দক্ষিণ জার্মানির মিটেলফ্রাঙ্কেনের একটি হ্রদে দুই মিটারের বেশি লম্বা একটি মাছের আক্রমণে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ জানায়, একজন পুলিশ অফিসার শেষ পর্যন্ত তাঁর পিস্তল দিয়ে রাক্ষুসে ওয়েলস মাছটিকে গুলি করে মেরেছেন। কর্মকর্তাদের মতে, মাছটির ওজন ছিল প্রায় ৯০ কিলোগ্রাম।
গ্রীষ্মের রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়াতে রোববার ব্যাভেরিয়া রাজ্যের মিটেলফ্রাঙ্কেনের হ্রদে অনেক মানুষ সাঁতার কাটতে নেমেছিলেন। হঠাৎ করে একে একে পাঁচজন রক্তাক্ত শরীর নিয়ে চিৎকার করে হ্রদের তীরে উঠে আসেন। গভীর জলে ‘দানবের’ উপস্থিতিতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন সবাই। ঘটনার আগে কেউ জানতেন না, মিটেলফ্রাঙ্কেনের এই হ্রদে জলদানব মাছটি ঘাঁটি গেড়েছে।
ঘটনার পরপরই স্থানীয় হ্রদরক্ষীরা দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সাঁতারের পুরো এলাকা বন্ধ করে দেয়। এ সময় হ্রদের পাশে চলতে থাকা একটি সংগীত উৎসবও থমকে যায়।
এর আগে শুক্রবার মিটেলফ্রাঙ্কেনের হ্রদে মাছটি প্রথম দেখা যায়। পুলিশ জানায়, মাছটি দীর্ঘ সময় ধরে হ্রদে ছিল। তবে ইতিপূর্বে মাছটি এমন আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেনি। তবে রোববার ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মাছটি আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করে। এ সময় মাছটি পাঁচজনকে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করে। স্থানীয় পুলিশ মুখপাত্র মিশায়েল পেটসল্ড বলেছেন, এ ধরনের ওয়েলস মাছের ক্ষেত্রে এমন আচরণ একেবারেই অস্বাভাবিক। সম্ভবত মাছটি তার বাসা এবং ছানাদের রক্ষা করতে চাচ্ছিল।
ঘটনার পর পুলিশ এসে প্রথমে সাঁতারের এলাকা বন্ধ করে দেয় যাতে আর কেউ আক্রান্ত না হন। পরে একজন পুলিশ সদস্য তাঁর সার্ভিস পিস্তল দিয়ে মাছটিকে গুলি করেন। পরে দুইজন জেলে মাছটিকে একটি নৌকা দিয়ে হ্রদ থেকে তুলে আনেন। এরপর সাঁতারের এলাকা পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।
ওয়েলস মাছ আকারে অনেক বড় হতে পারে। প্রায়ই জার্মানিতে তারা আলোচনায় আসে। ২০ বছর আগে নর্ডরাইন-ভেস্টফালেন রাজ্যে মুনশেনগ্লাডবাখ শহরে ‘কুনো, দ্য কিলার ওয়েলস’ নামে একটি মাছ আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিল। তখন বলা হয়েছিল, মাছটি একটি তরুণ রাউহারড্যাকেল কুকুরকে গিলে ফেলেছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের ‘লাল রেখা’ কী কী?
ইরানের দৃষ্টিতে রেড লাইনস বা লাল রেখা কী কী, সে বিষয়ে আলজাজিরা কথা বলেছে অস্ট্রেলিয়ার ডিকিন ইউনিভার্সিটির ইরান বিশেষজ্ঞ শাহরাম আকবরজাদের সঙ্গে। তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
শাহরাম আকবরজাদে বলেছেন, “ইরান স্পষ্ট করে বলেছে যে, তারা আন্তর্জাতিক পরিদর্শন ব্যবস্থার অধীনে থাকতে প্রস্তুত, এমনকি কঠোর পরিদর্শনের অধীনেও; যাতে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করা যায়। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের পথে হাঁটবে না।”
এর বিনিময়ে ইরানের চাওয়া হলো নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি। আকবরজাদে বলেন, “যদি ইউরোপীয় দেশগুলো এমন কোনো সমাধান নিয়ে আসতে পারে, যা এই লাল রেখাগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাহলে কূটনৈতিক সমাধানের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
ইরানের চার ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইসরায়েলের
তিনি আরো বলেন, ইরানের কাছ থেকে আশা করা যায় না যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের দমনমূলক আচরণের সামনে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করবে।
“ইরানিরা যুক্তরাষ্ট্রের আচরণকে ‘বুলি’ বা দমনমূলক বলেই অভিহিত করেছে। হুমকি দিয়ে কথা বলা, ইরানের শীর্ষ নেতাকে হত্যার হুমকি; এসবই সেই দমনমূলক আচরণের পরিচয়।”
আকবরজাদে বলেন, “তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা গ্রহণযোগ্য নয়; তারা কোনো না কোনো সমঝোতার পথ খুঁজবে, তবে এমনভাবে যাতে নিজেদের মর্যাদাও রক্ষা হয়।”
ঢাকা/রাসেল