হামলা পাল্টা হামলার মধ্যে চলা তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এই যুদ্ধবিরতি চলমান সংঘাতের অবসানের পথে নিয়ে যাবে। তবে দুই পক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। খবর-আল জাজিরা

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার জবাবে কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ অবস্থায় সংঘাত আরও চরমে পৌঁছার আশঙ্কার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নিরসনে একটি বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।  

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরও এই যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রাখতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ও ইরান একমত হয়েছে ১২ ঘন্টার জন্য একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি (আনুমানিক ৬ ঘন্টার মধ্যে) মেনে চলার জন্য। যুদ্ধবিরতির সময় এক পক্ষ অন্য পক্ষের প্রতি শান্তিপূর্ণ ও শ্রদ্ধাশীল থাকবে। এ যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারত এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু তা হয়নি, এবং কখনও হবেও না! ঈশ্বর ইসরায়েলকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর ইরানকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর মধ্যপ্রাচ্যকে আশীর্বাদ করুন। ঈশ্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আশীর্বাদ করুন এবং ঈশ্বর বিশ্বকে আশীর্বাদ করুন!

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র

এছাড়াও পড়ুন:

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপে বসছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানান ইসির জনসংযোগ পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক।

তিনি বলেন, “কমিশনের সম্মতি পাওয়ার পর আমন্ত্রিতদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। বর্তমানে সংলাপ আয়োজনের অনুমোদনের জন্য কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সম্ভাব্য ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু হবে এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অন্য অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।”

ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ, নারী প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এ সংলাপ চলবে এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। আলোচনার সূচি নির্ধারণের এক সপ্তাহ বা দশ দিন আগে দলগুলোর কাছে চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে প্রতিনিধি সংখ্যা ও মতামত পাঠানোর সুযোগ থাকে। অক্টোবরজুড়ে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এটি হবে এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের প্রথম সংলাপ আয়োজন। আলোচনায় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পোস্টাল ব্যালটসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উঠে আসবে।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাসউদ জানিয়েছেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী এ মাসের শেষ দিকে সংলাপ শুরু হবে এবং সেই অনুযায়ী ইসি সচিবালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কয়েক দিনের তারিখ পরিবর্তন হলেও রোডম্যাপই অনুসরণ করা হবে।

ঢাকা/এএএম/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ