে যাওয়ায় ছাত্রের আসন বাতিল
  • বিগ ব্যাশে রিশাদ কেন আবার দল পেলেন